কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
মাটির পাত্রের চাহিদা আর আগের মতো নেই। নেই খেলনাসহ মনোহারী পণ্যেরও চাহিদা। শুধু কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের চাহিদা থাকলেও টিকে থাকার মতো বাজারদর নেই। সেই সঙ্গে মাটিসহ কাঁচামালের দুষ্প্রাপ্যতা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে দিয়েছে। তাই বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখতে আর সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের মৃৎশিল্পের কারিগরেরা।
মৃৎ পণ্যের জায়গাটা প্লাস্টিক, মেলামাইন ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য দখল করায় ঐতিহ্যবাহী শিল্পটির আজ এই দশা। সরকারি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাব রয়েছে বলে জানান কারিগরেরা। স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ পেলে এই শিল্পের এখনো টিকে থাকার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন পেশাসংশ্লিষ্টরা।
পেশাটির সঙ্গে জড়িত উপজেলার পিরোজপুর এলাকার হরেন পাল বলছেন, মৃৎ পণ্য তৈরিতে বিশেষত দরকার হয় এঁটেল মাটি, বালি, রং, জ্বালানি (কাঠ, শুকনা ঘাস ও খড়)। এখন এসব পণ্যের দাম বেড়েছে আগের চেয়ে কয়েক গুণ। মাটি সব সময় পাওয়া যায় না। দূরদূরান্ত থেকে আনতে খরচ বাড়ে। কিন্তু তৈরি পণ্য বিক্রিকালে যে দাম চাওয়া হয়, সেই দামে কিনতে চান না ক্রেতারা।
এ পেশার কারিগরেরা জানান, চাহিদামতো দামে পণ্য কিনলে লাভটা মোটামুটি হয়। কিন্তু বেশি দরদামে কমতে থাকে লাভের পরিমাণ। লাভটা খুব বেশি ধরে দাম হাঁকা হয় না। তাদের আক্ষেপ, সরকারিভাবে সহযোগিতা তেমনটা পাওয়া যায় না। বছরের বর্ষা মৌসুমে ঘরে হানা দেয় দারিদ্র্য। তখন বেচাকেনা প্রায় বন্ধই থাকে।
উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের বীরেন্দ্র পাল জানান, একসময় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের বহুমাত্রিক ব্যবহার ছিল। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হতো। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মাটির পণ্যবোঝাই ‘ঝুড়ি’ নিয়ে গ্রাম ও মহল্লায় গিয়ে বিক্রয় করতেন কুমাররা। ঝুড়িতে থাকত পাতিল, গামলা, দুধের পাত্র, পিঠা তৈরির পণ্য, সড়া, চাড়ি (গরুর খাবার পাত্র), ধান-চাল রাখার ছোট-বড় পাত্র, কড়াই, মাটির ব্যাংক, শিশুদের জন্য রকমারি নকশার পুতুল, খেলনা ও মাটির তৈরি পশুপাখিসহ নানান পণ্য।
জানা যায়, ধান বা খাদ্যশস্য, টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেন সেসব পণ্য। সন্ধ্যায় ধানবোঝাই ঝুড়ি নিয়ে ফিরতেন বাড়ি। ওই ধান বিক্রি করে চলত তাঁদের সংসার খরচ। অনেকেই আবার বাপ-দাদার সেই পুরোনো পেশা ছেড়ে নতুন পেশা বেছে নিয়েছেন।
সেই দিন এখন সুদূর অতীত। তবু পেশাসংশ্লিষ্টদের আশা, হয়তো আবার কদর বাড়বে মাটির পণ্যের। তখন হয়তো পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এখন মানবেতর দিন কাটালেও সেই সুদিনের অপেক্ষায় আজও সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁরা।
মাটির পাত্রের চাহিদা আর আগের মতো নেই। নেই খেলনাসহ মনোহারী পণ্যেরও চাহিদা। শুধু কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের চাহিদা থাকলেও টিকে থাকার মতো বাজারদর নেই। সেই সঙ্গে মাটিসহ কাঁচামালের দুষ্প্রাপ্যতা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে দিয়েছে। তাই বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখতে আর সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের মৃৎশিল্পের কারিগরেরা।
মৃৎ পণ্যের জায়গাটা প্লাস্টিক, মেলামাইন ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য দখল করায় ঐতিহ্যবাহী শিল্পটির আজ এই দশা। সরকারি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাব রয়েছে বলে জানান কারিগরেরা। স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ পেলে এই শিল্পের এখনো টিকে থাকার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন পেশাসংশ্লিষ্টরা।
পেশাটির সঙ্গে জড়িত উপজেলার পিরোজপুর এলাকার হরেন পাল বলছেন, মৃৎ পণ্য তৈরিতে বিশেষত দরকার হয় এঁটেল মাটি, বালি, রং, জ্বালানি (কাঠ, শুকনা ঘাস ও খড়)। এখন এসব পণ্যের দাম বেড়েছে আগের চেয়ে কয়েক গুণ। মাটি সব সময় পাওয়া যায় না। দূরদূরান্ত থেকে আনতে খরচ বাড়ে। কিন্তু তৈরি পণ্য বিক্রিকালে যে দাম চাওয়া হয়, সেই দামে কিনতে চান না ক্রেতারা।
এ পেশার কারিগরেরা জানান, চাহিদামতো দামে পণ্য কিনলে লাভটা মোটামুটি হয়। কিন্তু বেশি দরদামে কমতে থাকে লাভের পরিমাণ। লাভটা খুব বেশি ধরে দাম হাঁকা হয় না। তাদের আক্ষেপ, সরকারিভাবে সহযোগিতা তেমনটা পাওয়া যায় না। বছরের বর্ষা মৌসুমে ঘরে হানা দেয় দারিদ্র্য। তখন বেচাকেনা প্রায় বন্ধই থাকে।
উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের বীরেন্দ্র পাল জানান, একসময় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের বহুমাত্রিক ব্যবহার ছিল। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হতো। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মাটির পণ্যবোঝাই ‘ঝুড়ি’ নিয়ে গ্রাম ও মহল্লায় গিয়ে বিক্রয় করতেন কুমাররা। ঝুড়িতে থাকত পাতিল, গামলা, দুধের পাত্র, পিঠা তৈরির পণ্য, সড়া, চাড়ি (গরুর খাবার পাত্র), ধান-চাল রাখার ছোট-বড় পাত্র, কড়াই, মাটির ব্যাংক, শিশুদের জন্য রকমারি নকশার পুতুল, খেলনা ও মাটির তৈরি পশুপাখিসহ নানান পণ্য।
জানা যায়, ধান বা খাদ্যশস্য, টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেন সেসব পণ্য। সন্ধ্যায় ধানবোঝাই ঝুড়ি নিয়ে ফিরতেন বাড়ি। ওই ধান বিক্রি করে চলত তাঁদের সংসার খরচ। অনেকেই আবার বাপ-দাদার সেই পুরোনো পেশা ছেড়ে নতুন পেশা বেছে নিয়েছেন।
সেই দিন এখন সুদূর অতীত। তবু পেশাসংশ্লিষ্টদের আশা, হয়তো আবার কদর বাড়বে মাটির পণ্যের। তখন হয়তো পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এখন মানবেতর দিন কাটালেও সেই সুদিনের অপেক্ষায় আজও সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁরা।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৩ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৩ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৪ ঘণ্টা আগে