Ajker Patrika

এবার দুটি টাগবোট রপ্তানি করছে ওয়েস্টার্ন মেরিন

ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম
চলতি মাসেই ‘খালিদ’ ও ‘ঘায়া’ নামের বোট দুটি হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চলতি মাসেই ‘খালিদ’ ও ‘ঘায়া’ নামের বোট দুটি হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

এবার দুটি টাগবোট রপ্তানি করছে দেশের প্রধান জাহাজ নির্মাতা ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। আরব আমিরাতের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মারওয়ান শিপিংকে চলতি মাসেই ‘খালিদ’ ও ‘ঘায়া’ নামের বোট দুটি হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিনের তথ্যমতে, হস্তান্তরের অপেক্ষায় থাকা টাগবোট দুটির মধ্যে খালিদ ৬৪ টন এবং ঘায়া ৮০ টন বোলার্ড পুল (একটি টাগাবোটের অন্য জাহাজকে টানার ক্ষমতা) ক্ষমতাসম্পন্ন।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আরব আমিরাতে ‘রায়ান’ নামের একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট জাহাজ রপ্তানি করে ওয়েস্টার্ন মেরিন।

চলতি মাসেই ‘ঘায়া’ নামের বোট দুটি হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চলতি মাসেই ‘ঘায়া’ নামের বোট দুটি হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে আরও পাঁচটি জাহাজ রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের। এর মধ্যে দুটি অয়েল ট্যাংকার ও তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফট। আরব আমিরাতের একই ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের (মারওয়ান শিপিং) কাছ থেকে ক্রয়াদেশ পেয়ে ইতিমধ্যে জাহাজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি রূপসা’ এবং ‘এমভি সুগন্ধা’ হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড।

উল্লেখ্য, ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৩১টি জাহাজ রপ্তানি করে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। একই সময়ে, দেশি ক্রেতাদের জন্য কনটেইনার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, টাগবোটসহ ৫০টি জলযান তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে, করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানি কমে যায়। ২০২০ সালে দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ রপ্তানি করলেও গত চার বছরে বড় ধরনের কোনো জাহাজ রপ্তানি করেনি তারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে বাংলাদেশ থেকে কোনো জাহাজ রপ্তানি হয়নি। সর্বশেষ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নারায়ণগঞ্জের আনন্দ শিপইয়ার্ড ডেনমার্কে একটি জাহাজ রপ্তানি করে। এরপর আর কোনো রপ্তানি হয়নি।

বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ খাতকে সম্ভাবনাময় মনে করায় ২০০০ সালে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। গত দুই দশকে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের ১৫০টিরও বেশি জাহাজ তৈরি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কার্গো জাহাজ, যাত্রীবাহী জাহাজ, মাল্টিপারপাস আইস-ক্লাস ভেসেল, ল্যান্ডিং ক্রাফট, অফশোর পেট্রোল ভেসেল, টাগবোট, মাছ ধরার জাহাজ, বাল্ক ক্যারিয়ার এবং কনটেইনার ক্যারিয়ার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনবিআরে আন্দোলন: শাস্তি পেতে পারেন তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী

সাবেক আইজির রাজসাক্ষী হওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পুলিশে

প্রধান প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, ইইডিতে তোলপাড়

গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দিতে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে আসিফ মাহমুদ

সৈয়দপুরে চার উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকালেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত