নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
রাস্তার পাশে ছোট্ট দোকান বসিয়ে পিঠা বিক্রি করেন রাবেয়া (৬৭)। প্রায় তিন মাস ধরে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে ছিলেন কুমিল্লা হাসপাতালে। পাঁচ ছেলে-মেয়ে থাকা সত্ত্বেও নিজের উপার্জনেই চলতে হয় তাঁকে। উপার্জিত সব কয়টি টাকা চিকিৎসার পেছনে ব্যয় করে, সম্পূর্ণ সুস্থ না হতেই আবারও নারায়ণগঞ্জে ফিরে পিঠা বানাতে শুরু করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের মণ্ডলপাড়ায় ডিআইটি মার্কেটের সামনে রাবেয়া বেগমের পিঠার দোকান। আশপাশের দোকানি ও পরিচিতদের কাছে তিনি ‘রাবেয়া খালা’ নামেই পরিচিত। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ওই স্থানে বসে পিঠা বিক্রি করেন তিনি। সেই সূত্রে তার ওপর মায়া পড়ে গেছে বলেও জানালেন স্থানীয় দোকানিরা।
পিঠার দোকানের পাশেই ফার্মেসির দোকানিরা শৌখিনতার চাইতে রাবেয়াকে সহায়তা করতেই নিয়মিত গ্রাহক হয়েছেন। প্রায়ই রাবেয়া খালার খোঁজ খবর নেন। দীর্ঘদিন পরে খালার উপস্থিতি দেখে অসুস্থতার কথা জিজ্ঞেস করে থাকেন অনেকেই। অসুস্থতার খবরে ঢাকায় চিকিৎসা করানোর পরামর্শও দেন তারা।
তবে আজকের পত্রিকাকে ‘রাবেয়া খালা’ জানালেন, ডিআইটি মার্কেটে দিন দিন ক্রেতার সংখ্যা কমছে। তবে আশপাশের মানুষগুলোর সঙ্গে আত্মিক এই সম্পর্কের কারণে তিনি এই স্থান ছেড়েও যেতে পারছেন না।
রাবেয়া বেগম বলেন, ‘শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা অনেক বাড়ছে। সারা শরীলে অ্যালার্জির কষ্টে উঠতে পারি নাই। এত দিন কুমিল্লার হাসপাতালে পইড়া আছিলাম। ৩০ হাজার টাকা ভাঙছি খালি এই অসুখের পিছে। আমার মাইয়ারা নিজ নিজ সংসার লইয়া আছে? কয়দিন আমার খোঁজ নিব? একটু সুস্থ হইসি আর আইয়া পরছি দোকানে। এই বয়সে এই কাম করতেও কষ্ট অয়।’
‘রাবেয়া খালার’ পিঠা বানানোর দোকানটি নিতান্তই সাধারণ। কাঠের বড় বাক্সের ওপর রেখেছেন কাচের বাক্স। সেখানেই সাজিয়ে রাখেন ভাপা ও চিতই পিঠা। বার্ধক্যে নুয়ে পড়া শরীর নিয়েই তৈরি করেছেন সরিষা ও শুঁটকি ভর্তা। পুরোনো টিনের কৌটা কেটে বেড়া দিয়েছেন মাটির চুলোর সামনে। সামনে বেঞ্চও বসিয়েছেন ক্রেতাদের বসার জন্য।
রাবেয়া বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি থাকেন জিমখানা এলাকার ছোট একটি খুপরি ঘরে। টিনের ছাদ আর পাকা মেঝের ওপর পুরোনো একটি চৌকিতে শুয়ে রাত কাটান। স্বামীর মৃত্যুর পর চার বছর ধরে ঘরে একাই থাকেন। ৮৮ সাল থেকে শহরের জিমখানা এলাকায় ভাড়া থাকেন। দুই হাজার টাকা বাসা ভাড়া দিয়ে থাকার সুযোগ বস্তি এলাকা ছাড়া আর কোথাও নেই। আর সেই কারণেই ভাড়া বাসা ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার সাহস করেননি তিনি।
রাবেয়া বেগমের পৈতৃক ভিটা কুমিল্লার হোমনায়। ৫ ছেলে-মেয়ে তাঁর। তিন মেয়েরই বিয়ে হয়েছে। মেয়েরা কাজ করেন ঝুটের গোডাউনে। মেয়েরা মাঝে মাঝে মায়ের খোঁজ নেয়। দুই ছেলের একজন ভারতে কাজ করেন। আরেক ছেলে হাজার হাজার টাকার ঋণের বোঝায় জর্জরিত। তাই ছেলের কাছেও যান না রাবেয়া।
রাবেয়া খালা বলেন, ‘শীত তো কাটাইতাছি একটা খ্যাতা গায় দিয়া। পিঠার দোকানে বইয়া থাকলে শীত কম লাগে। আর রাইতে বাইত গিয়া খ্যাতা গায় দিয়া ঘুমাই। মাইয়া পোলা আছে তাগো কামে। সকাল থিকা রাইত পর্যন্ত আমারই সব গুছায়া দোকানে আহন লাগে।’
বয়স্ক ভাতা কিংবা অন্য কোনো সহায়তা পান কি না জানতে চাইলে মাথা নাড়িয়ে জানালেন ‘না’। এরপর নিজে থেকেই বলতে লাগলেন, ‘এখনো তো কাজ কইরা খাইতে পারতাছি। অসুখ-বিসুখ হইসে, কে কয়দিন খোঁজ নিসে? আল্লাহই ভালো করছে। এখন যেই কয়দিন আল্লাহ চালায়, ওই কয়েক দিন চলমু। পোলা মাইয়ার কাছেই চাই না, মাইনসের কাছে ক্যান চামু?’
তাঁকে আশপাশের অনেকেই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পিঠা বানানোর এক ফাঁকেই রাবেয়া খালা প্রতিবেদকের কাছে দুটি প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, ‘হেনে (ঢাকায়) কেমন চিকিৎসা করায়, কইতে পারেন? ঢাকায় গরিব মাইনসেরে ঠিকমতো দেখে তো?’
রাস্তার পাশে ছোট্ট দোকান বসিয়ে পিঠা বিক্রি করেন রাবেয়া (৬৭)। প্রায় তিন মাস ধরে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে ছিলেন কুমিল্লা হাসপাতালে। পাঁচ ছেলে-মেয়ে থাকা সত্ত্বেও নিজের উপার্জনেই চলতে হয় তাঁকে। উপার্জিত সব কয়টি টাকা চিকিৎসার পেছনে ব্যয় করে, সম্পূর্ণ সুস্থ না হতেই আবারও নারায়ণগঞ্জে ফিরে পিঠা বানাতে শুরু করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের মণ্ডলপাড়ায় ডিআইটি মার্কেটের সামনে রাবেয়া বেগমের পিঠার দোকান। আশপাশের দোকানি ও পরিচিতদের কাছে তিনি ‘রাবেয়া খালা’ নামেই পরিচিত। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ওই স্থানে বসে পিঠা বিক্রি করেন তিনি। সেই সূত্রে তার ওপর মায়া পড়ে গেছে বলেও জানালেন স্থানীয় দোকানিরা।
পিঠার দোকানের পাশেই ফার্মেসির দোকানিরা শৌখিনতার চাইতে রাবেয়াকে সহায়তা করতেই নিয়মিত গ্রাহক হয়েছেন। প্রায়ই রাবেয়া খালার খোঁজ খবর নেন। দীর্ঘদিন পরে খালার উপস্থিতি দেখে অসুস্থতার কথা জিজ্ঞেস করে থাকেন অনেকেই। অসুস্থতার খবরে ঢাকায় চিকিৎসা করানোর পরামর্শও দেন তারা।
তবে আজকের পত্রিকাকে ‘রাবেয়া খালা’ জানালেন, ডিআইটি মার্কেটে দিন দিন ক্রেতার সংখ্যা কমছে। তবে আশপাশের মানুষগুলোর সঙ্গে আত্মিক এই সম্পর্কের কারণে তিনি এই স্থান ছেড়েও যেতে পারছেন না।
রাবেয়া বেগম বলেন, ‘শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা অনেক বাড়ছে। সারা শরীলে অ্যালার্জির কষ্টে উঠতে পারি নাই। এত দিন কুমিল্লার হাসপাতালে পইড়া আছিলাম। ৩০ হাজার টাকা ভাঙছি খালি এই অসুখের পিছে। আমার মাইয়ারা নিজ নিজ সংসার লইয়া আছে? কয়দিন আমার খোঁজ নিব? একটু সুস্থ হইসি আর আইয়া পরছি দোকানে। এই বয়সে এই কাম করতেও কষ্ট অয়।’
‘রাবেয়া খালার’ পিঠা বানানোর দোকানটি নিতান্তই সাধারণ। কাঠের বড় বাক্সের ওপর রেখেছেন কাচের বাক্স। সেখানেই সাজিয়ে রাখেন ভাপা ও চিতই পিঠা। বার্ধক্যে নুয়ে পড়া শরীর নিয়েই তৈরি করেছেন সরিষা ও শুঁটকি ভর্তা। পুরোনো টিনের কৌটা কেটে বেড়া দিয়েছেন মাটির চুলোর সামনে। সামনে বেঞ্চও বসিয়েছেন ক্রেতাদের বসার জন্য।
রাবেয়া বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি থাকেন জিমখানা এলাকার ছোট একটি খুপরি ঘরে। টিনের ছাদ আর পাকা মেঝের ওপর পুরোনো একটি চৌকিতে শুয়ে রাত কাটান। স্বামীর মৃত্যুর পর চার বছর ধরে ঘরে একাই থাকেন। ৮৮ সাল থেকে শহরের জিমখানা এলাকায় ভাড়া থাকেন। দুই হাজার টাকা বাসা ভাড়া দিয়ে থাকার সুযোগ বস্তি এলাকা ছাড়া আর কোথাও নেই। আর সেই কারণেই ভাড়া বাসা ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার সাহস করেননি তিনি।
রাবেয়া বেগমের পৈতৃক ভিটা কুমিল্লার হোমনায়। ৫ ছেলে-মেয়ে তাঁর। তিন মেয়েরই বিয়ে হয়েছে। মেয়েরা কাজ করেন ঝুটের গোডাউনে। মেয়েরা মাঝে মাঝে মায়ের খোঁজ নেয়। দুই ছেলের একজন ভারতে কাজ করেন। আরেক ছেলে হাজার হাজার টাকার ঋণের বোঝায় জর্জরিত। তাই ছেলের কাছেও যান না রাবেয়া।
রাবেয়া খালা বলেন, ‘শীত তো কাটাইতাছি একটা খ্যাতা গায় দিয়া। পিঠার দোকানে বইয়া থাকলে শীত কম লাগে। আর রাইতে বাইত গিয়া খ্যাতা গায় দিয়া ঘুমাই। মাইয়া পোলা আছে তাগো কামে। সকাল থিকা রাইত পর্যন্ত আমারই সব গুছায়া দোকানে আহন লাগে।’
বয়স্ক ভাতা কিংবা অন্য কোনো সহায়তা পান কি না জানতে চাইলে মাথা নাড়িয়ে জানালেন ‘না’। এরপর নিজে থেকেই বলতে লাগলেন, ‘এখনো তো কাজ কইরা খাইতে পারতাছি। অসুখ-বিসুখ হইসে, কে কয়দিন খোঁজ নিসে? আল্লাহই ভালো করছে। এখন যেই কয়দিন আল্লাহ চালায়, ওই কয়েক দিন চলমু। পোলা মাইয়ার কাছেই চাই না, মাইনসের কাছে ক্যান চামু?’
তাঁকে আশপাশের অনেকেই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পিঠা বানানোর এক ফাঁকেই রাবেয়া খালা প্রতিবেদকের কাছে দুটি প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, ‘হেনে (ঢাকায়) কেমন চিকিৎসা করায়, কইতে পারেন? ঢাকায় গরিব মাইনসেরে ঠিকমতো দেখে তো?’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৩ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৩ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৪ ঘণ্টা আগে