আটপাড়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার আটপাড়ায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় যুবদলের তিন নেতার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। এতে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব নূর মোহাম্মদ খান ফরিদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়। নাম উল্লেখ করা অন্য দুই আসামি হলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাসছির হোসেন ওরফে কাইয়ুম ও কামাল মিয়া।
উপজেলা প্রশাসন, মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল থেকে উপজেলা পরিষদসংলগ্ন মুক্তমঞ্চে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান চলছিল। এতে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশন চলাকালে ‘উপজেলা প্রশাসন বিদ্যানিকেতন’-এর শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করছিল। এ সময় যুবদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে ইউএনওকে এখনই তা বন্ধ করতে বলেন। ইউএন কারণ জানতে চাইলে উল্টো প্রশ্ন করা হয়, মঞ্চের ব্যানারে স্থান হিসেবে ‘উপজেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্বর’ কেন লেখা হয়েছে? এ কথা বলে নেতা-কর্মীরা মঞ্চে উঠে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, ‘এ সময় ইউএনওসহ কর্মকর্তারা বাধা দিতে চাইলে ওই নেতারা তাঁদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে এক নেতা উপস্থাপককে মারধর করে মাইক কেড়ে নিয়ে ইউএনওকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দসহ ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যায়িত করে আন্দোলনের ঘোষণা দেন।’
প্রত্যক্ষদর্শী এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তখন ইউএনও বলেন ব্যানারে তো কোনো বঙ্গবন্ধু চত্বর লেখা নেই। তখন সদস্যসচিব নূর ফরিদ আবারও বলেন, না ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর নাম আছে। ফেসবুকেও ব্যানারের ছবি পোস্ট আছে। আমার ফোনেও এই ছবি একজন পাঠিয়েছেন। অনুষ্ঠান এখনই বন্ধ করতে হবে। এমন বিশৃঙ্খলার কারণে একপর্যায়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। পরে দেখা যায় ফেসবুকে পোস্ট করা ওই ছবিটি বাংলা ১৪৩০ সালের।’
এ বিষয়ে ইউএনও রুয়েল সাংমা বলেন, ‘উপজেলার যুবদলের সদস্যসচিব নূর মোহাম্মদ খান ফরিদের নেতৃত্বে কাইয়ুম, কামালসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে হঠাৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মঞ্চের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় আমি কারণ জানতে চাইলে আমাকেসহ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। উপস্থাপককে মারধর করে মাইক হাতে নিয়ে আমাকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার মামলা হয়েছে।’
জানতে চাইলে নূর ফরিদ বলেন, ‘ওই দিন আমরা একটি স্থানে বসেছিলাম। হঠাৎ একজন আমার মেসেঞ্জারে একটি ব্যানারের ছবি দেয়। ওই ব্যানারে বঙ্গবন্ধু চত্বর লেখা ছিল। ফেসবুকেও একজনের শেয়ার দেখেছি। পরে আমরা মঞ্চে গিয়ে কারণ জানতে চাই। এ সময় আমাদের দলের কাইয়ুম, কামাল হোসেনসহ কয়েকজন ব্যানার নামিয়ে ফেলেন। পরে প্রশাসনের লোকজন আমাদের নিশ্চিত করেন যে ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর নাম নেই। বিষয়টি আমাদের ভুল হয়ে গেছে। এর জন্য আমরা ইউএনওর কাছে ভুল স্বীকার করেছি, মাফ চেয়েছি, আপনারাও বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আমরা কাউকে লাঞ্ছিত করিনি। এই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মামলা করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, ‘আটপাড়া উপজেলা প্রশাসনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের দলীয়ভাবে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
যোগাযোগ করা হলে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, মঞ্চে হামলা, ভাঙচুর, অনুষ্ঠান পণ্ড করাসহ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নেত্রকোনার আটপাড়ায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় যুবদলের তিন নেতার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। এতে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব নূর মোহাম্মদ খান ফরিদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়। নাম উল্লেখ করা অন্য দুই আসামি হলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাসছির হোসেন ওরফে কাইয়ুম ও কামাল মিয়া।
উপজেলা প্রশাসন, মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল থেকে উপজেলা পরিষদসংলগ্ন মুক্তমঞ্চে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান চলছিল। এতে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশন চলাকালে ‘উপজেলা প্রশাসন বিদ্যানিকেতন’-এর শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করছিল। এ সময় যুবদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে ইউএনওকে এখনই তা বন্ধ করতে বলেন। ইউএন কারণ জানতে চাইলে উল্টো প্রশ্ন করা হয়, মঞ্চের ব্যানারে স্থান হিসেবে ‘উপজেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্বর’ কেন লেখা হয়েছে? এ কথা বলে নেতা-কর্মীরা মঞ্চে উঠে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, ‘এ সময় ইউএনওসহ কর্মকর্তারা বাধা দিতে চাইলে ওই নেতারা তাঁদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে এক নেতা উপস্থাপককে মারধর করে মাইক কেড়ে নিয়ে ইউএনওকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দসহ ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যায়িত করে আন্দোলনের ঘোষণা দেন।’
প্রত্যক্ষদর্শী এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তখন ইউএনও বলেন ব্যানারে তো কোনো বঙ্গবন্ধু চত্বর লেখা নেই। তখন সদস্যসচিব নূর ফরিদ আবারও বলেন, না ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর নাম আছে। ফেসবুকেও ব্যানারের ছবি পোস্ট আছে। আমার ফোনেও এই ছবি একজন পাঠিয়েছেন। অনুষ্ঠান এখনই বন্ধ করতে হবে। এমন বিশৃঙ্খলার কারণে একপর্যায়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। পরে দেখা যায় ফেসবুকে পোস্ট করা ওই ছবিটি বাংলা ১৪৩০ সালের।’
এ বিষয়ে ইউএনও রুয়েল সাংমা বলেন, ‘উপজেলার যুবদলের সদস্যসচিব নূর মোহাম্মদ খান ফরিদের নেতৃত্বে কাইয়ুম, কামালসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে হঠাৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মঞ্চের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় আমি কারণ জানতে চাইলে আমাকেসহ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। উপস্থাপককে মারধর করে মাইক হাতে নিয়ে আমাকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার মামলা হয়েছে।’
জানতে চাইলে নূর ফরিদ বলেন, ‘ওই দিন আমরা একটি স্থানে বসেছিলাম। হঠাৎ একজন আমার মেসেঞ্জারে একটি ব্যানারের ছবি দেয়। ওই ব্যানারে বঙ্গবন্ধু চত্বর লেখা ছিল। ফেসবুকেও একজনের শেয়ার দেখেছি। পরে আমরা মঞ্চে গিয়ে কারণ জানতে চাই। এ সময় আমাদের দলের কাইয়ুম, কামাল হোসেনসহ কয়েকজন ব্যানার নামিয়ে ফেলেন। পরে প্রশাসনের লোকজন আমাদের নিশ্চিত করেন যে ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর নাম নেই। বিষয়টি আমাদের ভুল হয়ে গেছে। এর জন্য আমরা ইউএনওর কাছে ভুল স্বীকার করেছি, মাফ চেয়েছি, আপনারাও বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আমরা কাউকে লাঞ্ছিত করিনি। এই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মামলা করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, ‘আটপাড়া উপজেলা প্রশাসনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের দলীয়ভাবে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
যোগাযোগ করা হলে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, মঞ্চে হামলা, ভাঙচুর, অনুষ্ঠান পণ্ড করাসহ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৬ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৬ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৬ ঘণ্টা আগে