অর্চি হক, ঢাকা
আনাসের বয়স এখনো তিন বছর পেরোয়নি। আর আহনাফ এক বছর সাত মাসের। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়জনের সঙ্গে বেশ ভাব ছিল তাদের বাবা নাদিম মিজানের (৩৫)। বাবাই ছিল তার সব আনন্দের মূলে। কিন্তু নয় দিন হলো বাবাকে দেখে না আনাস, কোলে উঠে জড়িয়ে ধরতে পারে না। প্রতিদিনই সে বাবার খোঁজ করে। কিন্তু সে জানে না, তাদের বাবা আর কখনো ফিরে আসবেন না।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর বনশ্রীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন নাদিম মিজান। তাঁর পৈতৃক নিবাস মিরপুরে। গত বছর ডিসেম্বরে তাঁর মা মারা যান, মাত্র ২৫ দিনের ব্যবধানে গত জানুয়ারিতে বাবারও মৃত্যু হয়। এরপর থেকে বনশ্রীতে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন নাদিম। এই এলাকাতেই গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডারের ব্যবসা ছিল তাঁর।
নাদিমের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে তাঁর স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নেহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার ও (নাদিম মিজান) জুমার নামাজ পড়তে বের হয়। বাসায় ফিরে ভাত খাবে, তাই ওর জন্য ভাত বেড়ে রেখেছিলাম। বাসার পাশেই মসজিদ। নামাজ শেষে সবাই যখন ফিরছিলেন, তখন মানুষের চিৎকার শুনতে পাই, সঙ্গে গুলির শব্দ। এর কিছুক্ষণ পরই মানুষ ওকে নিয়ে আসে। কোমর আর পেটে দুটি গুলি লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার জানান, ও আর নেই।’
তাবাসসুম নেহা যখন কথাগুলো বলছিলেন তখন তাঁর চোখের নিচে ভেসে ওঠে কালছে দাগ। তাঁর উদ্ভ্রান্ত চেহারা বলে দিচ্ছিল, স্বামীর মৃত্যুতে অবুঝ দুই সন্তানকে নিয়ে অকূলপাথার পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। ২০১৮ সালে নাদিম মিজানের সঙ্গে যখন বিয়ে হয়, তাবাসসুম নেহা তখন ক্লাস নাইনের ছাত্রী।
স্বামীর স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর ও-ই আমাকে পড়াশোনা করিয়েছে। এসএসসি পাসের পর কনসিভ করলাম। বড় বাচ্চাটা হলো। এরপর আমি আর পড়াশোনা করতে চাইনি; কিন্তু ও পড়াশোনা চালিয়ে নিতে বলত।’
ছেলেদের পড়াশোনা, তারা বড় হয়ে কী হবে— সবকিছু নিয়ে রাশি রাশি স্বপ্ন ছিল নাদিমের। বড় ছেলে আনাসের ভর্তির জন্য মিরপুরের একটি স্কুল ঠিক করে এসেছিলেন। কিন্তু ছেলের স্কুলে যাওয়া আর দেখা হলো না তাঁর।
তাবাসসুম নেহা বলেন, ‘বড় ছেলেটা সারাক্ষণ বাবার সঙ্গেই থাকত। খেলাধুলা সব বাবার সঙ্গেই করত। ছেলেটা বাবাকে খোঁজে, জড়িয়ে ধরতে চায়। কী উত্তর দিই ওকে?’
আন্দোলন-সংগ্রাম কোনো কিছুতেই না থেকেও স্বামীর এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না এই নারী। তিনি বলেন, ‘কোটা, মেধা— এসবে আমরা কখনই ছিলাম না। ও (নাদিম মিজান) কখনো পলিটিকসও করেনি। তারপরও ওকে কেন মরতে হলো?’
মৃত্যুর পর নাদিমকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় হয়নি কোনো মামলা। প্রশাসন থেকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতাও পায়নি তাঁর পরিবার।
পরিবারের সদস্যরা জানান, লাশ ময়নাতদন্ত করতে হবে বলে তাঁরা মামলা করেননি। তাবাসসুম নেহা বলেন, ‘আমাদের কোনো টাকা-পয়সার প্রয়োজন নেই। লাশ তোলা হোক, পোস্টমর্টেম হোক, আমরা চাই না।’
আনাসের বয়স এখনো তিন বছর পেরোয়নি। আর আহনাফ এক বছর সাত মাসের। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়জনের সঙ্গে বেশ ভাব ছিল তাদের বাবা নাদিম মিজানের (৩৫)। বাবাই ছিল তার সব আনন্দের মূলে। কিন্তু নয় দিন হলো বাবাকে দেখে না আনাস, কোলে উঠে জড়িয়ে ধরতে পারে না। প্রতিদিনই সে বাবার খোঁজ করে। কিন্তু সে জানে না, তাদের বাবা আর কখনো ফিরে আসবেন না।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর বনশ্রীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন নাদিম মিজান। তাঁর পৈতৃক নিবাস মিরপুরে। গত বছর ডিসেম্বরে তাঁর মা মারা যান, মাত্র ২৫ দিনের ব্যবধানে গত জানুয়ারিতে বাবারও মৃত্যু হয়। এরপর থেকে বনশ্রীতে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন নাদিম। এই এলাকাতেই গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডারের ব্যবসা ছিল তাঁর।
নাদিমের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে তাঁর স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নেহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার ও (নাদিম মিজান) জুমার নামাজ পড়তে বের হয়। বাসায় ফিরে ভাত খাবে, তাই ওর জন্য ভাত বেড়ে রেখেছিলাম। বাসার পাশেই মসজিদ। নামাজ শেষে সবাই যখন ফিরছিলেন, তখন মানুষের চিৎকার শুনতে পাই, সঙ্গে গুলির শব্দ। এর কিছুক্ষণ পরই মানুষ ওকে নিয়ে আসে। কোমর আর পেটে দুটি গুলি লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার জানান, ও আর নেই।’
তাবাসসুম নেহা যখন কথাগুলো বলছিলেন তখন তাঁর চোখের নিচে ভেসে ওঠে কালছে দাগ। তাঁর উদ্ভ্রান্ত চেহারা বলে দিচ্ছিল, স্বামীর মৃত্যুতে অবুঝ দুই সন্তানকে নিয়ে অকূলপাথার পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। ২০১৮ সালে নাদিম মিজানের সঙ্গে যখন বিয়ে হয়, তাবাসসুম নেহা তখন ক্লাস নাইনের ছাত্রী।
স্বামীর স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর ও-ই আমাকে পড়াশোনা করিয়েছে। এসএসসি পাসের পর কনসিভ করলাম। বড় বাচ্চাটা হলো। এরপর আমি আর পড়াশোনা করতে চাইনি; কিন্তু ও পড়াশোনা চালিয়ে নিতে বলত।’
ছেলেদের পড়াশোনা, তারা বড় হয়ে কী হবে— সবকিছু নিয়ে রাশি রাশি স্বপ্ন ছিল নাদিমের। বড় ছেলে আনাসের ভর্তির জন্য মিরপুরের একটি স্কুল ঠিক করে এসেছিলেন। কিন্তু ছেলের স্কুলে যাওয়া আর দেখা হলো না তাঁর।
তাবাসসুম নেহা বলেন, ‘বড় ছেলেটা সারাক্ষণ বাবার সঙ্গেই থাকত। খেলাধুলা সব বাবার সঙ্গেই করত। ছেলেটা বাবাকে খোঁজে, জড়িয়ে ধরতে চায়। কী উত্তর দিই ওকে?’
আন্দোলন-সংগ্রাম কোনো কিছুতেই না থেকেও স্বামীর এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না এই নারী। তিনি বলেন, ‘কোটা, মেধা— এসবে আমরা কখনই ছিলাম না। ও (নাদিম মিজান) কখনো পলিটিকসও করেনি। তারপরও ওকে কেন মরতে হলো?’
মৃত্যুর পর নাদিমকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় হয়নি কোনো মামলা। প্রশাসন থেকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতাও পায়নি তাঁর পরিবার।
পরিবারের সদস্যরা জানান, লাশ ময়নাতদন্ত করতে হবে বলে তাঁরা মামলা করেননি। তাবাসসুম নেহা বলেন, ‘আমাদের কোনো টাকা-পয়সার প্রয়োজন নেই। লাশ তোলা হোক, পোস্টমর্টেম হোক, আমরা চাই না।’
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এই তথ্য জানায়। এ ছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের ডেঙ্গু এবং ২০ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে।
০১ জানুয়ারি ১৯৭০রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ৫০০ বিঘার অধিক ফসলি জমি। তার মধ্যে অনেক জমিতে ছিল আমন ধান। এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও কাঁচা-পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অবৈধভাবে অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে খালের মুখ বন্ধ হয়ে পড়ায় এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্ট হয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগেখুঁড়িয়ে চলছে দেশের অন্যতম তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বড়পুকুরিয়া। চালুর পর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কখনোই এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পূর্ণ লক্ষ্যমাত্রার বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি। তিনটি ইউনিটের মধ্যে কখনো একটি, কখনোবা দুটি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে। বর্তমানে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে দুটি ইউনিট।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনায় গত শুক্রবার রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তিনজন খুন এবং একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, হত্যাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ডকে টার্গেট কিলিং বলছে পুলিশ। তারা বলছে, এসব পুলিশের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
৪ ঘণ্টা আগে