Ajker Patrika

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প: প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কনটেইনমেন্টের পরীক্ষা সম্পন্ন

­­শাহীন রহমান, পাবনা
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, ১৬: ৪৮
প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কনটেইনমেন্ট। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কনটেইনমেন্ট। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় চলছে দেশের সর্ববৃহৎ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালুর অপেক্ষায় দেশ। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কম্পার্টমেন্টের কনটেইনমেন্টের (সুরক্ষাব্যূহ) অভেদ্যতা ও দৃঢ়তার পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে প্রকল্প সংস্থা। পরীক্ষায় নকশা অনুযায়ী কনটেইনমেন্টের সর্বোচ্চ নিরাপত্তামান নিশ্চিত করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে রাশিয়ার পরমাণু সংস্থা রোসাটম একটি বেসরকারি বার্তা সংস্থার মাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষাকালে নকশা অনুযায়ী কনটেইনমেন্টের অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়ানো হয় এবং এর জন্য ব্যবহৃত হয় একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্প্রেশার। এ সময় এই অবকাঠামোর দৃঢ়তা ও অভেদ্যতার পরীক্ষা করা হয়। এর লক্ষ্য হলো, কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কনটেইনমেন্টের ভেতরে চাপ বাড়লে তা কতটুকু সহ্য করতে সক্ষম। পরমাণু জ্বালানি লোডিংয়ের আগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। কারণ, কোনো কাল্পনিক বিপর্যয় ঘটলে কনটেইনমেন্টই হচ্ছে শেষ সুরক্ষাব্যূহ।

কনটেইনমেন্ট মূলত একটি অতি সুদৃঢ় কাঠামো, যা নির্মাণে ব্যবহৃত হয় প্রিস্ট্রেসড রিইনফোর্সড কংক্রিট এবং এর ভেতরের দেয়ালে থাকে একটি শক্ত ইস্পাতের আবরণ। এটির নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ রিঅ্যাক্টর কমপার্টমেন্টের বাইরে বের হতে না পারে। সমস্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ এই কনটেইনমেন্টের ভেতরেই আবদ্ধ ও সুরক্ষিত অবস্থায় থাকতে পারে। বাহ্যিক বড় কোনো আঘাত ও বিপর্যয় রোধ করতে সক্ষম এই কনটেইনমেন্ট বা সুরক্ষাব্যূহ।

রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে শিগগির কিছু ‘হট মিডিয়া টেস্ট’ চালানো হবে। উদাহরণস্বরূপ, কুল্যান্ট সার্কিটকে নকশা অনুযায়ী নির্ধারিত তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা এবং বাষ্প উৎপাদন। অন্যান্য নিরাপত্তা প্যারামিটার চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা করা হবে, যেমন—সক্রিয় অবস্থায় বাষ্প নির্গমনকারী ডিভাইসের নিরাপত্তা।

প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর কনটেইনমেন্ট। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর কনটেইনমেন্ট। ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই পরীক্ষার সময় বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ তৈরি হবে, যা সম্পূর্ণ পূর্বনির্ধারিত। এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। রোসাটম নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে, তাই সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হলো, সব নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ করা।

রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুটি ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি স্থাপিত হয়েছে। প্রতিটির উৎপাদনক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ জেনারেল কন্ট্রাক্টর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত