নিয়াজ মোরশেদ, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট)
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে চায়ের দোকান ও হোটেলে বেড়েছে প্লাস্টিকের তৈরি ওয়ান টাইম কাপ ও প্লেটের ব্যবহার। করোনা ঝুঁকি এড়াতে নেওয়া এই কৌশল তৈরি করছে নতুন বিপদ। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্লাস্টিকের কাপ–প্লেটে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকায় তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ছাড়া অপচনশীল হওয়ায় এগুলো পরিবেশের জন্যও মারাত্মক হুমকি। অথচ এ ব্যাপারে নিশ্চুপ পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন। পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
জানা যায়, গত বছর দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে আক্কেলপুরে বাজার–হাট ও রাস্তাঘাটে লোক চলাচল তেমন ছিল না। পরে ধীরে ধীরে বাইরে মানুষ বাড়তে থাকে। ভোক্তাদের করোনা–আতঙ্ক দূর করতে চায়ের দোকান ও খাবারের হোটেলে শুরু হয় প্লাস্টিকের কাপ ও প্লেট ব্যবহারের কৌশল। একপর্যায়ে ব্যবহার ব্যাপক বাড়ে। মাঝে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় অপচনশীল এই প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমে গিয়েছিল। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে আবারও চা দোকান–হোটেলে বেড়েছে ওয়ান টাইম কাপ–প্লেটের ব্যবহার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার চায়ের দোকান আছে। এসব দোকানে দিনে অন্তত ৫০ হাজার কাপ চা বিক্রি হয়। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ দোকানিই ওয়ান টাইম কাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহৃত কাপ ফেলা হয় যত্রতত্র। অপচনশীল এই কাপ এখন পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
চায়ের দোকানিরা জানান, করোনার কারণে অনেকে কাঁচের কাপে চা পান করতে চান না। এ কারণে প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম কাপে চা দেন। এতে তাঁদের লাভ কমেছে।
উপজেলা সদরের কলেজ বাজারের মুদি দোকানি শিপন হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে চাহিদা থাকায় এখন প্রায় সব মুদি দোকানেই ওয়ান টাইম কাপ বিক্রি হচ্ছে। তিনি ওয়ান টাইম প্লেট বিক্রি করেন।
বাজারের প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সুইডেন বলেন, উপজেলার বাজারে শ’ খানেক দোকানে ওয়ান টাইম প্লাস্টিকসামগ্রী বিক্রি হতো। লকডাউনে তাঁর দোকানের মতো দোকানগুলো বন্ধ থাকায় প্লাস্টিকের কাপ এখন সব মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে। চলমান লকডাউন বাড়তে থাকলে এই কাপের ব্যবহার আরও বাড়বে। যা পরিবেশের ঝুঁকি বাড়াবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল আমিন বলেন, ‘প্লাস্টিকের কাপে চা বা গরম পানি পান করলে ক্যান্সার, হার্ট, কিডনি, লিভারসহ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এসব পণ্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। সেই সঙ্গে এসব অপচনশীল প্লাস্টিকের কাপ ও প্লেট পরিবেশের জন্যও হুমকি।
আক্কেলপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, প্লাস্টিকের কাপ–প্লেট ব্যবহার রোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বগুড়া বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মো. মাসুদ রানা বলেন, প্লাস্টিকের তৈরি ওয়ান টাইম কাপ, প্লেটের ব্যবহার আদালত নিষিদ্ধ করেছে। এ অঞ্চলে এসব তৈরির কোনো কারখানা নেই, এগুলো ঢাকা থেকে আসছে। সেখানে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। পলিথিন যেমন অপচনশীল, তেমনি ওয়ান টাইম কাপ, গ্লাস ও প্লেটও অপচনশীল। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে চায়ের দোকান ও হোটেলে বেড়েছে প্লাস্টিকের তৈরি ওয়ান টাইম কাপ ও প্লেটের ব্যবহার। করোনা ঝুঁকি এড়াতে নেওয়া এই কৌশল তৈরি করছে নতুন বিপদ। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্লাস্টিকের কাপ–প্লেটে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকায় তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ছাড়া অপচনশীল হওয়ায় এগুলো পরিবেশের জন্যও মারাত্মক হুমকি। অথচ এ ব্যাপারে নিশ্চুপ পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন। পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
জানা যায়, গত বছর দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে আক্কেলপুরে বাজার–হাট ও রাস্তাঘাটে লোক চলাচল তেমন ছিল না। পরে ধীরে ধীরে বাইরে মানুষ বাড়তে থাকে। ভোক্তাদের করোনা–আতঙ্ক দূর করতে চায়ের দোকান ও খাবারের হোটেলে শুরু হয় প্লাস্টিকের কাপ ও প্লেট ব্যবহারের কৌশল। একপর্যায়ে ব্যবহার ব্যাপক বাড়ে। মাঝে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় অপচনশীল এই প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমে গিয়েছিল। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে আবারও চা দোকান–হোটেলে বেড়েছে ওয়ান টাইম কাপ–প্লেটের ব্যবহার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার চায়ের দোকান আছে। এসব দোকানে দিনে অন্তত ৫০ হাজার কাপ চা বিক্রি হয়। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ দোকানিই ওয়ান টাইম কাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহৃত কাপ ফেলা হয় যত্রতত্র। অপচনশীল এই কাপ এখন পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
চায়ের দোকানিরা জানান, করোনার কারণে অনেকে কাঁচের কাপে চা পান করতে চান না। এ কারণে প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম কাপে চা দেন। এতে তাঁদের লাভ কমেছে।
উপজেলা সদরের কলেজ বাজারের মুদি দোকানি শিপন হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে চাহিদা থাকায় এখন প্রায় সব মুদি দোকানেই ওয়ান টাইম কাপ বিক্রি হচ্ছে। তিনি ওয়ান টাইম প্লেট বিক্রি করেন।
বাজারের প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সুইডেন বলেন, উপজেলার বাজারে শ’ খানেক দোকানে ওয়ান টাইম প্লাস্টিকসামগ্রী বিক্রি হতো। লকডাউনে তাঁর দোকানের মতো দোকানগুলো বন্ধ থাকায় প্লাস্টিকের কাপ এখন সব মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে। চলমান লকডাউন বাড়তে থাকলে এই কাপের ব্যবহার আরও বাড়বে। যা পরিবেশের ঝুঁকি বাড়াবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল আমিন বলেন, ‘প্লাস্টিকের কাপে চা বা গরম পানি পান করলে ক্যান্সার, হার্ট, কিডনি, লিভারসহ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এসব পণ্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। সেই সঙ্গে এসব অপচনশীল প্লাস্টিকের কাপ ও প্লেট পরিবেশের জন্যও হুমকি।
আক্কেলপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, প্লাস্টিকের কাপ–প্লেট ব্যবহার রোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বগুড়া বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মো. মাসুদ রানা বলেন, প্লাস্টিকের তৈরি ওয়ান টাইম কাপ, প্লেটের ব্যবহার আদালত নিষিদ্ধ করেছে। এ অঞ্চলে এসব তৈরির কোনো কারখানা নেই, এগুলো ঢাকা থেকে আসছে। সেখানে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। পলিথিন যেমন অপচনশীল, তেমনি ওয়ান টাইম কাপ, গ্লাস ও প্লেটও অপচনশীল। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২
২ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত একটি পানি সরবরাহ প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও আজ পর্যন্ত পৌরবাসীর ঘরে পৌঁছায়নি একফোঁটা পানি। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর অগ্রগতি ‘শূন্য’। ঠিকাদারি প্রত
২ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানসহ পর্যটন এলাকায় গতি আনতে ২০১৮ সালে তাহিরপুরের ডাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্টো গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেতু চালু নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
২ ঘণ্টা আগে