শেখ আবু হাসান, খুলনা
মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। টি-স্টল থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
এ ছাড়া কিছু ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কের ওপরও ব্যবসা খুলে বসেছেন তাঁরা। এভাবে ফুটপাত দখল হওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এর ফলে ওই সব সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ছাড়াও প্রতিনিয়ত যানজট পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এ কারণে ট্রাফিকব্যবস্থা ভেঙে পড়াসহ নগরীর সৌন্দর্যও হারাতে বসেছে।
সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতায় দখলবাজরা বেপরোয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রবি ও সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর স্যার ইকবাল রোড, কে ডি ঘোষ রোড, ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, পুরাতন যশোর রোড (হুগলি বেকারির মোড় থেকে পিকচার প্যালেস মোড় পর্যন্ত), পিকচার প্যালেস মোড় থেকে হাদিস পার্ক পর্যন্ত যশোর রোড, কালীবাড়ি রোড, কে ডি এ অ্যাভিনিউ, ফারাজীপাড়া মেইন রোড, মজিদ সরণি, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে গল্লামারী পর্যন্ত, গল্লামারী বাইপাস রোড, খালিশপুরের বিআইডিসি রোড (কদমতলা মোড় থেকে গাবতলা পর্যন্ত), দৌলতপুরের বিএল কলেজ মোড় থেকে মহসিন স্কুল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে ব্যবসা খুলে বসা হয়েছে।
নগরীর এসব সড়ক অত্যন্ত ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে বিবেচিত। এই সড়কগুলোয় প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও হাজারো পথচারী চলাচল করে। ফুটপাতগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে প্রায় প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনাসহ যানজটে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী।
নগরীর বড় বাজার এলাকার ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, স্টেশন রোড, পুরাতন যশোর রোড ও কে ডি ঘোষ রোডের দুই পাশের সড়কের ফুটপাত ও ফুটপাতসংলগ্ন সড়কের ওপর কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল, বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র, ফলের দোকান, মনোহারি সামগ্রী, টি-স্টল, পুরি-শিঙাড়া, ঘড়ি মেরামত, মাছ-তরকারিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে চলেছে।
এ ছাড়া নগরীর খালিশপুরের ব্যস্ততম সড়ক বিআইডিসি রোডের দুই পাশে স মিল মালিকেরা ফুটপাত দখল করে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ রেখে ব্যবসা করছেন। গাবতলা মোড় থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত সড়কের ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। দৌলতপুরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কের ফুটপাত দখল করে হেন মালামাল নেই, যা নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে না।
নগরীর এতগুলো ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাত ও সড়কের অংশবিশেষ দখল হওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সময় ফুটপাতের ব্যবসায়ী বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, ফুটপাত ব্যবসায়ীরা তাঁদের পেছনের বড় দোকান মালিকদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশ বা অন্য কোনো ব্যক্তি তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকান মালিক জানান, তাঁরা স্থানীয় সরকার সমর্থক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও পুলিশকে টাকা দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ফুটপাতের ব্যবসা নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
নগরীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে তোলার বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিগগিরই অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি খুলনা সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমানকে উদ্দেশ করে মেয়র ফুটপাতে অবৈধ দখলকারীদের দ্রুত উচ্ছেদের অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিটি করপোরেশন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতা নিয়ে খুব শিগগির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
মহানগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। টি-স্টল থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
এ ছাড়া কিছু ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কের ওপরও ব্যবসা খুলে বসেছেন তাঁরা। এভাবে ফুটপাত দখল হওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এর ফলে ওই সব সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ছাড়াও প্রতিনিয়ত যানজট পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এ কারণে ট্রাফিকব্যবস্থা ভেঙে পড়াসহ নগরীর সৌন্দর্যও হারাতে বসেছে।
সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতায় দখলবাজরা বেপরোয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রবি ও সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর স্যার ইকবাল রোড, কে ডি ঘোষ রোড, ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, পুরাতন যশোর রোড (হুগলি বেকারির মোড় থেকে পিকচার প্যালেস মোড় পর্যন্ত), পিকচার প্যালেস মোড় থেকে হাদিস পার্ক পর্যন্ত যশোর রোড, কালীবাড়ি রোড, কে ডি এ অ্যাভিনিউ, ফারাজীপাড়া মেইন রোড, মজিদ সরণি, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে গল্লামারী পর্যন্ত, গল্লামারী বাইপাস রোড, খালিশপুরের বিআইডিসি রোড (কদমতলা মোড় থেকে গাবতলা পর্যন্ত), দৌলতপুরের বিএল কলেজ মোড় থেকে মহসিন স্কুল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে ব্যবসা খুলে বসা হয়েছে।
নগরীর এসব সড়ক অত্যন্ত ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে বিবেচিত। এই সড়কগুলোয় প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও হাজারো পথচারী চলাচল করে। ফুটপাতগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীরা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে প্রায় প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনাসহ যানজটে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী।
নগরীর বড় বাজার এলাকার ক্লে রোড, হেলাতলা রোড, স্টেশন রোড, পুরাতন যশোর রোড ও কে ডি ঘোষ রোডের দুই পাশের সড়কের ফুটপাত ও ফুটপাতসংলগ্ন সড়কের ওপর কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল, বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র, ফলের দোকান, মনোহারি সামগ্রী, টি-স্টল, পুরি-শিঙাড়া, ঘড়ি মেরামত, মাছ-তরকারিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে চলেছে।
এ ছাড়া নগরীর খালিশপুরের ব্যস্ততম সড়ক বিআইডিসি রোডের দুই পাশে স মিল মালিকেরা ফুটপাত দখল করে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ রেখে ব্যবসা করছেন। গাবতলা মোড় থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত সড়কের ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। দৌলতপুরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কের ফুটপাত দখল করে হেন মালামাল নেই, যা নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে না।
নগরীর এতগুলো ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাত ও সড়কের অংশবিশেষ দখল হওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সময় ফুটপাতের ব্যবসায়ী বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, ফুটপাত ব্যবসায়ীরা তাঁদের পেছনের বড় দোকান মালিকদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশ বা অন্য কোনো ব্যক্তি তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকান মালিক জানান, তাঁরা স্থানীয় সরকার সমর্থক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও পুলিশকে টাকা দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ফুটপাতের ব্যবসা নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
নগরীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে তোলার বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিগগিরই অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি খুলনা সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমানকে উদ্দেশ করে মেয়র ফুটপাতে অবৈধ দখলকারীদের দ্রুত উচ্ছেদের অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিটি করপোরেশন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতা নিয়ে খুব শিগগির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
রংপুর বিভাগের আট জেলার ২ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫টি। এসব হাসপাতালে চিকিৎসকের মোট পদ ১ হাজার ২১৪টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত ৫৩১ জন, পদ শূন্য ৬৮৩টি। চাহিদার অর্ধেকেরও কম জনবল থাকায় হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীদের বাধ্য...
৫ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ চড়া দামে বাইরে থেকে কিনছেন, কেউ আবার টিকা না পাওয়ার ভুগছেন দুশ্চিন্তায়।
৫ ঘণ্টা আগেঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ শুক্রবার। পদ্মার উজানে ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করে পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন। এখান থেকেই সেদিন মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে...
৫ ঘণ্টা আগে