নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী-শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে মশাল মিছিল করেছে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো প্রদক্ষিণ করে ফের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মশাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তির আশ্বাস না বরং শাস্তি কার্যকরের দাবি জানান। এমনকি শাস্তি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার অঙ্গীকার করেন নারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা-‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জাস্টিস জাস্টিস’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, হ্যাংক দ্য র্যাপিস্ট’; ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’; ‘আমার বোনের কান্না, আর না আর না’; ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধরে ধরে কবর দে’; ‘রশি লাগলে রশি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’; ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘২৪ এর বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’; ‘জাহাঙ্গীর করে কি? খায় দায় ঘুমায় নাকি?’ -ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশ থেকে নারী শিক্ষার্থীরা বলেন, নারীকে নারী হিসেবে না, মানুষ হিসেবে ভাবুন। আমরা ভয়ে থাকি কখন কে আমাদের শরীরে তার কালো হাত দিতে পারে। আমরা আমাদের নিরাপত্তা চাই। আমরা চাই না বাইরে বের হলেই আমাদের ওপর কেউ লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকুক। আমরা ধর্ষকদের এমন শাস্তি চাই যা দেখে অন্যদের এই কাজ করতে বারবার ভাবতে হয়। আমরা চাই, তাদের শাস্তি কার্যকর করা হোক। যত দিন এদের বিচার না হবে আমরা রাজপথ ছাড়ব না। দরকার হলে আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে তার পদত্যাগে বাধ্য করব।
সমাবেশে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। দাবিগুলো হলো-
১. মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর ক্ষেত্রে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা এবং ১ মাসের মধ্যে ধর্ষকের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালে শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২. প্রত্যেক ধর্ষণ মামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত মামলার বিচার কার্য সম্পন্ন করে সকল ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুর নিরাপত্তার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।
৪. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল’ গঠন ও সেলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে অপরাধের স্পষ্ট ও যথাযথ সংজ্ঞায়ন করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, আমরা দেখছি ধর্ষণ বিষয়ক মামলায় আসামিরা ৪-৫ বছরের বেশি জেলা থাকে না। আমরা চাই সেলগুলো গঠন করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। বিচারে দীর্ঘসূত্রতা বর্জন করতে হবে। অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে আপনারা সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আপনারা অপরাধীদের আইনের হাতে তুলে দিন এবং তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন। আমরা চাই এ দেশে প্রতিটি অপরাধীর শাস্তি হোক।
কর্মসূচি ঘোষণা করে উমামা বলেন, আমরা আগামী ৩ দিনের ভেতরে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতি বরাবর লিখিত স্মারকলিপি পৌঁছে দেব। আমরা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য ৩ দিনের আলটিমেটাম দিচ্ছি। এর মাঝে যদি আমাদের দাবিগুলো না মানা হয় আমরা সর্বশক্তি দিয়ে আবার মাঠে নামব। এর মাঝে আমরা অনলাইন ও অফলাইনে আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে জনমত গঠনে কাজ করে যাব।
সমাবেশে সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী সামিয়া রশিদ, শামছুন নাহার হলের সামিয়া মাসুদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থী দিলরুবা, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাত, ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সুমি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী-শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে মশাল মিছিল করেছে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো প্রদক্ষিণ করে ফের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মশাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তির আশ্বাস না বরং শাস্তি কার্যকরের দাবি জানান। এমনকি শাস্তি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার অঙ্গীকার করেন নারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা-‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জাস্টিস জাস্টিস’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, হ্যাংক দ্য র্যাপিস্ট’; ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’; ‘আমার বোনের কান্না, আর না আর না’; ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধরে ধরে কবর দে’; ‘রশি লাগলে রশি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’; ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘২৪ এর বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’; ‘জাহাঙ্গীর করে কি? খায় দায় ঘুমায় নাকি?’ -ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশ থেকে নারী শিক্ষার্থীরা বলেন, নারীকে নারী হিসেবে না, মানুষ হিসেবে ভাবুন। আমরা ভয়ে থাকি কখন কে আমাদের শরীরে তার কালো হাত দিতে পারে। আমরা আমাদের নিরাপত্তা চাই। আমরা চাই না বাইরে বের হলেই আমাদের ওপর কেউ লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকুক। আমরা ধর্ষকদের এমন শাস্তি চাই যা দেখে অন্যদের এই কাজ করতে বারবার ভাবতে হয়। আমরা চাই, তাদের শাস্তি কার্যকর করা হোক। যত দিন এদের বিচার না হবে আমরা রাজপথ ছাড়ব না। দরকার হলে আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে তার পদত্যাগে বাধ্য করব।
সমাবেশে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। দাবিগুলো হলো-
১. মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর ক্ষেত্রে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা এবং ১ মাসের মধ্যে ধর্ষকের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালে শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২. প্রত্যেক ধর্ষণ মামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত মামলার বিচার কার্য সম্পন্ন করে সকল ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুর নিরাপত্তার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।
৪. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল’ গঠন ও সেলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে অপরাধের স্পষ্ট ও যথাযথ সংজ্ঞায়ন করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, আমরা দেখছি ধর্ষণ বিষয়ক মামলায় আসামিরা ৪-৫ বছরের বেশি জেলা থাকে না। আমরা চাই সেলগুলো গঠন করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। বিচারে দীর্ঘসূত্রতা বর্জন করতে হবে। অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে আপনারা সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আপনারা অপরাধীদের আইনের হাতে তুলে দিন এবং তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন। আমরা চাই এ দেশে প্রতিটি অপরাধীর শাস্তি হোক।
কর্মসূচি ঘোষণা করে উমামা বলেন, আমরা আগামী ৩ দিনের ভেতরে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতি বরাবর লিখিত স্মারকলিপি পৌঁছে দেব। আমরা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য ৩ দিনের আলটিমেটাম দিচ্ছি। এর মাঝে যদি আমাদের দাবিগুলো না মানা হয় আমরা সর্বশক্তি দিয়ে আবার মাঠে নামব। এর মাঝে আমরা অনলাইন ও অফলাইনে আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে জনমত গঠনে কাজ করে যাব।
সমাবেশে সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী সামিয়া রশিদ, শামছুন নাহার হলের সামিয়া মাসুদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থী দিলরুবা, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাত, ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সুমি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
একসময় রাজশাহী নগরে পানি সরবরাহের জন্য প্রতিটি পাম্পে একাধিক অপারেটর থাকতে হতো। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই এই পাম্প নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপরও পাম্পগুলোয় দুই থেকে তিনজন করে পাম্প অপারেটর রাখা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেটের কানাইঘাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০০৯ সালে যোগ দেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) পদে। এরপর ‘জাল-জালিয়াতি, বদলি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১৭ বছরে তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হন।
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নারীদের স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের প্রবণতা বেড়েছে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে সিজারিয়ান সেকশন (‘সিজার’ বলে পরিচিত) অস্ত্রোপচারের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসব ১ হাজার ৫৫২টি বেশি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র রমজানের শুরু থেকে দেশের বৃহত্তম ইফতার মাহফিল চলছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতা আহ্ছানিয়া মিশনে। প্রায় ৮ হাজার মানুষের ইফতার মাহফিল যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে