Ajker Patrika

শরীয়তপুরের প্রধান শিক্ষক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ০৬
শরীয়তপুরের প্রধান শিক্ষক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন

শরীয়তপুরের চন্দ্রপুরে আলোচিত আব্দুস ছামাদ আজাদ মাস্টার হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন চাঁন মিয়া খান, নুরুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর মাদবর ও জুলহাস মাদবর। এই মামলায় আব্দুল হালিম মোল্লা, ফারুক খান, আজিজুর মাদবর, জলিল মাদবর, আজাহার মাদবর, লাল মিয়া মীর, মিজান মীর, এমদাদ মাদবর ও আকতার গাজীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার অপর পাঁচ আসামি আজিবর বালি, খোকন ব্যাপারী, সোহরাব মোল্লা, আজাহার মোল্লা, আব্দুল খন্দকারকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীরমোড় বাসস্ট্যান্ডে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় আব্দুস সামাদ আজাদকে। ১৭ জানুয়ারি নিহত ছামাদ মাস্টারের স্ত্রী ফেরদৌসী আজাদ ওই সময়ের চন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্লাকে ১ নম্বর আসামি করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে পালং থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর দীর্ঘ আট বছর মামলার তেমন কোনো অগ্ৰগতি না থাকায় ২০১৮ সালে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান মামলার বাদী। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এ স্থানান্তর করেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর এই মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করা হয়। এর আগে তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১১ মে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহীদুল ইসলাম ও সুলতান মাহমুদ। 
নিহত ছামাদ মাস্টার চিকন্দি শরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ২০১০ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন। এর আগে ২০০৩ সালে চন্দ্রপুর ইউপি নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী ছিলেন। পরে ২০১০ সালের নির্বাচনের আগে স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ছামাদ মাস্টার। 

নিহত ছামাদ মাস্টারের স্ত্রী ফেরদৌসী আজাদ আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমার স্বামী একজন জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন। নির্বাচনের আগে তখনকার চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্লা তাঁর লোকজন নিয়ে আমার স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। মামলার রায়ের জন্য দীর্ঘ ১১ বছর অপেক্ষায় থেকেছি। তবে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আজিবর বালি খালাস পাওয়ায় আমরা বিস্মিত। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে দণ্ডিতদের রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।' 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, আদালতে ১৪ জন সাক্ষী ও চারজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর অপরাধ সাংঘাতিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত