শিপুল ইসলাম, রংপুর
চার বছর ধরেই রংপুরের খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার এক ভাগও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদন হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত দামের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরা ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
তবে কৃষকদের দাবি, ঘুষ, হয়রানি, পরিবহন ব্যয়সহ নানা কারণে তাঁরা ধান দিচ্ছেন না।
চলতি অর্থবছরে সংগ্রহ শুরুর পর গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৯০ দিনে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগ ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি অধিদপ্তর। সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার আর এক সপ্তাহ বাকি। এমন অবস্থায় চলতি আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে এবার সরকারিভাবে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে ৬ হাজার ৩৮ টন ধান এবং ৪০৬টি চালকল থেকে ১২ হাজার ৪৬০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও চালের দাম ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কৃষকেরা কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান দিতে পারবেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। ৯০ দিনে মাত্র ১৮১ টন ধান কিনেছে খাদ্য বিভাগ, যা লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগের নিচে। তবে শতভাগ চাল সংগ্রহ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরেও আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি রংপুর খাদ্য বিভাগ। সে সময় ৯ হাজার ৪৩ টন আমন ধান ও ১৫ হাজার ৮৩০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। সেবারও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ।
কৃষকদের অভিযোগ, খাদ্যগুদাম ১৪ ভাগ আর্দ্রতা না হলে ধান নিতে চায় না। অনেক সময় এ কারণে খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষকদের ফিরে আসতে হয়। এ ছাড়া প্রতি টন ধানে কর্মকর্তাদের জন্য, পরিবহন ব্যয়, শ্রমিকদের চাঁদায় ৫০০-৬০০ টাকা ব্যয় হয়। এ জন্য কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এ কারণে খাদ্যগুদাম কয়েক বছর ধরে ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠির কৃষক সোনা মিয়া বলেন, ‘বাড়ি থাকি ১০ কিলো দূরোত খাদ্যগুদাম। ওটে ধান নিগাইলে ৩০ টাকা কেজি। কিন্তু ঝামেলা অনেক। ধান অল্পে আনা কম শুকনা হইলে নিবার চায় না, বস্তাতে ৩০-৪০ টাকা ভ্যান ভাড়া, শ্রমিকের চাঁদা তো আছেই। ব্যাংকোত টাকার জন্যে দৌড়াদৌড়ি তো আছে। মাঠোত পুড়ি আবাদ করি এত কষ্ট কায় করে। ওই জন্যে দুই টাকা কম হইলো এ্যালা বাড়িতে পাইকারের কাছোত ধান বেচাই।’
গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ি গ্রামের কৃষক রাতুল মণ্ডল জানান, ধান মাড়াইয়ের পর উঠানেই ৮২০ টাকা মণ দরে পাইকার ধান কিনে নেয়। আর ওই এক মণ ধান খাদ্যগুদামের জন্য শুকিয়ে দিতে গেলে হয় ২১ থেকে ২৪ কেজি। ৩০ টাকা দরে তার দাম ৬৩০ থেকে ৭৩৫ টাকা। হিসাব করলে খাদ্যগুদামে ধান দিতে প্রতি মণে লস তাঁর ১০০ টাকা। এ জন্য তিনি খাদ্যগুদামে ধান দেন না।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক বলেন, বাজারে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে ধানের দাম বেশি। কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের পরই পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারছেন। এতে কোনো আর্দ্রতার পরিমাপের প্রয়োজন হয় না। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। ধান-চাল সংগ্রহের সময় প্রায় শেষ। এবারও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।
চার বছর ধরেই রংপুরের খাদ্যগুদাম ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কোনো কোনো মৌসুমে চাল সংগ্রহ হলেও লক্ষ্যমাত্রার এক ভাগও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদন হলেও খাদ্যগুদাম লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত দামের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরা ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
তবে কৃষকদের দাবি, ঘুষ, হয়রানি, পরিবহন ব্যয়সহ নানা কারণে তাঁরা ধান দিচ্ছেন না।
চলতি অর্থবছরে সংগ্রহ শুরুর পর গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৯০ দিনে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগ ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি অধিদপ্তর। সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার আর এক সপ্তাহ বাকি। এমন অবস্থায় চলতি আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে এবার সরকারিভাবে জেলার ৯টি খাদ্যগুদামে ৬ হাজার ৩৮ টন ধান এবং ৪০৬টি চালকল থেকে ১২ হাজার ৪৬০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও চালের দাম ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কৃষকেরা কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান দিতে পারবেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। ৯০ দিনে মাত্র ১৮১ টন ধান কিনেছে খাদ্য বিভাগ, যা লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগের নিচে। তবে শতভাগ চাল সংগ্রহ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরেও আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি রংপুর খাদ্য বিভাগ। সে সময় ৯ হাজার ৪৩ টন আমন ধান ও ১৫ হাজার ৮৩০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। সেবারও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ।
কৃষকদের অভিযোগ, খাদ্যগুদাম ১৪ ভাগ আর্দ্রতা না হলে ধান নিতে চায় না। অনেক সময় এ কারণে খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষকদের ফিরে আসতে হয়। এ ছাড়া প্রতি টন ধানে কর্মকর্তাদের জন্য, পরিবহন ব্যয়, শ্রমিকদের চাঁদায় ৫০০-৬০০ টাকা ব্যয় হয়। এ জন্য কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এ কারণে খাদ্যগুদাম কয়েক বছর ধরে ধান সংগ্রহ করতে পারছে না।
তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠির কৃষক সোনা মিয়া বলেন, ‘বাড়ি থাকি ১০ কিলো দূরোত খাদ্যগুদাম। ওটে ধান নিগাইলে ৩০ টাকা কেজি। কিন্তু ঝামেলা অনেক। ধান অল্পে আনা কম শুকনা হইলে নিবার চায় না, বস্তাতে ৩০-৪০ টাকা ভ্যান ভাড়া, শ্রমিকের চাঁদা তো আছেই। ব্যাংকোত টাকার জন্যে দৌড়াদৌড়ি তো আছে। মাঠোত পুড়ি আবাদ করি এত কষ্ট কায় করে। ওই জন্যে দুই টাকা কম হইলো এ্যালা বাড়িতে পাইকারের কাছোত ধান বেচাই।’
গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ি গ্রামের কৃষক রাতুল মণ্ডল জানান, ধান মাড়াইয়ের পর উঠানেই ৮২০ টাকা মণ দরে পাইকার ধান কিনে নেয়। আর ওই এক মণ ধান খাদ্যগুদামের জন্য শুকিয়ে দিতে গেলে হয় ২১ থেকে ২৪ কেজি। ৩০ টাকা দরে তার দাম ৬৩০ থেকে ৭৩৫ টাকা। হিসাব করলে খাদ্যগুদামে ধান দিতে প্রতি মণে লস তাঁর ১০০ টাকা। এ জন্য তিনি খাদ্যগুদামে ধান দেন না।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক বলেন, বাজারে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে ধানের দাম বেশি। কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের পরই পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারছেন। এতে কোনো আর্দ্রতার পরিমাপের প্রয়োজন হয় না। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। ধান-চাল সংগ্রহের সময় প্রায় শেষ। এবারও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে