Ajker Patrika

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯: ৫৩
রংপুরের মিঠাপুকুরে আজ শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুরের মিঠাপুকুরে আজ শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেছেন, সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি ৫ হাজার সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্র্যাকেট তুলে দিয়ে আরও ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

আজ শনিবার রংপুরের মিঠাপুকুরে অনুষ্ঠিত শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিজি এসব কথা বলেন। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি ছেলেমেয়েদের নিজ স্কুলে না পড়ান, তাহলে অন্যরা কেন আপনার স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়াবেন?’

উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ডিজি শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ শিশু বাংলা পড়তে পারে না। ৩৪ শতাংশ শিশু যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দ পড়তে পারে না। বিশ্বব্যাংকের জরিপের এমন তথ্য যাচাই করতে আমরাও জরিপ করেছি। আমাদের জরিপেও বিশ্বব্যাংকের কাছাকাছি প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা লজ্জার বিষয়। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে হবে। লেখাপড়ায় দুর্বল শিশুদের চিহ্নিত করে বিশেষ কেয়ার নিতে হবে। এরপরও যদি শিশুদের উন্নতি করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে ঢাকায় তদবির করতে যান, কিন্তু কেউই বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা বলেন না। তাঁরা জেলা শহরে বদলির জন্য তদবির করেন। কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েরা প্রাইভেট স্কুলে লেখাপড়া করছে, তাই সেখানে থাকা প্রয়োজন।’’ এই হলো আমাদের অবস্থা।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক কামরুল হাসান এনডিসি, উপপরিচালক জয়নাল আবেদীন, রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক আজিজুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভায় ২৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত