জাবি প্রতিনিধি
উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ডিজিটাল স্ক্রিনে স্থান পেতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষকদের আসনে বসেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আজ মঙ্গলবার সকালে ওই অনুষ্ঠানে দুই শিক্ষককে তুলে দিয়ে তাঁদের আসনে ছাত্রলীগের দুই নেতার বসার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ও নতুন ছয়টি হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর সারা দেশের ১৫৭টি প্রকল্প উদ্বোধনের অংশ হিসেবে এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শিক্ষকদের আসনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদককে বসানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দাবি করেছিল যে স্ক্রিনে যাতে শাখা সভাপতি-সেক্রেটারিকে দেখা যায়। সেই ব্যবস্থা করতে হলে তাদের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সারিতে বসাতে হতো। আর ওখানে অনুরোধ করার মতো জুনিয়র ওই দুজনই (শিক্ষক) ছিল। আর অন্য কাউকে অনুরোধ করার সুযোগ ছিল না। তাই প্রোগ্রামটা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে তাদের পেছনে বসার অনুরোধ করেছি।’
বিক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা বলেন, অনুষ্ঠান শুরুর আধা ঘণ্টা পর শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী মিলনায়তনে আসেন। এ সময় সব আসন পূর্ণ থাকায় লিটন বসতে পারেননি। তাতে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হলে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানসহ সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি করেন নেতা-কর্মীরা। পরে প্রক্টর সবাইকে বাইরে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে আরেক দফা কথা-কাটাকাটি ও স্লোগান শুরু হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শেখ শাহরিয়ার ইসলাম আকাশকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের জন্য জায়গা রাখা হয়নি, আমরা তাহলে অডিটরিয়ামে তালা দিয়ে চলে যাই।’ যদিও পরে এই বক্তব্য অস্বীকার করেন আকাশ।
শিক্ষকেরা বলেন, এরপর তৃতীয় সারিতে বসা প্রাণিবিদ্যা ও দর্শন বিভাগের দুই প্রভাষককে আসন ছাড়ার অনুরোধ করেন প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ৷ পরে ওই শিক্ষকদের যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম সারির আসনে বসানো হয়। অন্যদিকে তৃতীয় সারির আসনে সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে বসানো হয়। পরে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই ওই দুই শিক্ষককে অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলায় নির্ধারিত আসন ছিল। কিন্তু নিচতলায় শিক্ষকদের আসনে শিক্ষার্থীদের বসার কথা ছিল না। এরপরও যদি কোনো শিক্ষকের সঙ্গে এ রকম ঘটনা ঘটে থাকে এবং তিনি যদি অনানুষ্ঠানিকভাবেও জানান, তাহলে আমরা শিক্ষক সমিতি এর প্রতিবাদ করব। আর বিষয়টি নিয়ে আমি প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলব।’
তবে প্রক্টর ফিরোজ উল আলম বলেন, ‘ওরা আগে এলে এই সমস্যাটা হতো না। সামনের দিকে বসতে পারত। এরপর কোনো প্রোগ্রামে তারা যেন নির্দিষ্ট সময়ে আসে এবং তারা যেখানে বসতে চায়, সেখানে বসতে পারে। পুরো প্রোগ্রামটা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থেই আমি খুব কাছের দুজন মানুষকে পেছনে বসার অনুরোধ করেছি।’
এদিকে শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই বিষয়টা অসম্মানজনক হয়েছে। যেহেতু ছাত্রলীগের ওরাও আমাদের ছাত্র, সেহেতু ওদের একটু বুঝিয়ে পেছনে বসানো যেত। ভবিষ্যতে প্রশাসন যাতে এসব বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করে সে দাবি রাখছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। প্রক্টর স্যার ভেতরে আসতে বলায় আমরা ভেতরে গিয়েছি। প্রক্টর স্যার যদি কোনো শিক্ষককে সিট থেকে তুলে দিয়ে থাকেন, সে বিষয়ে উনিই ভালো বলতে পারবেন।’
উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ডিজিটাল স্ক্রিনে স্থান পেতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষকদের আসনে বসেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আজ মঙ্গলবার সকালে ওই অনুষ্ঠানে দুই শিক্ষককে তুলে দিয়ে তাঁদের আসনে ছাত্রলীগের দুই নেতার বসার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ও নতুন ছয়টি হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর সারা দেশের ১৫৭টি প্রকল্প উদ্বোধনের অংশ হিসেবে এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শিক্ষকদের আসনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদককে বসানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দাবি করেছিল যে স্ক্রিনে যাতে শাখা সভাপতি-সেক্রেটারিকে দেখা যায়। সেই ব্যবস্থা করতে হলে তাদের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সারিতে বসাতে হতো। আর ওখানে অনুরোধ করার মতো জুনিয়র ওই দুজনই (শিক্ষক) ছিল। আর অন্য কাউকে অনুরোধ করার সুযোগ ছিল না। তাই প্রোগ্রামটা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে তাদের পেছনে বসার অনুরোধ করেছি।’
বিক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা বলেন, অনুষ্ঠান শুরুর আধা ঘণ্টা পর শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী মিলনায়তনে আসেন। এ সময় সব আসন পূর্ণ থাকায় লিটন বসতে পারেননি। তাতে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হলে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানসহ সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি করেন নেতা-কর্মীরা। পরে প্রক্টর সবাইকে বাইরে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে আরেক দফা কথা-কাটাকাটি ও স্লোগান শুরু হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শেখ শাহরিয়ার ইসলাম আকাশকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের জন্য জায়গা রাখা হয়নি, আমরা তাহলে অডিটরিয়ামে তালা দিয়ে চলে যাই।’ যদিও পরে এই বক্তব্য অস্বীকার করেন আকাশ।
শিক্ষকেরা বলেন, এরপর তৃতীয় সারিতে বসা প্রাণিবিদ্যা ও দর্শন বিভাগের দুই প্রভাষককে আসন ছাড়ার অনুরোধ করেন প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ৷ পরে ওই শিক্ষকদের যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম সারির আসনে বসানো হয়। অন্যদিকে তৃতীয় সারির আসনে সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে বসানো হয়। পরে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই ওই দুই শিক্ষককে অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলায় নির্ধারিত আসন ছিল। কিন্তু নিচতলায় শিক্ষকদের আসনে শিক্ষার্থীদের বসার কথা ছিল না। এরপরও যদি কোনো শিক্ষকের সঙ্গে এ রকম ঘটনা ঘটে থাকে এবং তিনি যদি অনানুষ্ঠানিকভাবেও জানান, তাহলে আমরা শিক্ষক সমিতি এর প্রতিবাদ করব। আর বিষয়টি নিয়ে আমি প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলব।’
তবে প্রক্টর ফিরোজ উল আলম বলেন, ‘ওরা আগে এলে এই সমস্যাটা হতো না। সামনের দিকে বসতে পারত। এরপর কোনো প্রোগ্রামে তারা যেন নির্দিষ্ট সময়ে আসে এবং তারা যেখানে বসতে চায়, সেখানে বসতে পারে। পুরো প্রোগ্রামটা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থেই আমি খুব কাছের দুজন মানুষকে পেছনে বসার অনুরোধ করেছি।’
এদিকে শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই বিষয়টা অসম্মানজনক হয়েছে। যেহেতু ছাত্রলীগের ওরাও আমাদের ছাত্র, সেহেতু ওদের একটু বুঝিয়ে পেছনে বসানো যেত। ভবিষ্যতে প্রশাসন যাতে এসব বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করে সে দাবি রাখছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। প্রক্টর স্যার ভেতরে আসতে বলায় আমরা ভেতরে গিয়েছি। প্রক্টর স্যার যদি কোনো শিক্ষককে সিট থেকে তুলে দিয়ে থাকেন, সে বিষয়ে উনিই ভালো বলতে পারবেন।’
গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) পাঁচ শিক্ষককে ‘ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক ১২তম সম্মেলনে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুর উপজেলার হাকিমপুর বাবুর মোড় এলাকায় একটি ধানখেত থেকে এক বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বিকেলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
১৯ মিনিট আগেগাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সাবেক সেনাসদস্য রুহুল আমিন (৪৭) মারা গেছেন। আজ শনিবার ভোর ৪টার দিকে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মারা যান।
২৭ মিনিট আগেআজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কলেজের সামনের সড়ক আটকে দেন তাঁরা। শিক্ষার্থীরা বাঁশ দিয়ে মহাখালী-গুলশান সড়ক আটকালে দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ওই সড়কে আটকে পড়া গাড়িগুলো পরে অন্য সড়ক ঘুরে চলে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। তাঁরা গতকাল শু
৩৩ মিনিট আগে