Ajker Patrika

কুমারখালীতে গুলিবিদ্ধের তিনদিন পর নৌকার সমর্থকের মৃত্যু

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুমারখালীতে গুলিবিদ্ধের তিনদিন পর নৌকার সমর্থকের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ জিয়ার হোসেন (৪৫) মারা গেছেন। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহতের ছোট ভাই ইয়ারুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। 

হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নিহতের আরেকভাই আলতাফ হোসেন। তাঁরা উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া গ্রামের কেঁদো শেখের ছেলে। 

এ ঘটনায় এলাকায় আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নৌকার সমর্থকেরা ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। 

এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রউফ। 

মোবাইলে নিহতের ছোট ভাই ইয়ারুল বলেন, ‘নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে ১২ জানুয়ারি সকালে সাবেক মেম্বর খালেক ও তাঁর তিন ছেলে রিপন, লিটন, শিপনসহ তাঁদের সন্ত্রাসী বাহিনী তাঁর দুই ভাইকে গুলি করে আহত করে। তার মধ্যে জিয়ার মারা গেছেন।’
 
তাঁর দাবি, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় তিনি কুমারখালী থানায় মামলা করেছেন। 

কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, ‘নৌকায় ভোট দেওয়ায় জিয়ারকে প্রতিপক্ষের (ট্রাক মার্কা) লোকজন গুলি করেছিল।’ তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। 

এ বিষয়ে জানতে খালেক মেম্বার ও তাঁর ছেলে রিপন আলীর ফোনে কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, বের কালোয়া গ্রামের সাবেক মেম্বর আব্দুল খালেকের সঙ্গে কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পদ্মা নদীতে মাছ ধরা, যেকোনো নির্বাচনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে বের কালোয়ারা মোড়ে দুপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। 

এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। যদিও বা কুমারখালী থানার ওসি গোলাগুলি ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করেছিলেন। 

এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার দিন সকালে গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন তাঁরা। অতীতেও কয়েকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। 

এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবারে ছররা গুলিতে আহত দুই ভাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুইদিন আগে পরিবারের লোকজন জিয়ারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিয়ে যায়।’ 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত্যুর খবর শুনেছি। হামলার ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত