রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
বগুড়ার শেরপুরের চকখাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের (ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিলকৃত ভাউচারে অনেক অসংগতি লক্ষ করা গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করছেন মোছা. আকলিমা।
স্কুলটির বর্তমানের নতুন ভবনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে। শেরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সেখানে বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) তহবিল থেকে ৫০ হাজার, ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ ২ লক্ষ ও রুটিন মেরামত বাবদ ৪০ হাজার মোট ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এর অধিকাংশ টাকাই খরচ না করে প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন স্কুলের সহকারী শিক্ষকগণ। এ ছাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিলকৃত প্রায় সকল ভাউচারই ভুয়া বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দোকানের মালিকেরা।
ক্ষুদ্র মেরামতের বিল ভাউচারে উল্লেখ করা হয়েছে গোরা স্টোর নামের একটি দোকান থেকে। সেখানে লেখা ভবন সজ্জিত করণ ১টি ২৫ হাজার টাকা, জানালা রং বাবদ ২৫ হাজার টাকা এবং রুটিন মেরামতের তহবিল থেকে এনার্জি বাল্ব ও ইলেকট্রিক সামগ্রী ৬ হাজার টাকার ক্রয় করা হয়েছে। তবে দোকানের মালিক প্রলয় কুমার কুন্ডু জানান তিনি প্রতিষ্ঠানটির কাছে এ ধরনের কোনে সামগ্রী বিক্রি করেননি। তাছাড়া বিল ভাউচারে তাদের কোনো সাক্ষরও নেই। একইভাবে লাকী এস এস ষ্টিল করপোরেশনের জানালা মেরামত ও হাতুল লাগানো বাবদ খরচ ২৫ হাজার টাকার ভউচারটিও ভুয়া বলে দাবি করেছেন দোকানের মালিক নাজমুল হোসাইন।
কলাপসিবল গেট স্থাপনের ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথাও অস্বীকার করেছেন শেরপুরের বর্ষা স্টিল হাউসের মালিক আব্দুল বাছেদ। এছাড়া সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে নতুন কোনো কলাপসিবল গেটের অস্তিত্বও মেলেনি।
বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষকেরা।
সহকারী শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘স্কুলে প্রায় ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভাউচারের সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই। কলাপসিবল গেট তৈরি, চেয়ার টেবিল কেনা, ভবন মেরামত করা ইত্যাদি এ ধরনের কোনো কাজ করা হয়নি। বরং প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য শিক্ষা উপকরণ কেনার কথা বললে প্রধান শিক্ষক অর্থ সংকটের কথা জানিয়েছেন।’
আরেক সহকারী শিক্ষক মাশেদা খাতুন বলেন, ‘গত অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে চারটি গ্রিল তৈরি ও একটি কক্ষের মেঝেতে টাইলস লাগানো হয়েছে। এছাড়াও ভবন রং ও কিছু কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছে। তাতে সব মিলিয়ে দেড় লক্ষ টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা না।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চকখাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. আকলিমা। তিনি বলেন, ‘কাজ করে সঠিকভাবে হিসাব দাখিল করার পরে শিক্ষা অফিস থেকে অর্থ ছাড় করেছে। তাই অর্থ আত্মসাতের প্রশ্নই আসে না।’
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম দেখা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বগুড়ার শেরপুরের চকখাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের (ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিলকৃত ভাউচারে অনেক অসংগতি লক্ষ করা গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করছেন মোছা. আকলিমা।
স্কুলটির বর্তমানের নতুন ভবনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে। শেরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সেখানে বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) তহবিল থেকে ৫০ হাজার, ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ ২ লক্ষ ও রুটিন মেরামত বাবদ ৪০ হাজার মোট ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এর অধিকাংশ টাকাই খরচ না করে প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন স্কুলের সহকারী শিক্ষকগণ। এ ছাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিলকৃত প্রায় সকল ভাউচারই ভুয়া বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দোকানের মালিকেরা।
ক্ষুদ্র মেরামতের বিল ভাউচারে উল্লেখ করা হয়েছে গোরা স্টোর নামের একটি দোকান থেকে। সেখানে লেখা ভবন সজ্জিত করণ ১টি ২৫ হাজার টাকা, জানালা রং বাবদ ২৫ হাজার টাকা এবং রুটিন মেরামতের তহবিল থেকে এনার্জি বাল্ব ও ইলেকট্রিক সামগ্রী ৬ হাজার টাকার ক্রয় করা হয়েছে। তবে দোকানের মালিক প্রলয় কুমার কুন্ডু জানান তিনি প্রতিষ্ঠানটির কাছে এ ধরনের কোনে সামগ্রী বিক্রি করেননি। তাছাড়া বিল ভাউচারে তাদের কোনো সাক্ষরও নেই। একইভাবে লাকী এস এস ষ্টিল করপোরেশনের জানালা মেরামত ও হাতুল লাগানো বাবদ খরচ ২৫ হাজার টাকার ভউচারটিও ভুয়া বলে দাবি করেছেন দোকানের মালিক নাজমুল হোসাইন।
কলাপসিবল গেট স্থাপনের ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথাও অস্বীকার করেছেন শেরপুরের বর্ষা স্টিল হাউসের মালিক আব্দুল বাছেদ। এছাড়া সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে নতুন কোনো কলাপসিবল গেটের অস্তিত্বও মেলেনি।
বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষকেরা।
সহকারী শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘স্কুলে প্রায় ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভাউচারের সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই। কলাপসিবল গেট তৈরি, চেয়ার টেবিল কেনা, ভবন মেরামত করা ইত্যাদি এ ধরনের কোনো কাজ করা হয়নি। বরং প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য শিক্ষা উপকরণ কেনার কথা বললে প্রধান শিক্ষক অর্থ সংকটের কথা জানিয়েছেন।’
আরেক সহকারী শিক্ষক মাশেদা খাতুন বলেন, ‘গত অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে চারটি গ্রিল তৈরি ও একটি কক্ষের মেঝেতে টাইলস লাগানো হয়েছে। এছাড়াও ভবন রং ও কিছু কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছে। তাতে সব মিলিয়ে দেড় লক্ষ টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা না।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চকখাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. আকলিমা। তিনি বলেন, ‘কাজ করে সঠিকভাবে হিসাব দাখিল করার পরে শিক্ষা অফিস থেকে অর্থ ছাড় করেছে। তাই অর্থ আত্মসাতের প্রশ্নই আসে না।’
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম দেখা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২
৪ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত একটি পানি সরবরাহ প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও আজ পর্যন্ত পৌরবাসীর ঘরে পৌঁছায়নি একফোঁটা পানি। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর অগ্রগতি ‘শূন্য’। ঠিকাদারি প্রত
৪ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানসহ পর্যটন এলাকায় গতি আনতে ২০১৮ সালে তাহিরপুরের ডাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্টো গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেতু চালু নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
৪ ঘণ্টা আগে