Ajker Patrika

আলোচিত পূর্ণিমা রানী ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
মো. ইয়াসিন আলী। ছবি: সংগৃহীত
মো. ইয়াসিন আলী। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের আলোচিত পূর্ণিমা রানী ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. ইয়াসিন আলী (৬০) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

ইয়াসিন উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব দেলুয়া গ্রামের বাসিন্দা। ইয়াসিনের ছেলে ইদ্রিস আলী জানান, তাঁর বাবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি হওয়ায় তাঁকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে তাঁকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ইদ্রিস দাবি করেন, তাঁর বাবা বিএনপির রাজনীতি করায় আওয়ামী লীগ সরকারের ‘মিথ্যা’ ধর্ষণ মামলায় তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। তাঁকে আলোচিত পূর্ণিমা রানী ধর্ষণের ‘মিথ্যা ও সাজানো’ মামলায় ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছিল।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. জামাল হোসাইন জানান, কয়েদি ইয়াসিন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তাঁকে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। আজ সকালে শ্বাসকষ্ট হলে তাঁকে দ্রুত রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান।

প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর পূর্ণিমা রানী শীল দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা অনিল চন্দ্র শীল ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১৭ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১১ সালের ৪ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এতে ১১ জনকে যাবজ্জীবন ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয়জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আব্দুল জলিল, আলতাফ হোসেন, আব্দুল মমিন, আলতাফ, জহুরুল ইসলাম, হোসেন আলী, লিটন মিয়া, ইয়াসিন আলী, আব্দুর রউফ, আব্দুল মিয়া ও বাবলু মিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত