চট্টগ্রাম ওয়াসা
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিতে কক্সবাজারে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওয়াসার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন নাগরিক সমাজ ও গ্রাহকেরা।
চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মোবাইল কেনার অংশ হিসেবে ৬ মে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষের তরফে পত্রিকায় একটি ই-টেন্ডার নোটিশ দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকিউরমেন্ট শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী কেয়া চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে মোবাইল শব্দটি উল্লেখ না করে কৌশলে ‘ইলেকট্রনিক ডিভাইস’-এর কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি মোবাইল ফোনের দাম গড়ে ২৫ হাজার টাকা ধরলে চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব থেকে এ-বাবদ ব্যয় হবে ২২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি করপোরেট সিম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াসা। ৯১টি সিম ইতিমধ্যে ওয়াসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি জারি করা এক অফিস আদেশে মোবাইল বিলের সীমা নির্ধারণ করে দেন ওয়াসার সচিব শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী। সেখানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ১ হাজার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০০, সচিব/বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক/প্রধান প্রকৌশলী ৫০০, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ৫০০, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও সিস্টেম অ্যানালিস্ট ৫০০, সিনিয়র অডিট অফিসার/নবম গ্রেডের কর্মকর্তা ৩০০, উপসহকারী প্রকৌশলী ৩০০, পিএ টু এমডি ৩০০ এবং মিটার পরিদর্শকের জন্য ৩০০ টাকা বিল ধরা হয়। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯১ কর্মকর্তা রয়েছেন মোবাইল ফোন পাওয়ার তালিকায়।
এসব সিম ব্যবহারের জন্য মোবাইল সেট কিনতে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘আমরা ওয়াসার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল সেট কিনতে টেন্ডার দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য এটা করা হয়েছে।’
এদিকে ৫ মে এক অফিস আদেশে ২২ কর্মকর্তার কক্সবাজারে কর্মশালার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অফিস আদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোকপাত করার লক্ষ্যে কর্মশালার আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে। কর্মশালার ব্যাপ্তি দুদিন (১৬-১৭ মে)। কর্মশালাটি হওয়ার কথা কক্সবাজার শহরের পাঁচ তারকা হোটেল সীগালে। প্রশিক্ষণার্থী ২২ জনের তালিকায় ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশল), বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক, ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাও রয়েছেন। ২২ জনের মধ্যে দুই কর্মকর্তাকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০ জন যাবেন গাড়িতে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, কক্সবাজারে কর্মশালার বিষয়টি অফিসের অনুমোদনেই হচ্ছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতির নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হচ্ছে। কক্সবাজারে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসফরে যায়। এখন ওয়াসার কর্মকর্তারা কর্মশালায় যাচ্ছেন। দুটোর উদ্দেশ্যই ভ্রমণ।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিতে কক্সবাজারে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওয়াসার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন নাগরিক সমাজ ও গ্রাহকেরা।
চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মোবাইল কেনার অংশ হিসেবে ৬ মে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষের তরফে পত্রিকায় একটি ই-টেন্ডার নোটিশ দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকিউরমেন্ট শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী কেয়া চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে মোবাইল শব্দটি উল্লেখ না করে কৌশলে ‘ইলেকট্রনিক ডিভাইস’-এর কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি মোবাইল ফোনের দাম গড়ে ২৫ হাজার টাকা ধরলে চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব থেকে এ-বাবদ ব্যয় হবে ২২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি করপোরেট সিম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াসা। ৯১টি সিম ইতিমধ্যে ওয়াসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি জারি করা এক অফিস আদেশে মোবাইল বিলের সীমা নির্ধারণ করে দেন ওয়াসার সচিব শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী। সেখানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ১ হাজার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০০, সচিব/বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক/প্রধান প্রকৌশলী ৫০০, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ৫০০, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও সিস্টেম অ্যানালিস্ট ৫০০, সিনিয়র অডিট অফিসার/নবম গ্রেডের কর্মকর্তা ৩০০, উপসহকারী প্রকৌশলী ৩০০, পিএ টু এমডি ৩০০ এবং মিটার পরিদর্শকের জন্য ৩০০ টাকা বিল ধরা হয়। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯১ কর্মকর্তা রয়েছেন মোবাইল ফোন পাওয়ার তালিকায়।
এসব সিম ব্যবহারের জন্য মোবাইল সেট কিনতে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘আমরা ওয়াসার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল সেট কিনতে টেন্ডার দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য এটা করা হয়েছে।’
এদিকে ৫ মে এক অফিস আদেশে ২২ কর্মকর্তার কক্সবাজারে কর্মশালার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অফিস আদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোকপাত করার লক্ষ্যে কর্মশালার আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে। কর্মশালার ব্যাপ্তি দুদিন (১৬-১৭ মে)। কর্মশালাটি হওয়ার কথা কক্সবাজার শহরের পাঁচ তারকা হোটেল সীগালে। প্রশিক্ষণার্থী ২২ জনের তালিকায় ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশল), বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক, ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাও রয়েছেন। ২২ জনের মধ্যে দুই কর্মকর্তাকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০ জন যাবেন গাড়িতে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, কক্সবাজারে কর্মশালার বিষয়টি অফিসের অনুমোদনেই হচ্ছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতির নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হচ্ছে। কক্সবাজারে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসফরে যায়। এখন ওয়াসার কর্মকর্তারা কর্মশালায় যাচ্ছেন। দুটোর উদ্দেশ্যই ভ্রমণ।’
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। এরপর শুরু হয় এক ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষা। জুনিয়র ক্যাটাগরিতে (৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম) ২১০ জন, মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে (নবম ও দশম) ১৭০ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে (একাদশ ও দ্বাদশ) ৭০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
৯ মিনিট আগেঝগড়ার বিষয়টি নিয়ে আজকে আমরা সালিশ করি। সালিশে উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিএনজি চালকের চিকিৎসাবাবদ মোটরসাইকেল চালককে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাখন বিচার মেনে একহাজার টাকা জমা দেন মোটরসাইকেল চালক। দু’দিন পর বাকি টাকা পরিশোধ করবেন বলে কথা দেন। সালিশ দরবার শেষ করে সন্ধ্যায় আমরা চলে...
১৩ মিনিট আগেবিভিন্ন সময় তারা নিজেদের মতো বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেন, কারণ কৃষি অফিস থেকে কোন পরামর্শ বা সহায়তা পান না। অনেক ফসল নষ্ট হওয়ার পরও কৃষি কর্মকর্তারা চোখে পড়ে না। চাষিরা দাবি করেছেন, কৃষি অফিস শুধুমাত্র কয়েকজন চাষীর জন্য নয়, সবার জন্য কাজ করুক।
২৫ মিনিট আগেমামলার রায় জানতে উৎসুক জনতা আদালত প্রাঙ্গনে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে। সকাল ৯ টায় মামলার চার আসামিকে ঝিনাইদহ কারাগার থেকে মাগুরার আদালতে নেওয়া হবে। প্রথমে তাদের মাগুরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদে নেওয়া হবে। এরপর সকাল ১০ টায় পাশে থাকা মাগুরা দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী...
১ ঘণ্টা আগে