ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
একটাই ঘর। তাতে টিনের চালা, মেঝে মাটির। ভেতরে ভাঙা একটি চৌকি। এ ঘরের পুব পাশে একটি গোয়াল ঘর। তবে তাতে নেই কোনো গবাদিপশু। ছোট উঠান, সেখানের বাতাসে খড়কুটোর গন্ধ। অনেক দিন সংস্কারহীন এ ঘরটি পরিবারটির দারিদ্র্যের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। অথচ এখানেই বেড়ে উঠেছেন অর্পিতা বিশ্বাস। বাংলাদেশের জন্য গর্ব করার মতো এক অর্জন নিয়ে এসেছেন যে কিশোরীরা তাদের অন্যতম অর্পিতা।
প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে শিরোপা এনে দেওয়া দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন অর্পিতা বিশ্বাস। মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালদহ গ্রামে তার বাড়ি।
বুঝতেই পারছেন, অর্পিতার মফস্বলের এক অজপাড়াগাঁ থেকে এইপর্যায়ে আসার পথটা মোটেই সহজ ছিল না।
অর্পিতার বাবা মনোরঞ্জন বিশ্বাস গোয়ালদহর ছোট্ট বাজারে সবজি বিক্রি করেন। প্রায় দুই দশক আগে এক দুর্ঘটনায় বাম পায়ে আঘাত পাওয়ায়, প্রতিবন্ধী দিন পার করছেন তিনি। অনেক সময় সবজি বিক্রি করতেও যেতে পারেন না। সংসারে হাল ধরতে অর্পিতার বড় ভাই কিশোর বিশ্বাস তাই এসএসসি পরীক্ষা না দিয়েই ইজিবাইক চালাচ্ছেন। তবে অর্পিতার ভাইয়ের ইজিবাইকটি আর দ্রুত গতিতে চলছে না। নতুন ব্যাটারি কেনা লাগবে। সেই টাকাটিও জোগাড় হচ্ছে না।
অর্পিতার স্বপ্ন বড় খেলোয়াড় হওয়া। প্রায় মাসে বিকিএসপিতে খরচ পাঠাতেও অনেকটা হিমশিম খেতে হয় বাবাকে। কিন্তু ধারদেনা করে হলেও মেয়ের খরচের টাকা তিনি ঠিকই পাঠান। পরিবারের একটু আয় বাড়াতে অর্পিতার মা গায়েত্রী বিশ্বাস গ্রামে গড়ে ওঠা এক পোশাক কারখানায় কাজ নিয়েছেন। পরিবারের মেয়ের স্বপ্ন পূরণে তাই মা-বাবা থেকে শুরু করে বড় ভাই তিনজনই খেটে যাচ্ছেন।
অর্পিতার বাবা মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, অর্পিতার ঠাকুরমা পরিষ্কার রানী বিশ্বাস বিছানায় অনেক দিন। তিনি নিজেও পা নিয়ে এখন হাঁটতে পারেন না। প্রায় সময় দোকানে যাওয়া হয় না। তাই সংসারটি মূলত অর্পিতার ভাই কিশোরই দেখে। এই দুরবস্থার মাঝে অর্পিতার এমন সাফল্য তাঁদের স্বপ্ন দেখালেও পরিবারের অভাব অনটন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।
অর্পিতার মা গায়েত্রী বিশ্বাস বলেন, ‘মেয়ের স্বপ্ন দেশের জন্য ভালো কিছু করা। ও যেহেতু খেলোয়াড়, তাই সেটাই ভালো করে করার চেষ্টা করছে। এতেই আমরা খুশি। আমরা অভাবে থাকি কিংবা না খেয়ে, এ নিয়ে ওকে ভাবতে নিষেধ করেছি। বলেছি তুমি তোমার সেরাটা খেলে যাও। মেয়ে এবার বাড়িতে আসলি অনেক মানুষ ওকে ধন্যবাদ দিতে আসবি শুনে ভালো লাগতেছে।’
কিন্তু অর্পিতা তেমন মেয়ে নয়। সারা দেশে তাকে নিয়ে মানুষ গর্ববোধ করলেও তার মন ঠিক পড়ে আছে গোয়ালদহের নিজেদের সেই খুপরি ঘরে। আজকের পত্রিকাকে মোবাইল ফোনে অর্পিতা বলেন, ‘আমার বাড়ি ফেরার সময় খুব তাড়াতাড়িই হবে বলে জেনেছি। বাফুফে থেকে অনেক সময় ছুটি দেয়, অনেক সময় দেয় না। আশা করছি ঈদে ছুটি পেয়ে যাব। তখন একছুটে মাগুরায় চলে যাবো। বাড়ি গিয়ে সবার সাথে আনন্দ করব। আমার বাবা-মা ও ভাই আমার জন্য অনেক কষ্ট করছে। তাদের (বাবা-মা) অনেক বয়স হয়ে গেছে। বাবাতো প্রায় হাঁটতেই পারেন না পায়ের সমস্যার কারণে। চেষ্টা করব নিজের প্রথম উপার্জন থেকে তাঁদের কিছু উপহার দিতে।’
গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম অর্পিতার শিক্ষক ও প্রথম প্রশিক্ষক। তিনি বলেন, ‘অর্পিতা খুব মেধাবী একটি মেয়ে। আমি তাকে স্কুলে তৈরি করি বিকিএসপিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য। প্রতি বছর আমাদের প্রশিক্ষণে অনেক মেয়ে বিকিএসপিতে ভর্তির সুযোগ পায়। অর্পিতা ভালো অবস্থানে গেছে শুধুমাত্র তার মেধার জোরে। এই মেয়েটির পারিবারিক অবস্থা খুব খারাপ। দিনে আনে দিনে খায় এমন। তবু সে পিছপা হয়নি। লেগে থেকেছে। তার পরিবারও তাকে সহযোগিতা করেছে। যে জন্য সে আজ দলের অধিনায়ক হয়ে সাফল্য ছিনিয়ে এনেছে।’
একটাই ঘর। তাতে টিনের চালা, মেঝে মাটির। ভেতরে ভাঙা একটি চৌকি। এ ঘরের পুব পাশে একটি গোয়াল ঘর। তবে তাতে নেই কোনো গবাদিপশু। ছোট উঠান, সেখানের বাতাসে খড়কুটোর গন্ধ। অনেক দিন সংস্কারহীন এ ঘরটি পরিবারটির দারিদ্র্যের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। অথচ এখানেই বেড়ে উঠেছেন অর্পিতা বিশ্বাস। বাংলাদেশের জন্য গর্ব করার মতো এক অর্জন নিয়ে এসেছেন যে কিশোরীরা তাদের অন্যতম অর্পিতা।
প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে শিরোপা এনে দেওয়া দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন অর্পিতা বিশ্বাস। মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালদহ গ্রামে তার বাড়ি।
বুঝতেই পারছেন, অর্পিতার মফস্বলের এক অজপাড়াগাঁ থেকে এইপর্যায়ে আসার পথটা মোটেই সহজ ছিল না।
অর্পিতার বাবা মনোরঞ্জন বিশ্বাস গোয়ালদহর ছোট্ট বাজারে সবজি বিক্রি করেন। প্রায় দুই দশক আগে এক দুর্ঘটনায় বাম পায়ে আঘাত পাওয়ায়, প্রতিবন্ধী দিন পার করছেন তিনি। অনেক সময় সবজি বিক্রি করতেও যেতে পারেন না। সংসারে হাল ধরতে অর্পিতার বড় ভাই কিশোর বিশ্বাস তাই এসএসসি পরীক্ষা না দিয়েই ইজিবাইক চালাচ্ছেন। তবে অর্পিতার ভাইয়ের ইজিবাইকটি আর দ্রুত গতিতে চলছে না। নতুন ব্যাটারি কেনা লাগবে। সেই টাকাটিও জোগাড় হচ্ছে না।
অর্পিতার স্বপ্ন বড় খেলোয়াড় হওয়া। প্রায় মাসে বিকিএসপিতে খরচ পাঠাতেও অনেকটা হিমশিম খেতে হয় বাবাকে। কিন্তু ধারদেনা করে হলেও মেয়ের খরচের টাকা তিনি ঠিকই পাঠান। পরিবারের একটু আয় বাড়াতে অর্পিতার মা গায়েত্রী বিশ্বাস গ্রামে গড়ে ওঠা এক পোশাক কারখানায় কাজ নিয়েছেন। পরিবারের মেয়ের স্বপ্ন পূরণে তাই মা-বাবা থেকে শুরু করে বড় ভাই তিনজনই খেটে যাচ্ছেন।
অর্পিতার বাবা মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, অর্পিতার ঠাকুরমা পরিষ্কার রানী বিশ্বাস বিছানায় অনেক দিন। তিনি নিজেও পা নিয়ে এখন হাঁটতে পারেন না। প্রায় সময় দোকানে যাওয়া হয় না। তাই সংসারটি মূলত অর্পিতার ভাই কিশোরই দেখে। এই দুরবস্থার মাঝে অর্পিতার এমন সাফল্য তাঁদের স্বপ্ন দেখালেও পরিবারের অভাব অনটন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।
অর্পিতার মা গায়েত্রী বিশ্বাস বলেন, ‘মেয়ের স্বপ্ন দেশের জন্য ভালো কিছু করা। ও যেহেতু খেলোয়াড়, তাই সেটাই ভালো করে করার চেষ্টা করছে। এতেই আমরা খুশি। আমরা অভাবে থাকি কিংবা না খেয়ে, এ নিয়ে ওকে ভাবতে নিষেধ করেছি। বলেছি তুমি তোমার সেরাটা খেলে যাও। মেয়ে এবার বাড়িতে আসলি অনেক মানুষ ওকে ধন্যবাদ দিতে আসবি শুনে ভালো লাগতেছে।’
কিন্তু অর্পিতা তেমন মেয়ে নয়। সারা দেশে তাকে নিয়ে মানুষ গর্ববোধ করলেও তার মন ঠিক পড়ে আছে গোয়ালদহের নিজেদের সেই খুপরি ঘরে। আজকের পত্রিকাকে মোবাইল ফোনে অর্পিতা বলেন, ‘আমার বাড়ি ফেরার সময় খুব তাড়াতাড়িই হবে বলে জেনেছি। বাফুফে থেকে অনেক সময় ছুটি দেয়, অনেক সময় দেয় না। আশা করছি ঈদে ছুটি পেয়ে যাব। তখন একছুটে মাগুরায় চলে যাবো। বাড়ি গিয়ে সবার সাথে আনন্দ করব। আমার বাবা-মা ও ভাই আমার জন্য অনেক কষ্ট করছে। তাদের (বাবা-মা) অনেক বয়স হয়ে গেছে। বাবাতো প্রায় হাঁটতেই পারেন না পায়ের সমস্যার কারণে। চেষ্টা করব নিজের প্রথম উপার্জন থেকে তাঁদের কিছু উপহার দিতে।’
গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম অর্পিতার শিক্ষক ও প্রথম প্রশিক্ষক। তিনি বলেন, ‘অর্পিতা খুব মেধাবী একটি মেয়ে। আমি তাকে স্কুলে তৈরি করি বিকিএসপিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য। প্রতি বছর আমাদের প্রশিক্ষণে অনেক মেয়ে বিকিএসপিতে ভর্তির সুযোগ পায়। অর্পিতা ভালো অবস্থানে গেছে শুধুমাত্র তার মেধার জোরে। এই মেয়েটির পারিবারিক অবস্থা খুব খারাপ। দিনে আনে দিনে খায় এমন। তবু সে পিছপা হয়নি। লেগে থেকেছে। তার পরিবারও তাকে সহযোগিতা করেছে। যে জন্য সে আজ দলের অধিনায়ক হয়ে সাফল্য ছিনিয়ে এনেছে।’
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৫ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৫ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৫ ঘণ্টা আগে