Ajker Patrika

এখনো ভেঙে ফেলা হয়নি আক্কেলপুর সড়কের ওপর নির্মাণাধীন সেই ঘর

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৫৪
এখনো ভেঙে ফেলা হয়নি আক্কেলপুর সড়কের ওপর নির্মাণাধীন সেই ঘর

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার টিএনটিপাড়ায় রাস্তার ওপরে অবৈধভাবে নির্মাণ করা সেই দোকানঘর এখনো ভেঙে ফেলা হয়নি। গত রোববার মেয়রের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ওই দোকানঘর স্থানান্তর করেননি মালিক ছামসুল ইসলাম। এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজকের পত্রিকায় 'পৌরসভার মূল সড়কে দোকান নির্মাণ' শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়। 

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ জানার পরেও রাস্তার ওপরের সেই দোকানঘর উচ্ছেদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ফলে পৌরসভার ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের জনমনে নানা প্রশ্ন উঠছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিএনটিপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছামছুল ইসলাম এলাকার কারও কোনো কথা শোনেন না। তিনি গায়ের জোরে সব কাজ করেন। বেআইনিভাবে তিনি সড়কের ওপরে দোকানঘর তৈরি করেছেন। এতে করে আমাদের মহল্লায় ওই মোড় দিয়ে বড় কোনো গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। বিষয়টি পৌরসভা জানার পরেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। 

ওই দোকানঘর ভাড়া নিয়েছিলেন উত্তম কুমার নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, `প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়ায় আমি ছামসুল ইসলামের কাছ থেকে দোকানঘর ভাড়া নিয়েছিলাম। দুই দিন দোকানদারিও করেছিলাম। তারপর দোকানমালিক আমাকে দোকান ছেড়ে দিতে বলেন। আমি ওই দোকান ছেড়ে দিয়েছি। তবে দোকানঘর ভাঙা হবে কি না, তা আমি জানি না।' 

এ বিষয়ে ছামছুল ইসলাম বলেন, `আমি আমার জায়গাতেই দোকানঘর নির্মাণ করেছি। এ কারণে ওই দোকানঘর সরাইনি।'

পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম পল্টু বলেন, `ঘটনাটি জেনেছি। যদি কেউ লিখিতভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়, তাহলে আমরা বিষয়টি দেখব। লিখিত অভিযোগ না দিলে কিছু করার নেই।' 

আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী বলেন, `বিষয়টি জানার পরে আমি ছামছুল ইসলামকে দোকানঘর সড়কের ওপর থেকে অপসারণ করতে বলেছি। তিনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন গত রোববারের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেবেন। এখনো কেন দোকানঘর অপসারণ করা হয়নি তা দেখছি।'

উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার আক্কেলপুর পৌরসভার কার্যসহকারী আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছিলেন, কোনো জায়গায় সরকারের টাকা ইনভেস্ট হওয়ার পরে ওই জায়গা আর ব্যক্তির থাকে না। রাস্তাটি পৌরসভা টেন্ডার দেওয়ায় সেখানে সরকারের টাকা খরচ হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত