Ajker Patrika

জলাবদ্ধতায় ভুগছে বেনাপোল স্থলবন্দর

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, ১৫: ৪২
অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও গুদামে হাঁটুপানি জমে থাকায় পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই অবস্থায় কয়েকটি প্রবেশগেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টিপাত হলেই বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এর ফলে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং নিরাপত্তাকর্মীদের চলাফেরাও দুরূহ হয়ে পড়ে। এমনকি কোথাও কোথাও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি জমে থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে চর্মরোগসহ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

বৃষ্টিপাত হলেই বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এর ফলে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং নিরাপত্তাকর্মীদের চলাফেরাও দুরূহ হয়ে পড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৃষ্টিপাত হলেই বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এর ফলে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং নিরাপত্তাকর্মীদের চলাফেরাও দুরূহ হয়ে পড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বন্দরের একটি ইয়ার্ড প্রথম দেখায় জলাশয় মনে হলেও সেটি মূলত চ্যাটিজ টার্মিনাল, যেখানে ট্রাক পার্কিং ও আমদানি পণ্য খালাস হয়। বেনাপোল বন্দরে বছরে ২২ থেকে ২৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্য সংরক্ষণে রয়েছে ৩৩টি শেড ও তিনটি ওপেন ইয়ার্ড, একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড। কিন্তু অধিকাংশ অবকাঠামোই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া তৈরি হওয়ায় বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।

বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে গুদামগুলো নিচু হওয়ায় পানির স্বাভাবিক নিষ্কাশন সম্ভব হয় না। ফলে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে এবং কর্মীদের চলাফেরায় ভোগান্তি বাড়ছে। এ নিয়ে একাধিকবার ব্যবসায়ীরা বন্দরের কাছে অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

বন্দরের ইয়ার্ডটি প্রথম দেখায় জলাশয় মনে হলেও সেটি মূলত চ্যাটিজ টার্মিনাল, যেখানে ট্রাক পার্কিং ও আমদানি পণ্যের খালাস হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বন্দরের ইয়ার্ডটি প্রথম দেখায় জলাশয় মনে হলেও সেটি মূলত চ্যাটিজ টার্মিনাল, যেখানে ট্রাক পার্কিং ও আমদানি পণ্যের খালাস হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বন্দরে আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কেমিকেলসামগ্রী এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যা বৃষ্টির পানিতে মিশে শ্রমিকদের চর্মরোগে আক্রান্ত করছে।

একাধিক বন্দরশ্রমিক জানান, প্রতিদিন হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে কাজ করতে গিয়ে চুলকানি ও নানা অসুস্থতায় পড়তে হচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাকের চালকেরাও একই অভিযোগ করেছেন।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, বন্দরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। পণ্যাগারে যেকোনো সময় পানি ঢুকে পড়তে পারে। অথচ এই বন্দর থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। এত বড় বাণিজ্যিক স্থাপনায় বছরের পর বছর এই দুর্দশা চলছে।

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত