Ajker Patrika

যত্রতত্র বিশ্ববিদ্যালয় হলেও শিক্ষার মান রক্ষা হয়নি: পাবিপ্রবি উপাচার্য

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল আওয়াল। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল আওয়াল। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেছেন, ‘গত সরকারের আমলে যত্রতত্র বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হলেও শিক্ষার মান রক্ষা করা হয়নি। মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। একটি প্রজন্ম পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’

আজ শুক্রবার নিজ কার্যালয়ে জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় উপাচার্য এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এখানে যোগদানের পর নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা দেখেছি। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দলীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষক না থাকলেও ইচ্ছামতো বিভাগ খোলা হয়েছে। প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিয়মকানুন মানা হয়নি। শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আচরণবিধি তৈরি করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ করত একটি অসাধু চক্র। শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হয়েছে। এখানে গত ১৬ বছরেও কোনো সিস্টেম গড়ে ওঠেনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিক পথে আনার জন্য এবং একটি আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল। তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী রিসার্চ সেল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগার-মেডিকেল সুবিধা, খেলাধুলার পরিবেশ, আবাসিক হলের সুযোগ-সুবিধা এবং এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষার মান তথা শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে সার্বক্ষণিক একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আধুনিক যুগোপযোগী বিভাগ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনবল তৈরি করা হচ্ছে।

উপাচার্য বলেন, ‘যেসব বিভাগের অ্যাক্রেডিটেশন নেই, সেসব বিভাগের অ্যাক্রেডিটেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্ধ একাডেমিক স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা যাতে মুক্তমনে চলাফেরা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে, তার ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন ক্লাব গড়ে তোলার কাজ চলছে। আমরা এমন পদ্ধতি গড়ে তুলতে চাই, যাতে একদিন বিশ্ববিদ্যালয়টি পাবনাবাসীর গর্ব হয়ে ওঠে।’

অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বাড়ানোর জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। পাবনার ঐতিহ্য কৃষি, পশুপালন—এগুলো নিয়ে গবেষণা করা হবে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল হক, রেজিস্ট্রার বিজন কুমার প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত