গোমস্তাপুর
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা প্রাক্কলনে একটি সেতু নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ছয় মাসও টেকেনি সংযোগ সড়ক। সড়কের সেতু লাগোয়া বড় একটি অংশ খুঁটিসহ ধসে পড়েছে। সড়ক সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনের যাত্রীদের। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ করায় সড়কে এই ধস দেখা দিয়েছে। তবে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী বলেছেন, বৃষ্টির কারণে সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করার জন্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডির অধীনে প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রোলার ব্রিজ প্রকল্পের অধীনে রাধানগর ইউপি থেকে (ডোবার মোড়) আক্কেলপুর-জশৈল খড়কাডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কে বিলের মধ্যে এই সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটির অবস্থান খড়কাডাঙ্গা গ্রামে কুমির ডোপ বিলে। ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য আরসিসি সেতুটি নির্মাণে বরাদ্দ করা হয় ২ কোটি ৪৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৭ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ চলার সময় সেতুর পাশের জায়গা ভেঙে একাধিক যানবাহন খাদে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এরপর জোড়াতালি দিয়ে তড়িঘড়ি করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, একটি বিলের মধ্যে জশৈল থেকে আক্কেলপুর আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণ করা হয়। সড়কটিতে সংযোগ সেতু হিসেবে এই নির্মাণকাজ করা হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই বিলের সড়কটি পানিতে ডুবে যায়। কিন্তু অল্প বৃষ্টিতেই সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। উপড়ে পড়ছে সীমানা খুঁটি। সেখানে পানিতে ডুবে গেলে সেই সেতু আর সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
স্থানীয় বাসিন্দা দামঈল গ্রামের আব্দুল আলিম বলেন, চার থেকে পাঁচ মাস কাজ শেষ করা হলো। তাতে বন্যা আসার আগেই সেতুটির পিলার ভেঙে গেছে। সব পিলার ভেঙে কাত হয়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া সংযোগ সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়ম-দুর্নীতি করে সেতুটি নির্মাণ করেছে।
মো. মোস্তাকিম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রায় আড়াই কোটি টাকার সেতুর সংযোগ সড়ক এক বছরও গেল না। তার আগেই ভেঙে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে সেতু নির্মাণের ঠিকাদার আব্দুল মান্নানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আছহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে এ সময় কিছু কিছু সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। সে জন্য আগে থেকেই ঠিকাদারদের জামানত নিয়ে রাখা হয়। সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তা মেরামত করার জন্য একাধিকবার বলা হয়েছে। আশা করছি, ঠিকাদার দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত করবেন।’
আছহাবুর রহমান আরও বলেন, ‘আমি সেতুটি নির্মাণের সময় একাধিকবার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। সেতু নির্মাণে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। আর নতুন সড়ক করলে মাটি কিছুটা ফাঁপা থাকে, যার কারণে ভাঙন দেখা দেয়।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা প্রাক্কলনে একটি সেতু নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ছয় মাসও টেকেনি সংযোগ সড়ক। সড়কের সেতু লাগোয়া বড় একটি অংশ খুঁটিসহ ধসে পড়েছে। সড়ক সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনের যাত্রীদের। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ করায় সড়কে এই ধস দেখা দিয়েছে। তবে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী বলেছেন, বৃষ্টির কারণে সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করার জন্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডির অধীনে প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রোলার ব্রিজ প্রকল্পের অধীনে রাধানগর ইউপি থেকে (ডোবার মোড়) আক্কেলপুর-জশৈল খড়কাডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কে বিলের মধ্যে এই সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটির অবস্থান খড়কাডাঙ্গা গ্রামে কুমির ডোপ বিলে। ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য আরসিসি সেতুটি নির্মাণে বরাদ্দ করা হয় ২ কোটি ৪৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৭ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ চলার সময় সেতুর পাশের জায়গা ভেঙে একাধিক যানবাহন খাদে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এরপর জোড়াতালি দিয়ে তড়িঘড়ি করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, একটি বিলের মধ্যে জশৈল থেকে আক্কেলপুর আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণ করা হয়। সড়কটিতে সংযোগ সেতু হিসেবে এই নির্মাণকাজ করা হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই বিলের সড়কটি পানিতে ডুবে যায়। কিন্তু অল্প বৃষ্টিতেই সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। উপড়ে পড়ছে সীমানা খুঁটি। সেখানে পানিতে ডুবে গেলে সেই সেতু আর সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
স্থানীয় বাসিন্দা দামঈল গ্রামের আব্দুল আলিম বলেন, চার থেকে পাঁচ মাস কাজ শেষ করা হলো। তাতে বন্যা আসার আগেই সেতুটির পিলার ভেঙে গেছে। সব পিলার ভেঙে কাত হয়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া সংযোগ সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়ম-দুর্নীতি করে সেতুটি নির্মাণ করেছে।
মো. মোস্তাকিম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রায় আড়াই কোটি টাকার সেতুর সংযোগ সড়ক এক বছরও গেল না। তার আগেই ভেঙে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে সেতু নির্মাণের ঠিকাদার আব্দুল মান্নানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আছহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে এ সময় কিছু কিছু সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। সে জন্য আগে থেকেই ঠিকাদারদের জামানত নিয়ে রাখা হয়। সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তা মেরামত করার জন্য একাধিকবার বলা হয়েছে। আশা করছি, ঠিকাদার দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত করবেন।’
আছহাবুর রহমান আরও বলেন, ‘আমি সেতুটি নির্মাণের সময় একাধিকবার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। সেতু নির্মাণে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। আর নতুন সড়ক করলে মাটি কিছুটা ফাঁপা থাকে, যার কারণে ভাঙন দেখা দেয়।’
হায়দার আলী ভবনের সামনে হাজারো মানুষ, তিন পাশে শিক্ষার্থীদের মানবদেয়াল। দূর থেকে হাজার চোখ উঁকি দিচ্ছে ভবনের দিকে। প্রশিক্ষণ বিমানের আঘাতে এফোঁড়-ওফোঁড় হওয়া ভবনের বিশাল জায়গাজুড়ে দেয়ালে ক্ষত। মেঝের নিচে বিশাল গর্ত। সেই গর্তে জমে রয়েছে পানি। ভবনটির সামনে ছড়ানো-ছিটানো শিক্ষার্থীদের পোড়া বই, লেখা...
১৮ মিনিট আগেমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি একাডেমিক ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রশিক্ষণে নিরাপত্তাঝুঁকি এড়াতে ঢাকার বাইরের এয়ারফিল্ডগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, ঢাকার বাইরে পড়ে থাকা ছয়টি এয়ারফিল্ড সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হলে...
২৪ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান বিধ্বস্তে আহত ও নিহতদের একটি বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও মৃতদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় মোট ৬৭ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং ২৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
২৯ মিনিট আগে২০২০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নদীটি খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু এখন আবার সেই নদীতেই চলছে বেপরোয়া বালু উত্তোলন। স্থানীয়দের অভিযোগ, টোক ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক কিরণ, মনোহরদী আওয়ামী লীগ নেতা কাজল মৃধা এবং যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম মিলে অন্তত ৩০–৩৫ জন প্রভাবশালীকে...
৩৬ মিনিট আগে