আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
বর্ষাকালে পানিতে থই থই করে খাল-বিল, নদী-নালা। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টিতে প্রকৃতির চিরাচরিত সেই নিয়ম যেন পাল্টে গেছে। আষাঢ় শেষে শ্রাবণ পার হতে চললেও কোথাও পানির দেখা নেই। খরায় মাঠঘাট খাঁ খাঁ করছে। এতে বিপাকে পড়েছেন আমনচাষিরা। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষক খেতে আমনের চারা রোপণ করতে পারছেন না। পুকুর ও ডোবা-নালা শুকিয়ে থাকায় পাট কেটে জাগ দেওয়া নিয়েও বিপাকে আছেন তাঁরা।
এদিকে বৃষ্টি না থাকলেও সেচের পানিতে কৃষক আমন চাষ শুরু করবেন তারও উপায় নেই। লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো সেচযন্ত্র চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সংকট তীব্র হচ্ছে যশোরের মনিরামপুরের কৃষকদের।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি দপ্তর বলছে, জুনের মাঝামাঝি আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়। জুলাইয়ের মাঝামাঝি কৃষক খেতে আমন রোপণ শুরু করেন। এ বছর ২২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পুরোপুরি আমন চাষ শুরু হয়নি। সময়মতো চাষ শুরু করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ঢাকুরিয়া, কাশিমনগর, খেদাপাড়া, রোহিতা, ঝাঁপা, চালুয়াহাটি, শ্যামকুড়ের মাঠগুলোতে কিছু কৃষক সেচের পানিতে আমন রোপণ করেছেন। অনেকে জমি চাষ করে বৃষ্টির অপেক্ষায় ফেলে রেখেছেন। পানি কিনে আমন রোপণের ইচ্ছা থাকলেও দিনে সাত-আট ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে সেচযন্ত্রের মালিকেরা কৃষকদের জমিতে পানি দিতে পারছেন না। ফলে মৌসুম পার হতে চললেও পুরোপুরি এ উপজেলায় আমন চাষ এখনো শুরু হয়নি।
উপজেলার মামুদকাটি গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘খেতে পানি জমার মতো বৃষ্টি হচ্ছে না। পানি কিনে ১৫ কাঠায় ধান রোপণ করিছি। অন্য মাঠে একখণ্ড জমি আছে। সেখানে এখনো সেচের পানি ঢোকেনি। বৃষ্টি না হলি এবারও বোরো চাষের মতো আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পানির দাম দেওয়া লাগবে।’
রঘুনাথপুর মাঠের সেচযন্ত্রের মালিক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার স্কিমের আওতায় ২০ বিঘা জমি। তার মধ্যে নিজের সাড়ে ৩ বিঘা। প্রতিবার বৃষ্টির পানিতে আমন হয়েছে। প্রথম দিকে দুই-একটা সেচ দিতে হতো। এবার শুরু থেকে সেচের পানিতে আমন চাষ হচ্ছে। বোরো চাষের মতো ২৪ ঘণ্টা মোটর চালু রাখতে হচ্ছে। কিন্তু ঠিকমতো বিদ্যুৎ না থাকায় মোটর চালাতে পারছি না। মোটর চালু করে রাস্তায় ওঠার পর আবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।’
মামুদকাটি এলাকার গভীর নলকূপের মালিক আবু হানিফ বলেন, ‘৭০-৮০ বিঘা জমি আমার স্কিমে। চার দিন আগে পানি ছাড়িছি। মোটর চালু করে জমি ভেজানো শেষ না হতেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আবার বিদ্যুৎ আসার আগে সেই জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। এখনো কোনো মাঠে ঠিকমতো পানি ঢুকাতে পারিনি।’
আবু হানিফ বলেন, ‘৪০০ আঁটি পাট হয়েছে। হরিহর নদের গর্তের পানিতে কোনো রকম জাগ দিছি। বৃষ্টি না হলে গর্তের পানি শুকিয়ে যাবে। পাট পচবে না। পানি না পাওয়ায় আমাদের এদিকে কেউ পাট কাটতে পারছে না।’
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ায় আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষক ও সেচপাম্প মালিকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করছি। সেচপাম্প চালু করে আমন চাষ শুরুর পরামর্শ দিচ্ছি। অনেকে পাম্প চালু করেছেন। অনেকে চালুর উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
বর্ষাকালে পানিতে থই থই করে খাল-বিল, নদী-নালা। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টিতে প্রকৃতির চিরাচরিত সেই নিয়ম যেন পাল্টে গেছে। আষাঢ় শেষে শ্রাবণ পার হতে চললেও কোথাও পানির দেখা নেই। খরায় মাঠঘাট খাঁ খাঁ করছে। এতে বিপাকে পড়েছেন আমনচাষিরা। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষক খেতে আমনের চারা রোপণ করতে পারছেন না। পুকুর ও ডোবা-নালা শুকিয়ে থাকায় পাট কেটে জাগ দেওয়া নিয়েও বিপাকে আছেন তাঁরা।
এদিকে বৃষ্টি না থাকলেও সেচের পানিতে কৃষক আমন চাষ শুরু করবেন তারও উপায় নেই। লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো সেচযন্ত্র চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সংকট তীব্র হচ্ছে যশোরের মনিরামপুরের কৃষকদের।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি দপ্তর বলছে, জুনের মাঝামাঝি আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়। জুলাইয়ের মাঝামাঝি কৃষক খেতে আমন রোপণ শুরু করেন। এ বছর ২২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পুরোপুরি আমন চাষ শুরু হয়নি। সময়মতো চাষ শুরু করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ঢাকুরিয়া, কাশিমনগর, খেদাপাড়া, রোহিতা, ঝাঁপা, চালুয়াহাটি, শ্যামকুড়ের মাঠগুলোতে কিছু কৃষক সেচের পানিতে আমন রোপণ করেছেন। অনেকে জমি চাষ করে বৃষ্টির অপেক্ষায় ফেলে রেখেছেন। পানি কিনে আমন রোপণের ইচ্ছা থাকলেও দিনে সাত-আট ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে সেচযন্ত্রের মালিকেরা কৃষকদের জমিতে পানি দিতে পারছেন না। ফলে মৌসুম পার হতে চললেও পুরোপুরি এ উপজেলায় আমন চাষ এখনো শুরু হয়নি।
উপজেলার মামুদকাটি গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘খেতে পানি জমার মতো বৃষ্টি হচ্ছে না। পানি কিনে ১৫ কাঠায় ধান রোপণ করিছি। অন্য মাঠে একখণ্ড জমি আছে। সেখানে এখনো সেচের পানি ঢোকেনি। বৃষ্টি না হলি এবারও বোরো চাষের মতো আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পানির দাম দেওয়া লাগবে।’
রঘুনাথপুর মাঠের সেচযন্ত্রের মালিক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার স্কিমের আওতায় ২০ বিঘা জমি। তার মধ্যে নিজের সাড়ে ৩ বিঘা। প্রতিবার বৃষ্টির পানিতে আমন হয়েছে। প্রথম দিকে দুই-একটা সেচ দিতে হতো। এবার শুরু থেকে সেচের পানিতে আমন চাষ হচ্ছে। বোরো চাষের মতো ২৪ ঘণ্টা মোটর চালু রাখতে হচ্ছে। কিন্তু ঠিকমতো বিদ্যুৎ না থাকায় মোটর চালাতে পারছি না। মোটর চালু করে রাস্তায় ওঠার পর আবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।’
মামুদকাটি এলাকার গভীর নলকূপের মালিক আবু হানিফ বলেন, ‘৭০-৮০ বিঘা জমি আমার স্কিমে। চার দিন আগে পানি ছাড়িছি। মোটর চালু করে জমি ভেজানো শেষ না হতেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আবার বিদ্যুৎ আসার আগে সেই জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। এখনো কোনো মাঠে ঠিকমতো পানি ঢুকাতে পারিনি।’
আবু হানিফ বলেন, ‘৪০০ আঁটি পাট হয়েছে। হরিহর নদের গর্তের পানিতে কোনো রকম জাগ দিছি। বৃষ্টি না হলে গর্তের পানি শুকিয়ে যাবে। পাট পচবে না। পানি না পাওয়ায় আমাদের এদিকে কেউ পাট কাটতে পারছে না।’
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ায় আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষক ও সেচপাম্প মালিকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করছি। সেচপাম্প চালু করে আমন চাষ শুরুর পরামর্শ দিচ্ছি। অনেকে পাম্প চালু করেছেন। অনেকে চালুর উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৭ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৭ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৭ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৭ ঘণ্টা আগে