শেখ আবু হাসান, খুলনা

মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। টি-স্টল থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
এ ছাড়া কিছু ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কের ওপরও ব্যবসা খুলে বসেছেন তাঁরা। এভাবে ফুটপাত দখল হওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এর ফলে ওই সব সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ছাড়াও প্রতিনিয়ত যানজট পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এ কারণে ট্রাফিকব্যবস্থা ভেঙে পড়াসহ নগরীর সৌন্দর্যও হারাতে বসেছে।
সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতায় দখলবাজরা বেপরোয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রবি ও সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর স্যার ইকবাল রোড, কে ডি ঘোষ রোড, ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, পুরাতন যশোর রোড (হুগলি বেকারির মোড় থেকে পিকচার প্যালেস মোড় পর্যন্ত), পিকচার প্যালেস মোড় থেকে হাদিস পার্ক পর্যন্ত যশোর রোড, কালীবাড়ি রোড, কে ডি এ অ্যাভিনিউ, ফারাজীপাড়া মেইন রোড, মজিদ সরণি, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে গল্লামারী পর্যন্ত, গল্লামারী বাইপাস রোড, খালিশপুরের বিআইডিসি রোড (কদমতলা মোড় থেকে গাবতলা পর্যন্ত), দৌলতপুরের বিএল কলেজ মোড় থেকে মহসিন স্কুল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে ব্যবসা খুলে বসা হয়েছে।
নগরীর এসব সড়ক অত্যন্ত ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে বিবেচিত। এই সড়কগুলোয় প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও হাজারো পথচারী চলাচল করে। ফুটপাতগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে প্রায় প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনাসহ যানজটে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী।
নগরীর বড় বাজার এলাকার ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, স্টেশন রোড, পুরাতন যশোর রোড ও কে ডি ঘোষ রোডের দুই পাশের সড়কের ফুটপাত ও ফুটপাতসংলগ্ন সড়কের ওপর কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল, বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র, ফলের দোকান, মনোহারি সামগ্রী, টি-স্টল, পুরি-শিঙাড়া, ঘড়ি মেরামত, মাছ-তরকারিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে চলেছে।
এ ছাড়া নগরীর খালিশপুরের ব্যস্ততম সড়ক বিআইডিসি রোডের দুই পাশে স মিল মালিকেরা ফুটপাত দখল করে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ রেখে ব্যবসা করছেন। গাবতলা মোড় থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত সড়কের ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। দৌলতপুরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কের ফুটপাত দখল করে হেন মালামাল নেই, যা নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে না।
নগরীর এতগুলো ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাত ও সড়কের অংশবিশেষ দখল হওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সময় ফুটপাতের ব্যবসায়ী বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, ফুটপাত ব্যবসায়ীরা তাঁদের পেছনের বড় দোকান মালিকদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশ বা অন্য কোনো ব্যক্তি তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকান মালিক জানান, তাঁরা স্থানীয় সরকার সমর্থক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও পুলিশকে টাকা দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ফুটপাতের ব্যবসা নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
নগরীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে তোলার বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিগগিরই অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি খুলনা সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমানকে উদ্দেশ করে মেয়র ফুটপাতে অবৈধ দখলকারীদের দ্রুত উচ্ছেদের অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিটি করপোরেশন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতা নিয়ে খুব শিগগির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।

মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। টি-স্টল থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
এ ছাড়া কিছু ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কের ওপরও ব্যবসা খুলে বসেছেন তাঁরা। এভাবে ফুটপাত দখল হওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এর ফলে ওই সব সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ছাড়াও প্রতিনিয়ত যানজট পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এ কারণে ট্রাফিকব্যবস্থা ভেঙে পড়াসহ নগরীর সৌন্দর্যও হারাতে বসেছে।
সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতায় দখলবাজরা বেপরোয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রবি ও সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর স্যার ইকবাল রোড, কে ডি ঘোষ রোড, ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, পুরাতন যশোর রোড (হুগলি বেকারির মোড় থেকে পিকচার প্যালেস মোড় পর্যন্ত), পিকচার প্যালেস মোড় থেকে হাদিস পার্ক পর্যন্ত যশোর রোড, কালীবাড়ি রোড, কে ডি এ অ্যাভিনিউ, ফারাজীপাড়া মেইন রোড, মজিদ সরণি, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে গল্লামারী পর্যন্ত, গল্লামারী বাইপাস রোড, খালিশপুরের বিআইডিসি রোড (কদমতলা মোড় থেকে গাবতলা পর্যন্ত), দৌলতপুরের বিএল কলেজ মোড় থেকে মহসিন স্কুল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে ব্যবসা খুলে বসা হয়েছে।
নগরীর এসব সড়ক অত্যন্ত ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে বিবেচিত। এই সড়কগুলোয় প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও হাজারো পথচারী চলাচল করে। ফুটপাতগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে প্রায় প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনাসহ যানজটে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী।
নগরীর বড় বাজার এলাকার ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, স্টেশন রোড, পুরাতন যশোর রোড ও কে ডি ঘোষ রোডের দুই পাশের সড়কের ফুটপাত ও ফুটপাতসংলগ্ন সড়কের ওপর কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল, বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র, ফলের দোকান, মনোহারি সামগ্রী, টি-স্টল, পুরি-শিঙাড়া, ঘড়ি মেরামত, মাছ-তরকারিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে চলেছে।
এ ছাড়া নগরীর খালিশপুরের ব্যস্ততম সড়ক বিআইডিসি রোডের দুই পাশে স মিল মালিকেরা ফুটপাত দখল করে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ রেখে ব্যবসা করছেন। গাবতলা মোড় থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত সড়কের ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। দৌলতপুরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কের ফুটপাত দখল করে হেন মালামাল নেই, যা নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে না।
নগরীর এতগুলো ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাত ও সড়কের অংশবিশেষ দখল হওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সময় ফুটপাতের ব্যবসায়ী বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, ফুটপাত ব্যবসায়ীরা তাঁদের পেছনের বড় দোকান মালিকদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশ বা অন্য কোনো ব্যক্তি তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকান মালিক জানান, তাঁরা স্থানীয় সরকার সমর্থক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও পুলিশকে টাকা দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ফুটপাতের ব্যবসা নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
নগরীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে তোলার বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিগগিরই অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি খুলনা সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমানকে উদ্দেশ করে মেয়র ফুটপাতে অবৈধ দখলকারীদের দ্রুত উচ্ছেদের অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিটি করপোরেশন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতা নিয়ে খুব শিগগির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
শেখ আবু হাসান, খুলনা

মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। টি-স্টল থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
এ ছাড়া কিছু ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কের ওপরও ব্যবসা খুলে বসেছেন তাঁরা। এভাবে ফুটপাত দখল হওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এর ফলে ওই সব সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ছাড়াও প্রতিনিয়ত যানজট পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এ কারণে ট্রাফিকব্যবস্থা ভেঙে পড়াসহ নগরীর সৌন্দর্যও হারাতে বসেছে।
সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতায় দখলবাজরা বেপরোয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রবি ও সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর স্যার ইকবাল রোড, কে ডি ঘোষ রোড, ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, পুরাতন যশোর রোড (হুগলি বেকারির মোড় থেকে পিকচার প্যালেস মোড় পর্যন্ত), পিকচার প্যালেস মোড় থেকে হাদিস পার্ক পর্যন্ত যশোর রোড, কালীবাড়ি রোড, কে ডি এ অ্যাভিনিউ, ফারাজীপাড়া মেইন রোড, মজিদ সরণি, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে গল্লামারী পর্যন্ত, গল্লামারী বাইপাস রোড, খালিশপুরের বিআইডিসি রোড (কদমতলা মোড় থেকে গাবতলা পর্যন্ত), দৌলতপুরের বিএল কলেজ মোড় থেকে মহসিন স্কুল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে ব্যবসা খুলে বসা হয়েছে।
নগরীর এসব সড়ক অত্যন্ত ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে বিবেচিত। এই সড়কগুলোয় প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও হাজারো পথচারী চলাচল করে। ফুটপাতগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে প্রায় প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনাসহ যানজটে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী।
নগরীর বড় বাজার এলাকার ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, স্টেশন রোড, পুরাতন যশোর রোড ও কে ডি ঘোষ রোডের দুই পাশের সড়কের ফুটপাত ও ফুটপাতসংলগ্ন সড়কের ওপর কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল, বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র, ফলের দোকান, মনোহারি সামগ্রী, টি-স্টল, পুরি-শিঙাড়া, ঘড়ি মেরামত, মাছ-তরকারিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে চলেছে।
এ ছাড়া নগরীর খালিশপুরের ব্যস্ততম সড়ক বিআইডিসি রোডের দুই পাশে স মিল মালিকেরা ফুটপাত দখল করে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ রেখে ব্যবসা করছেন। গাবতলা মোড় থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত সড়কের ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। দৌলতপুরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কের ফুটপাত দখল করে হেন মালামাল নেই, যা নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে না।
নগরীর এতগুলো ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাত ও সড়কের অংশবিশেষ দখল হওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সময় ফুটপাতের ব্যবসায়ী বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, ফুটপাত ব্যবসায়ীরা তাঁদের পেছনের বড় দোকান মালিকদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশ বা অন্য কোনো ব্যক্তি তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকান মালিক জানান, তাঁরা স্থানীয় সরকার সমর্থক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও পুলিশকে টাকা দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ফুটপাতের ব্যবসা নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
নগরীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে তোলার বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিগগিরই অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি খুলনা সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমানকে উদ্দেশ করে মেয়র ফুটপাতে অবৈধ দখলকারীদের দ্রুত উচ্ছেদের অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিটি করপোরেশন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতা নিয়ে খুব শিগগির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।

মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। টি-স্টল থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
এ ছাড়া কিছু ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কের ওপরও ব্যবসা খুলে বসেছেন তাঁরা। এভাবে ফুটপাত দখল হওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এর ফলে ওই সব সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ছাড়াও প্রতিনিয়ত যানজট পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এ কারণে ট্রাফিকব্যবস্থা ভেঙে পড়াসহ নগরীর সৌন্দর্যও হারাতে বসেছে।
সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতায় দখলবাজরা বেপরোয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রবি ও সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর স্যার ইকবাল রোড, কে ডি ঘোষ রোড, ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, পুরাতন যশোর রোড (হুগলি বেকারির মোড় থেকে পিকচার প্যালেস মোড় পর্যন্ত), পিকচার প্যালেস মোড় থেকে হাদিস পার্ক পর্যন্ত যশোর রোড, কালীবাড়ি রোড, কে ডি এ অ্যাভিনিউ, ফারাজীপাড়া মেইন রোড, মজিদ সরণি, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে গল্লামারী পর্যন্ত, গল্লামারী বাইপাস রোড, খালিশপুরের বিআইডিসি রোড (কদমতলা মোড় থেকে গাবতলা পর্যন্ত), দৌলতপুরের বিএল কলেজ মোড় থেকে মহসিন স্কুল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে ব্যবসা খুলে বসা হয়েছে।
নগরীর এসব সড়ক অত্যন্ত ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে বিবেচিত। এই সড়কগুলোয় প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও হাজারো পথচারী চলাচল করে। ফুটপাতগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে প্রায় প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনাসহ যানজটে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী।
নগরীর বড় বাজার এলাকার ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, স্টেশন রোড, পুরাতন যশোর রোড ও কে ডি ঘোষ রোডের দুই পাশের সড়কের ফুটপাত ও ফুটপাতসংলগ্ন সড়কের ওপর কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল, বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র, ফলের দোকান, মনোহারি সামগ্রী, টি-স্টল, পুরি-শিঙাড়া, ঘড়ি মেরামত, মাছ-তরকারিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে চলেছে।
এ ছাড়া নগরীর খালিশপুরের ব্যস্ততম সড়ক বিআইডিসি রোডের দুই পাশে স মিল মালিকেরা ফুটপাত দখল করে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ রেখে ব্যবসা করছেন। গাবতলা মোড় থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত সড়কের ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। দৌলতপুরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কের ফুটপাত দখল করে হেন মালামাল নেই, যা নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে না।
নগরীর এতগুলো ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাত ও সড়কের অংশবিশেষ দখল হওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সময় ফুটপাতের ব্যবসায়ী বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, ফুটপাত ব্যবসায়ীরা তাঁদের পেছনের বড় দোকান মালিকদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশ বা অন্য কোনো ব্যক্তি তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকান মালিক জানান, তাঁরা স্থানীয় সরকার সমর্থক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও পুলিশকে টাকা দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ফুটপাতের ব্যবসা নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
নগরীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে তোলার বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিগগিরই অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি খুলনা সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমানকে উদ্দেশ করে মেয়র ফুটপাতে অবৈধ দখলকারীদের দ্রুত উচ্ছেদের অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিটি করপোরেশন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতা নিয়ে খুব শিগগির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।

উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
৬ ঘণ্টা আগে
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৯ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগেআয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর

উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া। একই সঙ্গে দূরত্বের জন্যও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক। এদিকে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। এরপর জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।
২০২১ সালের ২৬ জুলাই সচিবালয়ের নিকারের সভায় মাদারীপুরের ডাসারকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। এর আগে ডাসার উপজেলাটি কালকিনি উপজেলার মধ্যে ছিল। তখন মাদারীপুরে উপজেলার সংখ্যা ছিল চারটি। ডাসারকে উপজেলা ঘোষণার পর এ জেলায় উপজেলার সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচটি। ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট ডাসারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দেওয়া হয়। উপজেলাটির আয়তন ৭৬ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৭৫ হাজার ১৭৩ জন।
স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়নি। ফলে এই উপজেলার মানুষকে চিকিৎসা নিতে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের ধুলগাও গ্রামের নাদিরা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলের বয়স তিন বছর। ঠান্ডা-সর্দিসহ নানা সময় নানান অসুস্থতা লেগেই থাকে। তাই মাঝেমধ্যেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। আমার স্বামী প্রতিবন্ধী। আয় করতে পারেন না। আমরা গরিব মানুষ, সরকারিভাবে ডাক্তার দেখাতে হয়। তাই মাদারীপুর শহরে গিয়ে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে দেখাতে হয়। এতে করে আমাদের সময় বেশি লাগে, গাড়ি ভাড়ার টাকা লাগে।’ তিনি বলেন, ‘এই উপজেলায় একটি সরকারি হাসপাতাল হলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার মায়ের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে। ফলে প্রায় সময়ই তিনি অসুস্থ থাকেন। তাই একটু অসুস্থ হলেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের ডাসার উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। তাই কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়। তখন নিজ বাড়ি থেকে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এই উপজেলায় একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ জরুরি বলে আমি মনে করি।’
ডাসারের নবগ্রামের বাসিন্দা নিতু রাণী বলেন, ‘আমাদের ডাসার উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও একটি সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা উপজেলাবাসী চাই অন্য উপজেলার মতো এই উপজেলাতেও একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফ-উল-আরেফীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।

উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া। একই সঙ্গে দূরত্বের জন্যও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক। এদিকে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। এরপর জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।
২০২১ সালের ২৬ জুলাই সচিবালয়ের নিকারের সভায় মাদারীপুরের ডাসারকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। এর আগে ডাসার উপজেলাটি কালকিনি উপজেলার মধ্যে ছিল। তখন মাদারীপুরে উপজেলার সংখ্যা ছিল চারটি। ডাসারকে উপজেলা ঘোষণার পর এ জেলায় উপজেলার সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচটি। ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট ডাসারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দেওয়া হয়। উপজেলাটির আয়তন ৭৬ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৭৫ হাজার ১৭৩ জন।
স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়নি। ফলে এই উপজেলার মানুষকে চিকিৎসা নিতে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের ধুলগাও গ্রামের নাদিরা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলের বয়স তিন বছর। ঠান্ডা-সর্দিসহ নানা সময় নানান অসুস্থতা লেগেই থাকে। তাই মাঝেমধ্যেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। আমার স্বামী প্রতিবন্ধী। আয় করতে পারেন না। আমরা গরিব মানুষ, সরকারিভাবে ডাক্তার দেখাতে হয়। তাই মাদারীপুর শহরে গিয়ে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে দেখাতে হয়। এতে করে আমাদের সময় বেশি লাগে, গাড়ি ভাড়ার টাকা লাগে।’ তিনি বলেন, ‘এই উপজেলায় একটি সরকারি হাসপাতাল হলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার মায়ের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে। ফলে প্রায় সময়ই তিনি অসুস্থ থাকেন। তাই একটু অসুস্থ হলেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের ডাসার উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। তাই কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়। তখন নিজ বাড়ি থেকে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এই উপজেলায় একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ জরুরি বলে আমি মনে করি।’
ডাসারের নবগ্রামের বাসিন্দা নিতু রাণী বলেন, ‘আমাদের ডাসার উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও একটি সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা উপজেলাবাসী চাই অন্য উপজেলার মতো এই উপজেলাতেও একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফ-উল-আরেফীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।

মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। টি-স্টল থেকে থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৯ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগেআশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এমনকি পুলিশও ‘ম্যানেজ’ হয়ে আছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
স্থানীয় লোকজন জানান, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন প্রভাবশালী মোয়াজ্জেন আলী এবং তাঁর সহযোগী এমদাদুল, মিল্লাদ ও আলমগীর। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও বন্ধ হয়নি সেখান থেকে বালু উত্তোলন।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালু তোলার কারণে তীরবর্তী কাশিগঞ্জ গ্রাম, কৃষিজমি ও মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ হুমকির মুখে পড়েছে। তা ছাড়া বালু পরিবহনের ট্রলির কারণে সেখানকার রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন চালালেও পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাঁদের ভাষ্যমতে, ইউএনও সকালে অভিযান চালালে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় বিকেলে আবার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান বালুখেকো মোয়াজ্জেন আলী। তবে মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক বলেন, ‘আমি সম্প্রতি বাড়ির কাজের প্রয়োজনে কিছু বালু তুলতে ব্যক্তিগত ড্রেজার মেশিন বসিয়েছিলাম। কিন্তু আমার নামে অপপ্রচার হওয়ায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে মেশিন তুলে ফেলি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওই বিএনপি নেতা বলেন, ‘পুলিশ টাকা খায় কি না, তা বিএনপি নেতা হিসেবে আমি বলতে চাই না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মোয়াজ্জেন দীর্ঘ বছর ধরে সেখান থেকে বালু তুলছেন।’
রাজরামপুর, কাশিগঞ্জ এলাকার বাইরে লোহানীপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধাই খামার, উত্তর মাধাই খামার, সাহেবগঞ্জ, তেলিপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, অরুণনেছা ঘাট, দালালপাড়া, কালুপাড়া ইউনিয়নের চান্দামারীর ঘাট, বৈরামপুর, দামোদরপুর ইউনিয়নের কালীরঘাট, শেখেরহাট, মোস্তফাপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামে চিকলী ও যমুনেশ্বরী নদী থেকেও ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বদরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত দেড় মাসে ১৫-২০টি বালুর পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বালু ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে সরে পড়ায় তাদের ধরা যায় না। ওই সময়ে এলাকার মানুষও মুখ খোলে না। ঘটনাস্থলে শুধু পাওয়া যায় ড্রেজার মেশিন।’
‘থানা ম্যানেজ’ হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নেওয়া তো দূরের কথা; বালুর বিষয়ে এক কাপ চাও খাইনি।’

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এমনকি পুলিশও ‘ম্যানেজ’ হয়ে আছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
স্থানীয় লোকজন জানান, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন প্রভাবশালী মোয়াজ্জেন আলী এবং তাঁর সহযোগী এমদাদুল, মিল্লাদ ও আলমগীর। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও বন্ধ হয়নি সেখান থেকে বালু উত্তোলন।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালু তোলার কারণে তীরবর্তী কাশিগঞ্জ গ্রাম, কৃষিজমি ও মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ হুমকির মুখে পড়েছে। তা ছাড়া বালু পরিবহনের ট্রলির কারণে সেখানকার রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন চালালেও পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাঁদের ভাষ্যমতে, ইউএনও সকালে অভিযান চালালে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় বিকেলে আবার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান বালুখেকো মোয়াজ্জেন আলী। তবে মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক বলেন, ‘আমি সম্প্রতি বাড়ির কাজের প্রয়োজনে কিছু বালু তুলতে ব্যক্তিগত ড্রেজার মেশিন বসিয়েছিলাম। কিন্তু আমার নামে অপপ্রচার হওয়ায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে মেশিন তুলে ফেলি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওই বিএনপি নেতা বলেন, ‘পুলিশ টাকা খায় কি না, তা বিএনপি নেতা হিসেবে আমি বলতে চাই না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মোয়াজ্জেন দীর্ঘ বছর ধরে সেখান থেকে বালু তুলছেন।’
রাজরামপুর, কাশিগঞ্জ এলাকার বাইরে লোহানীপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধাই খামার, উত্তর মাধাই খামার, সাহেবগঞ্জ, তেলিপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, অরুণনেছা ঘাট, দালালপাড়া, কালুপাড়া ইউনিয়নের চান্দামারীর ঘাট, বৈরামপুর, দামোদরপুর ইউনিয়নের কালীরঘাট, শেখেরহাট, মোস্তফাপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামে চিকলী ও যমুনেশ্বরী নদী থেকেও ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বদরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত দেড় মাসে ১৫-২০টি বালুর পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বালু ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে সরে পড়ায় তাদের ধরা যায় না। ওই সময়ে এলাকার মানুষও মুখ খোলে না। ঘটনাস্থলে শুধু পাওয়া যায় ড্রেজার মেশিন।’
‘থানা ম্যানেজ’ হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নেওয়া তো দূরের কথা; বালুর বিষয়ে এক কাপ চাও খাইনি।’

মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। টি-স্টল থেকে থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৯ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগেইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টার বেশি কর্মসূচি পালনের পরে বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাঁকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোনো খুনিও গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব ও বিচারপ্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
উপরন্তু, আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আবদুল্লাহকে ‘কোথাকার কোনো মৃত পোলা, যা-ই হোক, সে তো চইলাই গেছে’ বলে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন ও বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এ সময় উপাচার্যের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সাজিদকে হেয়প্রতিপন্ন করা ও নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে ন্যক্কারজনক ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত করতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি এভাবে কাউকে অপমান করেন, তাহলে যেকোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু কাউকে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্য যেন কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে আর না দেন, সেই ব্যবস্থা করব। আমি যত দূর জানি, তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি আল কোরআন বিভাগের সভাপতি হিসেবে শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহর জন্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছি। আমার অফিসে বসেই কেস এন্ট্রি করেছি। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে ভিসি, প্রো-ভিসি, ইবি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও, আমার এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমার অসাবধানতাবশত কিছু শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
প্রসঙ্গত, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিঝির একটি পুরোনো অডিও ভাইরাল হয়। এতে শোনা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে উলঙ্গ নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অডিওটি ভাইরালের পরে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ড. মিঝি নিঃশর্ত ক্ষমা চান সবার কাছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টার বেশি কর্মসূচি পালনের পরে বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাঁকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোনো খুনিও গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব ও বিচারপ্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
উপরন্তু, আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আবদুল্লাহকে ‘কোথাকার কোনো মৃত পোলা, যা-ই হোক, সে তো চইলাই গেছে’ বলে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন ও বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এ সময় উপাচার্যের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সাজিদকে হেয়প্রতিপন্ন করা ও নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে ন্যক্কারজনক ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত করতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি এভাবে কাউকে অপমান করেন, তাহলে যেকোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু কাউকে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্য যেন কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে আর না দেন, সেই ব্যবস্থা করব। আমি যত দূর জানি, তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি আল কোরআন বিভাগের সভাপতি হিসেবে শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহর জন্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছি। আমার অফিসে বসেই কেস এন্ট্রি করেছি। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে ভিসি, প্রো-ভিসি, ইবি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও, আমার এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমার অসাবধানতাবশত কিছু শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
প্রসঙ্গত, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিঝির একটি পুরোনো অডিও ভাইরাল হয়। এতে শোনা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে উলঙ্গ নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অডিওটি ভাইরালের পরে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ড. মিঝি নিঃশর্ত ক্ষমা চান সবার কাছে।

মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। টি-স্টল থেকে থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
৬ ঘণ্টা আগে
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
৬ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মামলার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রিংকু রংদী উপজেলার মাধুপাড়া গ্রামের সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে। তাঁরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
আর ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রিংকুর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২৭ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় যে, সে দুর্গাপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। পরে রিংকু তাকে নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে সেখানে থেকে যায়। রিংকু নিজের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে থাকতে দেন। আর তিনি অন্য কক্ষে ঘুমাতে যান। রাত ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু কক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ফোনে পরিবারকে বিষয়টি জানান।
পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিংকুর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে বিকেলে রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মামলার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রিংকু রংদী উপজেলার মাধুপাড়া গ্রামের সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে। তাঁরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
আর ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রিংকুর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২৭ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় যে, সে দুর্গাপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। পরে রিংকু তাকে নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে সেখানে থেকে যায়। রিংকু নিজের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে থাকতে দেন। আর তিনি অন্য কক্ষে ঘুমাতে যান। রাত ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু কক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ফোনে পরিবারকে বিষয়টি জানান।
পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিংকুর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে বিকেলে রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। টি-স্টল থেকে থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
৬ ঘণ্টা আগে
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৯ ঘণ্টা আগে