Ajker Patrika

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে তালায় বৃষ্টি, খেতে পানি জমে সবজির ক্ষতির শঙ্কা

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৭: ৪৮
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে তালায় বৃষ্টি, খেতে পানি জমে সবজির ক্ষতির শঙ্কা

সাতক্ষীরার তালায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টি। এতে সবজিখেতে জমেছে পানি, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। ফসলের ক্ষতির শঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ। 

সকালে উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের মহান্দি এলাকায় দেখা যায়, কৃষকেরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, বেগুন ও মুলার চাষ করছেন। অধিকাংশ কাঁচা ফসলের জমিতে পানি জমে আছে। কৃষকেরা মাঠে ফসলের জমিতে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আলু রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করে রেখেছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন সবজির বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। সেগুলোও নষ্ট হওয়ার উপক্রম। 

মহান্দি গ্রামের কৃষক অসীম কুমার বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছি। এভাবে যদি দুই দিন বৃষ্টি হয়, তাহলে অধিকাংশ বেগুনগাছ মারা যাবে। অসময়ে বৃষ্টির কারণে বেগুনগাছে পোকার আক্রমণ হয়। গাছ, ফুল ও ফলে পচন ধরে। এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করতে পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়। যদি ফসল ভালো হয় ও ভালো দাম পাওয়া যায়, তাহলে বিঘাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আয় হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আমিসহ সব বেগুনচাষি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ব।’ 

আরেক কৃষক ইমান আলী শেখ বলেন, ‘প্রায় দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করেছি। যদি এভাবে বৃষ্টি হয়, তাহলে একটি কপিও আর বিক্রি করা যাবে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করে চাষাবাদ করেছি। সবেমাত্র ফসল বিক্রি শুরু হয়েছে। এখন যদি এই ফসল নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে পথে বসে যাব।’ 

কৃষক মোকছেদ আলী খাঁ বলেন, ‘অনেকেই ধান কাটা শুরু করেছেন। কিছুদিন আগে কারেন্ট পোকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এখন ধান কাটার সময়। এখন যদি বৃষ্টি বেশি হয় তাহলে কৃষকের অধিকাংশ ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র কৃষকেরা পথে বসে যাব।’ 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, উপজেলায় প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমিতে কাঁচা ফলের চাষাবাদ হয়েছে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়নি। তবে বৃষ্টি বেশি হলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত