Ajker Patrika

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি: এনু-রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ৬ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৫: ৫৮
ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি: এনু-রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ৬ এপ্রিল

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত সহোদর দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকা পাচারের মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ৬ এপ্রিল। বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন মামলার রায় ঘোষণার এই দিন নির্ধারণ করেন। 

শুনানিতে এনু, রুপন ও অপর পাঁচ আসামির আইনজীবী আদালতকে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ তাঁদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন, তাই এই অভিযোগ থেকে তাঁদের খালাস দেওয়া উচিত।’ রাষ্ট্রপক্ষ এর আগে যুক্তিতর্ক শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করে। তারও আগে মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

গত বছরের ৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০২০ সালের ২৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক সাদেক আলী আওয়ামী লীগের গেন্ডারিয়া ইউনিটের সাবেক সহসভাপতি এনু ও যুগ্ম সম্পাদক রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বাকি আসামিরা হলেন এনু-রুপনের তিন ভাই শহিদুল হক ভূঁইয়া, রাশিদুল হক ভূঁইয়া ও মেরাজুল হক ভূঁইয়া এবং মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার, তাঁদের সহযোগী তুহিন মুন্সী, নবীর হোসেন সিকদার, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ ও পাভেল রহমান। এদের মধ্যে এনু, রুপন, জয় গোপাল, নবীর হোসেন, আজাদ ও সাইফুল কারাগারে আছেন। আসামি তুহিনকে গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্তি পান। শহিদুল, রশিদুল, মেরাজুল ও পাভেল পলাতক রয়েছেন।  

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৩-এর পরিদর্শক মো. জিয়াউল হাসাব বাদী হয়ে এনু ও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে অন্য আসামিদেরও সম্পৃক্ত করা হয় মামলায়। এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে এর আগে বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আরও ১২টি মামলা হয়। অন্যান্য মামলা বিচারাধীন আছে। 

 ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়ার আস্তানা থেকে ৫ কোটি টাকা ও আট কেজি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে র‍্যাব। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বাড়ির ভল্টে পাওয়া যায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকা, এক কেজি স্বর্ণ, বিদেশি মুদ্রা ও পাঁচ কোটি টাকার এফডিআর। মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি তাঁদের ১২১টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পায়। তাঁদের গেন্ডারিয়ার বাড়ি থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এই মামলার বিচার সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত