Ajker Patrika

ডাটা বন্ধ ও ব্রডব্যান্ডে ধীরগতি, সিরাজগঞ্জে লোকসানে ইন্টারনেট-ভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৪, ১৪: ৩৭
Thumbnail image

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েক দিন ধরেই বন্ধ রয়েছে ডাটা ইন্টারনেট সেবা। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সচল হলেও গতি কম। এতে ইন্টারনেট সংযোগের ওপর নির্ভরশীল প্রায় সব ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তৃণমূল ইন্টারনেট-ভিত্তিক সেবাদানকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। 

প্রায় ১১ দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের প্রতিজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। 

কথা হয় কামারখন্দ উপজেলার তৃণমূলের ইন্টারনেট-ভিত্তিক সেবাদানকারী উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ১১ দিনে আমার প্রায় ২০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ইন্টারনেট না থাকায় গ্রাহকদের পাসপোর্ট সেবা, এনআইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন, চাকরির আবেদনসহ অনলাইন -ভিত্তিক নানা ধরনের সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য গ্রাহকদের ইন্টারনেট-ভিত্তিক জরুরি কাজ করে দিতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছেন। শুধু আমার নয়, প্রতিটি কম্পিউটারের দোকানের মালিকের ১১ দিনে ১৫-২০ হাজার টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।’ 

এদিকে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও নাগালের বাইরে। সবকিছু মিলিয়েই আমাদের মতো ইন্টারনেট-ভিত্তিক ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে। 

কথা হয় আরেক কম্পিউটারের দোকানদার ইয়াসিন কবিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন ইন্টারনেট না থাকায় আমার প্রায় ১০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ইন্টারনেটের কারণে গ্রাহকদের অনেক ধরনের জরুরি সেবা দিতে পারিনি, এতে গ্রাহকেরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। মাঝে মাঝে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক থাকলেও এতে গতি নেই।’ ইন্টারনেটে গতি আগের মতো দ্রুত স্বাভাবিক করার দাবি করেন তিনি। 

উপজেলার জামতৈল বাজারের কম্পিউটার ও ফটোকপির মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, জামতৈল বাজারে কম্পিউটার ও ফটোকপির ২২টি দোকান রয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট না থাকায় কম্পিউটারের দোকান মালিকেরা ভোগান্তি পড়েছেন, সেই সঙ্গে গ্রাহকেরা তাঁদের ইন্টারনেট-ভিত্তিক জরুরি কাজ করতে না পারায় ভোগান্তিতে রয়েছেন। 

এদিকে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় প্রবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না স্বজনেরা। ফিরোজ নামের এক প্রবাসীর সন্তান বলেন, ‘মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট না থাকায় হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করতে পারছি না। বাবাও যোগাযোগ করতে পারছেন না। এ জন্য আমাদের ভালো লাগছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত