Ajker Patrika

রোদে পুড়ে যাচ্ছে বাদামখেত

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ মে ২০২৩, ১৫: ৫৭
Thumbnail image

মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতির বুকে জেগে ওঠা বালুচরগুলোতে এবার বাদামের প্রচুর আবাদ হয়েছে। তবে খরতাপে পুড়ে যাচ্ছে বাদামগাছ। নষ্ট হচ্ছে শত শত বিঘা চরের জমির বাদাম। এতে ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা।

এদিকে খরার কারণে বাদাম উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার রায়পুর, চরসলামতপুর, হরিনাডাঙ্গা, পাল্লা, চরপাল্লা ঝামা, রায়পাশা, চরঝামা, জাঙ্গালিয়াসহ অন্যান্য চরে চিনাবাদামের চাষ হয়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু প্রচণ্ড খরার কারণে খেতেই ফসল পুড়ে যাচ্ছে।

আজ সোমবার মধুমতি নদীর রায়পুর ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধুমতি নদীর চরের মধ্যে শতাধিক বিঘা জমিতে চিনাবাদাম রোপণ করা হয়েছে। সেই বাদামের জমির অধিকাংশ বাদাম গাছ রোদে পুড়ে শুকিয়ে গেছে। ফলে জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাদাম।

রায়পুর গ্রামের কৃষক আসাদ মোল্লা জানান, গত বছর তিনি এক একর জমিতে বাদাম চাষ করেন। ভালো ফলন হওয়ায় এবার করেছেন দুই একর জমিতে। কিন্তু বৃষ্টি না আসায় প্রায় খেতের অধিকাংশ বাদামগাছ রোদে পুড়ে গেছে। লাভের পরিবর্তে এবার লোকসান গুনতে হবে।

হরিণাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সোবাহান মিয়া জানান, তাঁরা দুই ভাই মিলে ৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার টাকা। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে খেত শুকিয়ে বাদাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খরার কারণে বাদামগাছ শুকিয়ে নেতিয়ে যাচ্ছে। এটা প্রাকৃতিক বিষয়। বৃষ্টির পানির বিকল্প নেই। খরার কারণে এবার ফলন কম হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত