জয়পুরহাট প্রতিনিধি
‘খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে আগে বড় মাছ চাষ করে লোকসানে পড়েছিলাম। এক বছর আগে ইমুনা পারভীন টুম্পা নামের একজন মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে জি-৩ রুইয়ের রেণু পোনা সংগ্রহ করে চাষ শুরু করি। এখন আর লোকসান নয়, বরং অল্প খরচে অল্প সময়ে বেশি লাভবান হচ্ছি।’ এভাবেই জি-৩ রুই মাছ চাষ নিয়ে নিজের কথা জানান জয়পুরহাট সদর উপজেলার মধ্য দাদড়াযন্তী গ্রামের মাছচাষি ওয়াহিদ ফেরদৌস লিটন।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) উদ্ভাবিত ‘জি-৩ রুই’ মাছের এই উন্নত জাত বর্তমানে জয়পুরহাটের মাছচাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দ্রুত বর্ধনশীল, স্বাদে উৎকৃষ্ট এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় বাজারে মাছটির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
লিটন জানান, তিনি কয়েকজন শ্রমিকের সাহায্যে মূলত মাছের রেণু এবং পোনা চাষ করে থাকেন। জি-৩ রুই মাছের রেণু পোনাগুলো বড় হয়ে গেলে তিনটি পুকুরে ছেড়ে দেন এবং সেগুলো বিভিন্ন মাছচাষির কাছে বিক্রি করেন। লিটন বলেন, ‘তিনটি পুকুরে জি-৩ রুই চাষ করছি। সেখান থেকে মাত্র তিন মাসে ৮ মণ বা ৩২০ কেজি মাছ বিক্রি করে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা পেয়েছি। সব খরচ বাদে লাভ হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা। এই হিসাবে গড়ে মাসে ৩৫-৩৬ হাজার টাকা করে আয় হচ্ছে।’ তিনি জানান, তাঁর সাফল্য দেখে এলাকার আরও অনেকে উৎসাহিত হয়ে জি-৩ রুই মাছ চাষে এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে দাদড়া-নারায়ণপাড়ার সাজু ইসলাম, সুকতাহার গ্রামের শামসুদ্দিন ও চক জগদীশপুরের আসাদুজ্জামান রাব্বি রয়েছেন।
মাছচাষিরা জানিয়েছেন, এক বিঘা পুকুরে সঠিক পরিচর্যায় ৮-১০ মাসে ৪০০-৫০০ কেজি জি-৩ রুই মাছ উৎপাদন সম্ভব। বাজারে বিক্রি করে আয় হয় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। খরচ বাদেও লাভ থাকে ৫০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। চাষিরা আশা করছেন, সরকার প্রশিক্ষণ, পোনা সরবরাহ এবং বাজারজাতকরণে আরও সহায়তা দিলে জি-৩ রুই চাষ জয়পুরহাট জেলায় আরও বিস্তৃত হবে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সদরের ভাদসা এলাকার মুজাহিদ হ্যাচারিতে উৎপাদিত রেণু পোনাগুলো জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। সাধারণ রুইয়ের তুলনায় জি-৩ রুইয়ের গ্রোথ ২৫-৩০ শতাংশ বেশি। ফলে অল্প সময়ে ভালো মুনাফার সুযোগ থাকায় নতুন উদ্যোক্তারা এ চাষে এগিয়ে আসছেন। তিনি জানান, জয়পুরহাট সদর উপজেলার অন্তত ৪০ জন মাছচাষি বর্তমানে জি-৩ রুই মাছের পোনা চাষ করছেন। তাঁদের মধ্যে চৌমোহনী এলাকার সুজিত, জামালগঞ্জ এলাকার ইউসুফ, সুগারমিল-তাজুর মোড়ের এনামুল, ভাদসার ফরিদ, ধলাহার এলাকার সাহারুল ইসলাম ও রত্না নামের একজন নারী উদ্যোক্তাও রয়েছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, জি-৩ রুই মাছ চাষ একটি সময়োপযোগী ও লাভজনক উদ্যোগ। পুরো জেলায় বর্তমানে প্রায় ২০০ জন চাষি এ জাতের মাছ চাষ করছেন। চাষ সম্প্রসারিত হলে জয়পুরহাটে মাছ উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে জয়পুরহাট জেলায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। তবে ২০২২ সালের এক পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রায় ৯ হাজার চাষি সরাসরি পুকুরভিত্তিক মাছ চাষে জড়িত। প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জলাশয়ে বছরে ২৫ হাজার টন মাছ উৎপাদিত হয়।
‘খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে আগে বড় মাছ চাষ করে লোকসানে পড়েছিলাম। এক বছর আগে ইমুনা পারভীন টুম্পা নামের একজন মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে জি-৩ রুইয়ের রেণু পোনা সংগ্রহ করে চাষ শুরু করি। এখন আর লোকসান নয়, বরং অল্প খরচে অল্প সময়ে বেশি লাভবান হচ্ছি।’ এভাবেই জি-৩ রুই মাছ চাষ নিয়ে নিজের কথা জানান জয়পুরহাট সদর উপজেলার মধ্য দাদড়াযন্তী গ্রামের মাছচাষি ওয়াহিদ ফেরদৌস লিটন।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) উদ্ভাবিত ‘জি-৩ রুই’ মাছের এই উন্নত জাত বর্তমানে জয়পুরহাটের মাছচাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দ্রুত বর্ধনশীল, স্বাদে উৎকৃষ্ট এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় বাজারে মাছটির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
লিটন জানান, তিনি কয়েকজন শ্রমিকের সাহায্যে মূলত মাছের রেণু এবং পোনা চাষ করে থাকেন। জি-৩ রুই মাছের রেণু পোনাগুলো বড় হয়ে গেলে তিনটি পুকুরে ছেড়ে দেন এবং সেগুলো বিভিন্ন মাছচাষির কাছে বিক্রি করেন। লিটন বলেন, ‘তিনটি পুকুরে জি-৩ রুই চাষ করছি। সেখান থেকে মাত্র তিন মাসে ৮ মণ বা ৩২০ কেজি মাছ বিক্রি করে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা পেয়েছি। সব খরচ বাদে লাভ হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা। এই হিসাবে গড়ে মাসে ৩৫-৩৬ হাজার টাকা করে আয় হচ্ছে।’ তিনি জানান, তাঁর সাফল্য দেখে এলাকার আরও অনেকে উৎসাহিত হয়ে জি-৩ রুই মাছ চাষে এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে দাদড়া-নারায়ণপাড়ার সাজু ইসলাম, সুকতাহার গ্রামের শামসুদ্দিন ও চক জগদীশপুরের আসাদুজ্জামান রাব্বি রয়েছেন।
মাছচাষিরা জানিয়েছেন, এক বিঘা পুকুরে সঠিক পরিচর্যায় ৮-১০ মাসে ৪০০-৫০০ কেজি জি-৩ রুই মাছ উৎপাদন সম্ভব। বাজারে বিক্রি করে আয় হয় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। খরচ বাদেও লাভ থাকে ৫০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। চাষিরা আশা করছেন, সরকার প্রশিক্ষণ, পোনা সরবরাহ এবং বাজারজাতকরণে আরও সহায়তা দিলে জি-৩ রুই চাষ জয়পুরহাট জেলায় আরও বিস্তৃত হবে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সদরের ভাদসা এলাকার মুজাহিদ হ্যাচারিতে উৎপাদিত রেণু পোনাগুলো জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। সাধারণ রুইয়ের তুলনায় জি-৩ রুইয়ের গ্রোথ ২৫-৩০ শতাংশ বেশি। ফলে অল্প সময়ে ভালো মুনাফার সুযোগ থাকায় নতুন উদ্যোক্তারা এ চাষে এগিয়ে আসছেন। তিনি জানান, জয়পুরহাট সদর উপজেলার অন্তত ৪০ জন মাছচাষি বর্তমানে জি-৩ রুই মাছের পোনা চাষ করছেন। তাঁদের মধ্যে চৌমোহনী এলাকার সুজিত, জামালগঞ্জ এলাকার ইউসুফ, সুগারমিল-তাজুর মোড়ের এনামুল, ভাদসার ফরিদ, ধলাহার এলাকার সাহারুল ইসলাম ও রত্না নামের একজন নারী উদ্যোক্তাও রয়েছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, জি-৩ রুই মাছ চাষ একটি সময়োপযোগী ও লাভজনক উদ্যোগ। পুরো জেলায় বর্তমানে প্রায় ২০০ জন চাষি এ জাতের মাছ চাষ করছেন। চাষ সম্প্রসারিত হলে জয়পুরহাটে মাছ উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে জয়পুরহাট জেলায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। তবে ২০২২ সালের এক পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রায় ৯ হাজার চাষি সরাসরি পুকুরভিত্তিক মাছ চাষে জড়িত। প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জলাশয়ে বছরে ২৫ হাজার টন মাছ উৎপাদিত হয়।
সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দির পর এবার লুটপাটে অস্তিত্ব হারানোর পথে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার রাংপানি। সেখান থেকেও শুরু হয়েছে পাথর চুরি। দিনদুপুরে ঘটছে এসব ঘটনা। রাংপানি পর্যটনকেন্দ্র একসময় শ্রীপুর নামে পরিচিত ছিল। সালমান শাহসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় নায়কের সিনেমার শুটিং হয়েছিল সেই সময়।
২০ মিনিট আগেনদ-নদীতে পানি বাড়ায় রাজশাহী বিভাগের পাঁচ জেলায় কমপক্ষে সাড়ে ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে অনেক বাড়িঘর। গতকাল রোববার সকাল থেকে পদ্মার পানি কমছে। এর ফলে ভাঙন আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে নদীপারের মানুষ। এদিকে রংপুরের পীরগাছায় অর্ধশত পরিবার এখন নদীভাঙনের কারণে অসহায় দিন পার করছে
৩৯ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালেই ডেঙ্গুর হটস্পট রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।
৪২ মিনিট আগেকক্সবাজারের রামু উপজেলা সদর থেকে বাঁকখালী নদীর তীরের তিন কিলোমিটার আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে গেলেই রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের জাদিপাড়া। সড়কের পাশ ঘেঁষে ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন লাওয়ে জাদি (প্যাগোডা)।
১ ঘণ্টা আগে