Ajker Patrika

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর নামে প্রকল্প ‘দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে’ একটি চক্র

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি চক্রের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নামে ‘ভুয়া প্রকল্পে শিক্ষা বৃত্তি ও চাকরির প্রলোভন’ দিয়ে শত শত নারীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এঘটনায় খন্দকার সালমা শওমী (৩৫), তাঁর বোন শাহানাজ খন্দকার শাহীনকর (৪০), তাঁদের দুই সহযোগী তিলক দেওয়ান (৩৫) ও বিনা দেওয়ানকে (৫৫) আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

এই মামলায় বিনা দেওয়ানকে আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান জানান।

প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী নারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকামামলা সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু থিম এন্ড থিংক পার্ক, শাহীন টিউটোরিয়াল ও হাসুমনি’র সম্প্রীতি নামক অনুমোদনহীন তিনটি প্রকল্প পরিচালনা করে শিক্ষা বৃত্তি ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় শত শত নারীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন দুই বোন খন্দকার সালমা শওমী ও শাহানাজ খন্দকার শাহীন। এসব প্রকল্পে ১০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে তিন শতাধিক নারীর কাছ থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জামানত হিসেবে ১২ হাজার ও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। তবে নিয়োগকৃতদের কোনো বেতনভাতা দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়াও চক্রটি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষা বৃত্তির নামে প্রতিজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরম ও নিবন্ধন বাবদ ৪০০ টাকা করে নিয়েছে, কিন্ত বৃত্তি দেয়নি। অন্যদিকে শাহীন টিউটোরিয়াল প্রকল্পের নামে ‘হস্তশিল্পে কাজ দেওয়ার’ কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় কোটি টাকা। ভুক্তভোগীরা তাঁদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে শওমীর স্বামী ও তাঁর শ্বাশুরি প্রাণনাশসহ নানান হুমকি দিতেন।

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর নামে করা ‘ভুয়া প্রকল্পের’ কাগজপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকামামলার বাদী শাহিনুর আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আমার আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে চাকরি খুঁজছিলাম। ঠিক সেই সময়ে জানতে পারি ‘বঙ্গবন্ধু থিম এন্ড থিংক পার্ক’ নামের প্রকল্পে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আমি ১২ হাজার টাকা জামানত দিয়ে চাকরিতে যোগ দেই। চাকরি স্থায়ী ও সরকারিকরণসহ নানা অযুহাতে কয়েক দফায় বেশকিছু টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামিম মিয়া বলেন, মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত