Ajker Patrika

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থ আত্মসাৎ: সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের ৩ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১৫: ৩৩
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থ আত্মসাৎ: সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের ৩ বছরের কারাদণ্ড

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আত্মসাৎকৃত ৫০ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর আদালত সাজা পরোয়ানাসহ তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। 

সেই সঙ্গে রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তৎকালীন মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। 

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এই রায় দেন। এই মামলায় রেদোয়ান আহমেদ বিচারের মুখোমুখি হলেও রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম। 

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হাট-বাজার থেকে প্রতি বছর যে টাকা মন্ত্রণালয় পায়, তার ৪ ভাগ টাকা দুস্থ ও বেকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকে দেওয়া হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই টাকা জমা রাখার জন্য সোনালী ব্যাংক মগবাজার শাখায় একটি হিসাব রয়েছে। 

২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থসচিব শাহ আলম এই অর্থের জিম্মাদার হিসেবে বহাল থাকা অবস্থায় ওই হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। 

২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম রমনা থানায় মামলাটি করেন। তদন্তের পর ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহা. আবুল হোসেন আসামি রেদোয়ান ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র জমা হওয়ার পর আসামি রেদোয়ান আহমদের পক্ষে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০০৭ সালে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করে দেন। 

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদনও আপিল বিভাগ ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর খারিজ করে দেন। 
এরপর মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিসিসি কর্মচারীদের না জড়ানোর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিসিসি কর্মচারীদের না জড়ানোর নির্দেশ

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রাজনীতিবিদেরা করপোরেশনের এমন নির্দেশনাকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন।

জানা গেছে, করপোরেশনের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রকাশ্যে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। অনেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার হয়ে ব্যানার কিংবা পোস্টার সাঁটিয়েছেন নগরজুড়ে। সেই সব ব্যানার-পোস্টারে জুড়ে দিচ্ছেন নিজের ছবি। অনেকে নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে সেই ছবি ফেসবুকে দিচ্ছেন।

এসব কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে অনেকে অফিসও ফাঁকি দিচ্ছেন। ফলে রোববার (৯ নভেম্বর) সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘সিটি করপোরেশনের কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক সভা, সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন, যা চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থী অপরাধ। এ অবস্থায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, মিছিলে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।’

বরিশাল সিটি কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি নুর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক সমর্থন থাকতেই পারে। কিন্তু অনেকে নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে, ব্যানার টানায়। করপোরেশনে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির লোকজন আছে। প্রশাসক এ বিষয়ে বেশ ক্ষুব্ধ। যারা ব্যানার করছে, তাদের ডেকে সতর্ক করেছি। কর্তৃপক্ষ একজনকে শোকজও করেছে।’

এ প্রসঙ্গে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, চাকরিবিধি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। সবাইকে সতর্ক করাই তাঁদের লক্ষ্য।

এদিকে বিসিসির অফিস আদেশ প্রসঙ্গে বাসদের জেলা সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। রাজনীতি করার অধিকার সবারই আছে। অফিস সময়ের বাইরে রাজনীতি করার স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।’

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অফিস শেষে বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিলে বিসিসি বাধা দিতে পারে না। এটা যে কারও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। এভাবে রাজনীতিতে বাধা দেওয়া অন্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডোমারে গাড়িবহরে হামলা: দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জন কারাগারে

নীলফামারী প্রতিনিধি
গোলাম ফিরোজ, মো. রাসেল ও আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
গোলাম ফিরোজ, মো. রাসেল ও আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর ডোমারে বিএনপির প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার জেলাজজ আদালতের বিচারক মো. আবুল মনছুর মিয়া এই আদেশ দেন। এর আগে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর মামলায় উপজেলার সোনারায় ও হরিণচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একজন ইউপি সদস্য রোববার জেলাজজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী, হরিণচড়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. রাসেল রানা এবং ডোমার সদর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর রহমান। তাঁরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

সূত্রমতে, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভগ্নিপতি। সেদিন প্রচারণার কাজে যাওয়ার পথে জোড়াবাড়ী এলাকায় তাঁর গাড়িবহরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির কমপক্ষে ৬০ নেতা-কর্মী আহত হন।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৩১ জনের নামে মামলা করেন। রোববার ওই মামলায় তাঁরা জেলাজজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আবুল মনছুর মিয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জানতে পেরেছি আদালতে জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুরে ওয়ার্কশপে অগ্নিকাণ্ড: মোটরসাইকেলে এসে আগুন দেয় দুজন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আগুন লাগার পর বিস্ফোরণে গাড়ির যন্ত্রাংশ উড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুন লাগার পর বিস্ফোরণে গাড়ির যন্ত্রাংশ উড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় এক ওয়ার্কশপের সামনে থাকা একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে সেখান থেকে বিস্ফোরণে পাশে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স ও পিকআপ ভ্যানও পুড়ে যায়। মোটরসাইকেল করে দুই ব্যক্তি এসে গাড়িতে আগুন দেয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

গতকাল শনবির (৮ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকের বাম পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকঘেঁষে কয়েকটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। সামনে খালি জায়গা এবং গাবতলী-সদরঘাট বেড়িবাঁধ সড়ক। খালি জায়গায় বিভিন্ন মালিক পিকআপ ভ্যান রাখেন এবং নষ্ট গাড়ি রেখে মেরামত করেন মেকানিকরা। শনিবার রাতের আগুনে পোড়া গাড়িগুলোর কাঠামো সেখানেই দেখা যায়।

আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

অগ্নিকাণ্ডের সময় ওয়ার্কশপের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন লোকমান হাকিম। লোকমান জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে তিনি এবং জুয়েল নামে একজন গাড়িচালক দক্ষিণ পাশে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় বেড়িবাঁধের পাশে থাকা একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরে ওঠে। তাঁরা দুজন দৌড়ে গিয়ে দেখেন, ক্যাপ ও মাস্ক পরা এক ব্যক্তি দৌড়ে মোটরসাইকেলে ওঠার চেষ্টা করছে। তবে সে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে যে অপেক্ষা করেছিল সে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার দিকে দ্রুত চলে যায়। আর মাস্ক পরা ব্যক্তি দৌড়ে গাবতলীর দিকে যায়।

আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

লোকমান আরও জানান, তখন তাঁরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। এর মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ছাদ ও যন্ত্রাংশ উড়ে যায়। এ পর্যায়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন তাঁরা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন বলেও জানান লোকমান। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। ততক্ষণে তিনটি গাড়ি পুড়ে যায়।

পোড়া অ্যাম্বুলেন্সের পাশে কাঁদতে দেখা যায় এর মালিক মো. সাগরকে। তিনি বলেন, ‘দুদিন আগে গাড়িটি মেরামতের জন্য সেবা অটোমোবাইল নামে একটি গ্যারেজে দেন। তারা গাড়িটি বেড়িবাঁধের পাশে রেখেই মেরামতের কাজ করেছে। আমি তখন তাদের নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু তারা শোনেনি। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেল।’ তিনি বলেন, ‘সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় এই অ্যাম্বুলেন্স কিনেছি। মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।’

‘সেবা অটোমোবাইল’ গ্যারেজের মালিক মো. জসীম জানান, সব সময় গাড়ি গ্যারেজের সামনে রেখেই মেরামত করেন। কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। গতকাল কারা, কেন টার্গেট করে এই আগুন দিয়েছে তিনি বুঝতে পারছেন না। ঘটনার পর থানা-পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেছেন, ‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, একটি মোটরসাইকেলে দুজন ছিল। এই মোটরসাইকেল থেকে কিছু একটা ছুড়ে মারার পরপরই বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ছুড়ে মারা বস্তুটি পেট্রল বোমা বলে ধারণা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের।’

ওসি আরও বলেন, ‘আমরা একটা ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। সেখানে একজনকে দৌড়ে চলে যেতে দেখা গেছে। মাথায় সাদা ক্যাপ। আমরা আশপাশের আরও কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছি।’ দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে সন্দেহের তালিকায় রেখে তাঁকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৌরীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ‘হৃদ্‌রোগে’ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
তানজিন আহমেদ আবিদ। ছবি: সংগৃহীত
তানজিন আহমেদ আবিদ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার চলার সময় তানজিন আহমেদ আবিদ (৩০) নামের এক ছাত্রদল কর্মী হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আবিদ ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি নূরুজ্জামান সোহেলের অনুসারী। তাঁরা বাবা দক্ষিণ জেলা উলামা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম দেওয়ান মো. আবুল হোসেন।

আজ (৯ নভেম্বর) বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের বিএনপির দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এতে একপক্ষ হলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন সমর্থক। অপর পক্ষ বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের সমর্থক।

গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তালুকদার আকাশ বলেন, ইকবাল হোসাইনের সমাবেশের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে আবিদ। এ সময় তাঁকে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জ্ঞান ফিরে না আসায় তাঁকে দ্রুত অটোরিকশায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্টফেল করে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে কোনো আঘাতে আবিদ মারা যায়নি। সংঘর্ষের সময় হার্টফেল করে তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত