ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
চাঁদা দাবি করে থানায় আটকে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগে দুই ওসি ও দুই এসআইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এই নির্দেশ দেন।
এর আগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও ওসি (অপারেশন) দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান পুলক।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন, উপপরিদর্শক খোকা চন্দ্র রায়, সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক মো. মোতালেব, উপপরিদর্শক হাফিজ ও সদর থানার অপারেশন ইনচার্জ মো. লতিফ।
দায়রা ও জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
পিপি বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইন ২০১৩ অনুযায়ী মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফাইলিং করা হয়। পরে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি নেওয়ার পর আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন এবং জেলা সিভিল সার্জনকে ভুক্তভোগীকে চিকিৎসা প্রদান করতে আদেশ প্রদান করেন।’
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার চত্বরে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে যান জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক খালিদ সিরাজ রকি। এ সময় কয়েকজন অকারণে হট্টগোল করলে তিনি বাধা দেন এবং তা নিরসনের চেষ্টা করেন। এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে কোনো কিছু না শুনে রকিকে মারধর শুরু করে এবং টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক। এ সময় তিনি সদর থানার ওসি কামাল হোসেনকে আটকের বিষয়ে এবং মারধরের কারণ জানতে চান। এতে পুলকের ওপর চড়াও হন ওসি। পরে রকি ও পুলককে মারধর করতে করতে থানায় নিয়ে যান তিনি।
থানায় নিয়ে ওসি কামাল হোসেনসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা পুলকের হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে ও চোখে গামছা বেঁধে মারধর করতে থাকেন। প্রাণ বাঁচতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন কামাল হোসেন। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল হোসেনসহ অন্যান্যরা কাঠের রুলার দিয়ে ভুক্তভোগীর বাম ও ডান পায়ের মাংস পেশিতে আঘাত করতে থাকে।
এভাবে একের পর পর এক আঘাতের পর ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা পুলকের বাম হাতের একটি হাড় ভেঙে যায়। নির্যাতনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে লোক দেখানো চিকিৎসার অভিনয় করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এ সময় চিকিৎসক হাতের এক্স-রে করতে বললেও অভিযুক্তরা এক্স-রে না করে থানা হাজতে নিয়ে যান। পরদিন ৩০ মে ১৫১ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ২ মে আদালতে জামিন পেয়ে ভুক্তভোগী নেতা ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করে দেখা যায় ওই নেতার বাম হাতের একটি হাড় ভেঙে গেছে। এ ঘটনার খবর সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া পর অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শহরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে এর আগে দিনাজপুরের খানসামা থানার ওসি থাকাকালীন এক ভুক্তভোগী হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দাখিল করে। যা এখনো শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক বলেন, ‘আট দিন হাসপাতালে থাকার পর আজ ছাড়পত্র পেয়েছি। আমার সঙ্গে ওসি কামাল হোসেনসহ বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা যে অন্যায় আর নির্যাতন করেছে, সে অন্যায়ের বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের আদেশে আমি সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।’
এ বিষয়ে জানতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের বলেন, ‘আমি রংপুরে একটি কনফারেন্সে আছি। এ বিষয়ে এখনো নির্দেশনা আমার কাছে পৌঁছাইয়নি।’
চাঁদা দাবি করে থানায় আটকে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগে দুই ওসি ও দুই এসআইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এই নির্দেশ দেন।
এর আগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও ওসি (অপারেশন) দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান পুলক।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন, উপপরিদর্শক খোকা চন্দ্র রায়, সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক মো. মোতালেব, উপপরিদর্শক হাফিজ ও সদর থানার অপারেশন ইনচার্জ মো. লতিফ।
দায়রা ও জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
পিপি বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইন ২০১৩ অনুযায়ী মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফাইলিং করা হয়। পরে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি নেওয়ার পর আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন এবং জেলা সিভিল সার্জনকে ভুক্তভোগীকে চিকিৎসা প্রদান করতে আদেশ প্রদান করেন।’
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার চত্বরে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে যান জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক খালিদ সিরাজ রকি। এ সময় কয়েকজন অকারণে হট্টগোল করলে তিনি বাধা দেন এবং তা নিরসনের চেষ্টা করেন। এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে কোনো কিছু না শুনে রকিকে মারধর শুরু করে এবং টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক। এ সময় তিনি সদর থানার ওসি কামাল হোসেনকে আটকের বিষয়ে এবং মারধরের কারণ জানতে চান। এতে পুলকের ওপর চড়াও হন ওসি। পরে রকি ও পুলককে মারধর করতে করতে থানায় নিয়ে যান তিনি।
থানায় নিয়ে ওসি কামাল হোসেনসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা পুলকের হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে ও চোখে গামছা বেঁধে মারধর করতে থাকেন। প্রাণ বাঁচতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন কামাল হোসেন। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল হোসেনসহ অন্যান্যরা কাঠের রুলার দিয়ে ভুক্তভোগীর বাম ও ডান পায়ের মাংস পেশিতে আঘাত করতে থাকে।
এভাবে একের পর পর এক আঘাতের পর ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা পুলকের বাম হাতের একটি হাড় ভেঙে যায়। নির্যাতনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে লোক দেখানো চিকিৎসার অভিনয় করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এ সময় চিকিৎসক হাতের এক্স-রে করতে বললেও অভিযুক্তরা এক্স-রে না করে থানা হাজতে নিয়ে যান। পরদিন ৩০ মে ১৫১ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ২ মে আদালতে জামিন পেয়ে ভুক্তভোগী নেতা ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করে দেখা যায় ওই নেতার বাম হাতের একটি হাড় ভেঙে গেছে। এ ঘটনার খবর সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া পর অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শহরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে এর আগে দিনাজপুরের খানসামা থানার ওসি থাকাকালীন এক ভুক্তভোগী হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দাখিল করে। যা এখনো শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক বলেন, ‘আট দিন হাসপাতালে থাকার পর আজ ছাড়পত্র পেয়েছি। আমার সঙ্গে ওসি কামাল হোসেনসহ বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা যে অন্যায় আর নির্যাতন করেছে, সে অন্যায়ের বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের আদেশে আমি সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।’
এ বিষয়ে জানতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের বলেন, ‘আমি রংপুরে একটি কনফারেন্সে আছি। এ বিষয়ে এখনো নির্দেশনা আমার কাছে পৌঁছাইয়নি।’
বেনাপোল স্থলবন্দরে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৪০ জন আনসার সদস্যকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে মোট ১৬৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। প্রথম ধাপে ৪০ জন বদলি হলেও পরে অন্যদেরও বদলি করা হবে বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের...
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। একই সঙ্গে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পদও স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব...
৪ ঘণ্টা আগেযশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতগামী পাসপোর্টধারী আরজিনা খাতুন নামের ক্যানসারে আক্রান্ত এক রোগীকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে ১৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে চিহ্নিত ছিনতাইকারীরা। আজ মঙ্গলবার ভ্রমণ ট্যাক্স কাটার নাম করে বেনাপোল বন্দর বাস টার্মিনাল থেকে ডেকে নিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী ডালিম ও তার দলবল।
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টিপাতে আবারও জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে যশোরের ভবদহ অঞ্চল। যশোরের অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার অন্তত ৪৫টি গ্রামের বসতবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ডুবে গেছে পানিতে। দীর্ঘদিনের নদী-নালা খনন ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে বছর বছর এমন দুর্ভোগে পড়ছে স্থানীয়রা।
৫ ঘণ্টা আগে