পাবনা প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনে নৌকা প্রতীক পেতে এবার রেকর্ডসংখ্যক ২৪ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পরিবার থেকেই মনোনয়ন তুলেছেন সাতজন।
তাঁরা হলেন প্রয়াত ভূমিমন্ত্রীর বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফ, মেজো ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাকিবুর রহমান শরীফ কনক, মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মাহজেবিন শিরিন পিয়া এবং জামাতা (পিয়ার স্বামী) ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।
এ ছাড়া ভূমিমন্ত্রীর খালাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বশির আহমেদ বকুল, ফুপাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব ও ভগ্নিপতি (খালাতো বোনের স্বামী) উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা চান্না মণ্ডল।
তাঁরা ছাড়া রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী রবিউল আলম বুদু, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ রশিদুল্লাহ্, সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম লিটন, আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন, ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নায়েব আলী বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন, সাবেক পিপি আক্তারুজ্জামান মুক্তা, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা তারা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন তুহিন, একই সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. সাহেদ ইমরান, ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু, প্রকৌশলী আব্দুল আলীম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুসলিমা জাহান ময়না।
জানা যায়, ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৪ সংসদীয় আসনে প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ১৯৯৬ সাল থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ফলে এলাকায় ডিলুর পরিবারের ব্যাপক প্রভাব তৈরি হয়। ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এতে পরিবারটির প্রভাব আরও বেড়ে যায়।
২০২০ সালে শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা যান। এরপর থেকে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরে উপনির্বাচনে শামসুর রহমান শরীফের স্ত্রী কামরুন্নাহার, দুই ছেলে, মেয়ে, জামাতাসহ পরিবারের সাতজন মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। সেই থেকে পরিবারটি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়।
ফলে মনোনয়নবঞ্চিত হয় পরিবারটি। ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, কিন্তু হাল ছাড়েনি প্রয়াত মন্ত্রীর পরিবার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও মনোনয়ন প্রত্যাশায় তাঁরা পোস্টার-ব্যানার টাঙিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দুই ভাই, বোন, ভগ্নিপতির পৃথক বিলবোর্ড টানানো। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ তাঁরা আলাদাভাবে আয়োজন করেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এ বিষয়ে প্রয়াত ভূমিমন্ত্রীর মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা মাহজেবিন শিরিন পিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের পরিবার সম্পর্কে সব জানেন। তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে আমরা কাজ করব।’
মেজো ছেলে সাকিবুর রহমান শরীফ কনক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারেন। যিনি জনগণের আস্থার জায়গা অর্জন করত পারবেন তিনি বিজয়ী হবেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে সবাই তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।’
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে আওয়ামী লীগে এসেছি। ঈশ্বরদী পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। দলীয় কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। নিজের পরিচয়েই আমার মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে বলে আমি মনে করি।’
বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। তাই দলীয় নেতা-কর্মী যে কেউই দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন, এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নাই।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, ‘তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তিন ভাই-বোন জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে আছেন। মনোনয়ন সবাই চাইতে পারেন। তবে একই পরিবার থেকে এতজনের মনোনয়ন প্রত্যাশা শোভনীয় নয় বলে মনে হয়।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনে নৌকা প্রতীক পেতে এবার রেকর্ডসংখ্যক ২৪ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পরিবার থেকেই মনোনয়ন তুলেছেন সাতজন।
তাঁরা হলেন প্রয়াত ভূমিমন্ত্রীর বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফ, মেজো ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাকিবুর রহমান শরীফ কনক, মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মাহজেবিন শিরিন পিয়া এবং জামাতা (পিয়ার স্বামী) ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।
এ ছাড়া ভূমিমন্ত্রীর খালাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বশির আহমেদ বকুল, ফুপাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব ও ভগ্নিপতি (খালাতো বোনের স্বামী) উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা চান্না মণ্ডল।
তাঁরা ছাড়া রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী রবিউল আলম বুদু, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ রশিদুল্লাহ্, সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম লিটন, আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন, ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নায়েব আলী বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন, সাবেক পিপি আক্তারুজ্জামান মুক্তা, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা তারা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন তুহিন, একই সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. সাহেদ ইমরান, ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু, প্রকৌশলী আব্দুল আলীম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুসলিমা জাহান ময়না।
জানা যায়, ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৪ সংসদীয় আসনে প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ১৯৯৬ সাল থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ফলে এলাকায় ডিলুর পরিবারের ব্যাপক প্রভাব তৈরি হয়। ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এতে পরিবারটির প্রভাব আরও বেড়ে যায়।
২০২০ সালে শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা যান। এরপর থেকে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরে উপনির্বাচনে শামসুর রহমান শরীফের স্ত্রী কামরুন্নাহার, দুই ছেলে, মেয়ে, জামাতাসহ পরিবারের সাতজন মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। সেই থেকে পরিবারটি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়।
ফলে মনোনয়নবঞ্চিত হয় পরিবারটি। ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, কিন্তু হাল ছাড়েনি প্রয়াত মন্ত্রীর পরিবার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও মনোনয়ন প্রত্যাশায় তাঁরা পোস্টার-ব্যানার টাঙিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দুই ভাই, বোন, ভগ্নিপতির পৃথক বিলবোর্ড টানানো। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ তাঁরা আলাদাভাবে আয়োজন করেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এ বিষয়ে প্রয়াত ভূমিমন্ত্রীর মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা মাহজেবিন শিরিন পিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের পরিবার সম্পর্কে সব জানেন। তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে আমরা কাজ করব।’
মেজো ছেলে সাকিবুর রহমান শরীফ কনক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারেন। যিনি জনগণের আস্থার জায়গা অর্জন করত পারবেন তিনি বিজয়ী হবেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে সবাই তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।’
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে আওয়ামী লীগে এসেছি। ঈশ্বরদী পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। দলীয় কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। নিজের পরিচয়েই আমার মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে বলে আমি মনে করি।’
বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। তাই দলীয় নেতা-কর্মী যে কেউই দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন, এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নাই।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, ‘তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তিন ভাই-বোন জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে আছেন। মনোনয়ন সবাই চাইতে পারেন। তবে একই পরিবার থেকে এতজনের মনোনয়ন প্রত্যাশা শোভনীয় নয় বলে মনে হয়।’
বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। এপ্রিল মাসে বৃষ্টির সময় উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করা কঠিন হবে।’
৯ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম তারেক মাহমুদ উৎস (২৩)। তিনি রংপুর কোতোয়ালি থানার লালবাগ এলাকার নুরুজ্জামান বকুলের ছেলে।
৯ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের আত্রাই নদীতে গোসল করতে নেমে সেলফি তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মোমিনুল ইসলাম (১৭)। আজ রোববার দুপুরে মোহনপুর রাবার ড্যামে এই দুর্ঘটনার ঘটে।
৯ ঘণ্টা আগেমোবাইলে জুয়া খেলা নিয়ে বিরোধে ফরিদপুরে ইজ্জল শেখ নামের এক ব্যক্তির মুখে বিষ ঢেলে পানিতে চুবিয়ে রেখে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার সন্ধ্যায় দাফন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে