প্রতিনিধি, জামালপুর
স্বামীর বেকারত্বের কারণে সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তা আর হতাশায় দিন কাটত সালমা সুলতানার। একসময় সংসারে সুখশান্তির আশায় ঋণ করে ইরাকে পাড়ি জমান স্বামী লোমান রেজা সুলতানী। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে গিয়ে বেকার জীবনে কোনোরকমে নিজে বেঁচে থাকার যুদ্ধে নামতে হয় লোমান রেজাকে। স্বামীর চিন্তা ও ঋণের চাপে দিন দিন হতাশা বাড়ে সালমার। একসময় মাথায় আসে পাখি লালনপালনের। প্রথমে এক জোড়া পাখি কিনে পালন শুরু করেন। ক্রমেই বাড়তে থাকে খামার। স্থানীয় বাজারে পাখি বিক্রি শুরু হয়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্বামীকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। শুরু হয় সালমা-লোমান দম্পতির পাখি পালন।
সেই থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্ল্যা ইউনিয়নের সুলতাননগর গ্রামের সালমা সুলতানাকে। এখন তাঁর খামারে ৪০ প্রজাতির প্রায় ৩ হাজার পাখি রয়েছে। একই সঙ্গে যুক্ত করেছেন বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর। সেখান থেকে প্রতি মাসে এই দম্পতির আয় লাখ টাকা। এই খামার দিয়ে তাঁরা এখন দেশ-বিদেশে আলোচিত। স্বাবলম্বী এখন তাঁরা। এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে সালমা এখন ‘পাখির মা’ নামে পরিচিত।
সদর উপজেলার তিতপল্ল্যা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বামুনজী বিলের পাশের সড়ক ধরে সুলতাননগর গ্রাম। যে কেউ এই গ্রামে ঢুকে ‘পাখির মা’র বাড়ির কথা বললেই সবাই হাসিমুখে বলে দেবে সালমার বাড়ির ঠিকানা। আর বাড়ির রাস্তায় পা রাখতেই পাখি আর কবুতরের চেঁচামেচির শব্দে মন ভরে উঠবে। বাড়িতে গিয়ে দেখা মিলবে পাখি আর কবুতরের খামার পরিচর্যা করছেন সালমা-লোমান। বড় বড় শেড ঘরে বিশাল পাখির খামার। সেখানে পরিচিত হওয়া যাবে বিভিন্ন লাভ বার্ড, বদরিকা, বাজেরিগার, টিয়া, গিরিবাজ, নাইটিঙ্গেল, ককটেল, জেব্রা ফিঞ্চ, স্টার ফিঞ্চ, কবুতরসহ ৪০ প্রজাতির পাখির সঙ্গে।
সালমা সুলতানা বলেন, খামারে প্রতি মাসে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পাখি ও কবুতর বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। সব বাদ দিয়ে প্রায় লাখ টাকা থেকে যাচ্ছে। এই টাকা দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ দিচ্ছেন। সংসারে এখন অভাব নেই। পুরো পরিবার ভালোভাবে চলছে। সালমার খামার ঘুরে দেখা যায়, ৪৫ হাজার টাকা জোড়া জাপানি বাজেরিগার পাখি, ৭ হাজার টাকা জোড়া লাভ বার্ড, ৬০ হাজার টাকা জোড়ার কবুতর রয়েছে। সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা জোড়ার পাখিও রয়েছে।
লোমান রেজা সুলতানী বলেন, ‘বর্তমানে খামারের পাখিরা মাসে প্রায় ২ হাজার বাচ্চা দেয়। এক মাসের মধ্যেই বাচ্চাগুলো বিক্রির উপযোগী হয়। এই খামার থেকে আমাদের যে আয় হচ্ছে, তার চেয়ে বড় কথা বেকারত্ব দূরীকরণ। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজে কর্মসংস্থান করার চেয়ে বড় পেশা আর নেই। ছোট্ট পরিসর থেকে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছি। বর্তমানে আমার সেই ছোট্ট পরিসরের পাখি লালনপালন বাণিজ্যিক রূপ ধারণ করেছে। আমি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাবলম্বী। যাঁরা বেকার, তাঁরাও এভাবে পাখি বা কবুতর লালনপালন শুরু করতে পারেন।’
এসব পাখি ও কবুতর কিনতে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া থেকে পাইকারেরা আসেন। অনলাইনে, মোবাইল ফোনে এবং পাখি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এমবিএ নামের ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। গ্রুপের মাধ্যমেই ক্রেতারা বাড়ি অথবা মোবাইল ফোনে পাখি কিনে নিয়ে যেতে পারেন। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিকদের মাধ্যমে এসব অর্ডার পৌঁছে দেওয়া হয়।
স্বামীর বেকারত্বের কারণে সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তা আর হতাশায় দিন কাটত সালমা সুলতানার। একসময় সংসারে সুখশান্তির আশায় ঋণ করে ইরাকে পাড়ি জমান স্বামী লোমান রেজা সুলতানী। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে গিয়ে বেকার জীবনে কোনোরকমে নিজে বেঁচে থাকার যুদ্ধে নামতে হয় লোমান রেজাকে। স্বামীর চিন্তা ও ঋণের চাপে দিন দিন হতাশা বাড়ে সালমার। একসময় মাথায় আসে পাখি লালনপালনের। প্রথমে এক জোড়া পাখি কিনে পালন শুরু করেন। ক্রমেই বাড়তে থাকে খামার। স্থানীয় বাজারে পাখি বিক্রি শুরু হয়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্বামীকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। শুরু হয় সালমা-লোমান দম্পতির পাখি পালন।
সেই থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্ল্যা ইউনিয়নের সুলতাননগর গ্রামের সালমা সুলতানাকে। এখন তাঁর খামারে ৪০ প্রজাতির প্রায় ৩ হাজার পাখি রয়েছে। একই সঙ্গে যুক্ত করেছেন বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর। সেখান থেকে প্রতি মাসে এই দম্পতির আয় লাখ টাকা। এই খামার দিয়ে তাঁরা এখন দেশ-বিদেশে আলোচিত। স্বাবলম্বী এখন তাঁরা। এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে সালমা এখন ‘পাখির মা’ নামে পরিচিত।
সদর উপজেলার তিতপল্ল্যা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বামুনজী বিলের পাশের সড়ক ধরে সুলতাননগর গ্রাম। যে কেউ এই গ্রামে ঢুকে ‘পাখির মা’র বাড়ির কথা বললেই সবাই হাসিমুখে বলে দেবে সালমার বাড়ির ঠিকানা। আর বাড়ির রাস্তায় পা রাখতেই পাখি আর কবুতরের চেঁচামেচির শব্দে মন ভরে উঠবে। বাড়িতে গিয়ে দেখা মিলবে পাখি আর কবুতরের খামার পরিচর্যা করছেন সালমা-লোমান। বড় বড় শেড ঘরে বিশাল পাখির খামার। সেখানে পরিচিত হওয়া যাবে বিভিন্ন লাভ বার্ড, বদরিকা, বাজেরিগার, টিয়া, গিরিবাজ, নাইটিঙ্গেল, ককটেল, জেব্রা ফিঞ্চ, স্টার ফিঞ্চ, কবুতরসহ ৪০ প্রজাতির পাখির সঙ্গে।
সালমা সুলতানা বলেন, খামারে প্রতি মাসে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পাখি ও কবুতর বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। সব বাদ দিয়ে প্রায় লাখ টাকা থেকে যাচ্ছে। এই টাকা দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ দিচ্ছেন। সংসারে এখন অভাব নেই। পুরো পরিবার ভালোভাবে চলছে। সালমার খামার ঘুরে দেখা যায়, ৪৫ হাজার টাকা জোড়া জাপানি বাজেরিগার পাখি, ৭ হাজার টাকা জোড়া লাভ বার্ড, ৬০ হাজার টাকা জোড়ার কবুতর রয়েছে। সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা জোড়ার পাখিও রয়েছে।
লোমান রেজা সুলতানী বলেন, ‘বর্তমানে খামারের পাখিরা মাসে প্রায় ২ হাজার বাচ্চা দেয়। এক মাসের মধ্যেই বাচ্চাগুলো বিক্রির উপযোগী হয়। এই খামার থেকে আমাদের যে আয় হচ্ছে, তার চেয়ে বড় কথা বেকারত্ব দূরীকরণ। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজে কর্মসংস্থান করার চেয়ে বড় পেশা আর নেই। ছোট্ট পরিসর থেকে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছি। বর্তমানে আমার সেই ছোট্ট পরিসরের পাখি লালনপালন বাণিজ্যিক রূপ ধারণ করেছে। আমি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাবলম্বী। যাঁরা বেকার, তাঁরাও এভাবে পাখি বা কবুতর লালনপালন শুরু করতে পারেন।’
এসব পাখি ও কবুতর কিনতে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া থেকে পাইকারেরা আসেন। অনলাইনে, মোবাইল ফোনে এবং পাখি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এমবিএ নামের ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। গ্রুপের মাধ্যমেই ক্রেতারা বাড়ি অথবা মোবাইল ফোনে পাখি কিনে নিয়ে যেতে পারেন। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিকদের মাধ্যমে এসব অর্ডার পৌঁছে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৫ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৫ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৬ ঘণ্টা আগে