Ajker Patrika

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি: এনু-রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় পেছাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ৫৮
ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি: এনু-রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় পেছাল 

ঢাকার গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক এনু ও তাঁর ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার রায় পিছিয়ে গেছে। আগামী ২৫ এপ্রিল রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করেন। 

 আজ বুধবারই ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ইকবাল হোসেনের আদালতে এ মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল। মামলার প্রধান আসামি এনু-রুপনসহ কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু বিচারক মো. ইকবাল হোসেন ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণা করা হয়নি। 

এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে এর আগে বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আরও ১২টি মামলা হয়। তার মধ্যে ওয়ারী থানার অর্থ পাচার আইনের এ মামলা গত ১৬ মার্চ রাষ্ট্র এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের পর্যায়ে আসে। অন্যান্য মামলা বিচারাধীন আছে। 

 গত বছরের ৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডি পরিদর্শক সাদেক আলী আওয়ামী লীগের গেন্ডারিয়া ইউনিটের সাবেক সহসভাপতি এনু এবং যুগ্ম সম্পাদক রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

মামলার বাকি আসামিরা হলেন তাদের তিন ভাই শহিদুল হক ভূঁইয়া, রাশিদুল হক ভূঁইয়া ও মেরাজুল হক ভূঁইয়া, মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার এবং তাদের সহযোগী তুহিন মুন্সী, নবীর হোসেন সিকদার, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ ও পাভেল রহমান। 

তাঁদের মধ্যে এনু, রুপন, জয় গোপাল, নবীর হোসেন, আজাদ ও সাইফুল কারাগারে আছেন। আসামি তুহিনকে গ্রেপ্তারের পর তিনি জামিনে পান। শহিদুল, রশিদুল, মেরাজুল ও পাভেল পলাতক রয়েছেন। 

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-৩-এর পরিদর্শক মো. জিয়াউল হাসাব বাদী হয়ে এনু ও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে অন্য আসামিদের সম্পৃক্ত করা হয় মামলায়। 

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়ার দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়ার আস্তানা থেকে ৫ কোটি টাকা ও আট কেজি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছিল র‍্যাব। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বাড়ির ভল্টে পাওয়া যায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকা, এক কেজি স্বর্ণ, বিদেশি মুদ্রা ও ৫ কোটি টাকার এফডিআর। মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি তাঁদের ১২১টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পায়। তাঁদের গেন্ডারিয়ার বাড়ি থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত