Ajker Patrika

গুলিবিদ্ধ জবি ছাত্র তামিমের লাশ দাফন, ৪ দিন পর জানল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

জবি সংবাদদাতা 
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১: ০৬
গুলিবিদ্ধ জবি ছাত্র তামিমের লাশ দাফন, ৪ দিন পর জানল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মিরপুর গোলচত্বরে চলা সংঘর্ষে গত শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম আহসান হাবিব তামিম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী ছিলেন তামিম।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে নিহত তামিমের বাবার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি নিজেই মৃত্যুর বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করেছেন।’

নিহত তামিমের বাবার বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে তামিম মিরপুরের বাসা থেকে বের হয়ে গোলচত্বর এলাকার দিকে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তামিমের বাবার মোবাইলে একটি ফোন আসে, জানানো হয় তামিম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই খবর শুনে তামিমের বাবা গোলচত্বর এলাকায় যান। সেখানে লোকজন তাঁকে আল হেলাল হাসপাতালে যেতে বলেন। আল হেলাল হাসপাতালে গেলে সেখান থেকে তামিমের বাবাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গেলে সেখানে তামিমের গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পান তাঁর বাবা।

তিনি আরও জানান, সেখান থেকে তামিমের পরিবারের লোকজন তার মরদেহ নিয়ে নোয়াখালীর চাটখিলে তাঁর গ্রামের বাসায় যান। সেখানে পরদিন শনিবার (২০ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে জানাজা শেষে তামিমের মরদেহ দাফন করা হয়।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘তামিমের পরিবার অনেকটা নিম্ন আয়ের পরিবার। তিন সন্তানের মধ্যে তামিম দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন। তাঁর বড় ভাই বাবার সঙ্গেই মেকানিকের কাজ করেন। আগামী রোববার বিভাগে সবার সঙ্গে মিটিং করে তাঁর পরিবারকে কোনো সহযোগিতা করা যায় কি না, তা নিয়ে কথা বলব। অকালেই এমন একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরে যাওয়া কখনোই কাম্য নয়। আমরা তামিমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতেই তামিমের বিষয়ে এক পথচারী আমাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিভাগে সেদিন খোঁজ করে তাঁর বিষয়ে জানা যায়নি। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ওর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হলাম।’

এ বিষয়ে নিহত তামিমের বাবাকে একাধিকবার কল দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত