নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গণপরিবহন দুই একটা থাকলেও রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত অন্যান্য গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে সড়কে।
রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে আগারগাঁও হয়ে বিজয় সরণি পর্যন্ত গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। একই অবস্থা তেজগাঁও ফ্লাইওভার ও মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে কাকরাইলে যাওয়ার পথেও। গণপরিবহন দুই-চারটা দেখা গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ির দেখে মিলেছে বেশি। এ সময় এই রুটের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
আবার কাকরাইল থেকে শান্তিনগর-মালিবাগ হয়ে রামপুরা পর্যন্তও প্রায় একই ধরনের চিত্রের দেখা মেলে। তবে এই রুটে সকাল সাড়ে আটটার আগে বেশ কিছু বিআরটিসির বাস চলতে দেখা গেছে। সরেজমিনে এই প্রতিবেদক খেয়াল করলে দেখা যায়, বিআরটিসির এসব বাস মূলত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের বহনের জন্য রাস্তায় নেমেছে।
শান্তিনগর থেকে রামপুরাগামী বেসরকারি চাকরিজীবী পুনম যাবেন গুলশান ২-এ। তিনি বলেন, ‘শাটডাউনের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বাসা থেকে বের হয়েছি। অফিসে উপস্থিত হতে হবে ৯টার মধ্যে। কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে দেখি গণপরিবহন খুব একটা নেই। কখন গাড়ি আসবে কে জানে। যা-ও দুই-চারটা গাড়ি আসছে, তাতে ওঠার জো নেই। মানুষে ভর্তি।’ অবশ্য কিছুক্ষণ পর তিনি একটি বাসে উঠে চলে যেতে সক্ষম হন।
কাজীপাড়া থেকে রামপুরায় আসা ফারুক জানান, তিনি সাধারণত মোটরসাইকেলযোগে প্রতিদিন অফিস আসেন। কিন্তু শাটডাউনে রাজধানীর পরিস্থিতি কেমন হয়, সেটা ভেবেই আজ বাইক নিয়ে বের হতে পারেননি। এসেছেন ভেঙে ভেঙে। বাসে করে কারওয়ান বাজার এসে সেখান থেকে সিএনজিযোগে এসেছেন রামপুরায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা ব্রিজের কাছের ইউলুপের দুই প্রান্তেই সাধারণ যাত্রীদের আধিক্য দেখা যায়। তাঁরা সবাই গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকেই জানালেন, অন্যান্য দিন যতটা সহজে গাড়ি-বাস পাওয়া যায়, আজ ততটা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গাড়ির জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা বাড়ছে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দেওয়া ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ আসছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েতউল্লাহ। বুধবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গাড়ি বন্ধ করিনি। গাড়ি চলার নির্দেশ আছে।’ তিনি বলেন, ‘যদি রাস্তার অবস্থা ভালো থাকে তবে গাড়ি চলবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তখন দেখা যাবে। তখন বন্ধ থাকতে পারে।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারা দেশে সংঘর্ষে ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক। এর প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জুলাই) নিহতদের উদ্দেশে গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন মিছিল কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্যাম্পাসগুলোতে কোথাও শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটে শুধু ঢাকাতেই অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গণপরিবহন দুই একটা থাকলেও রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত অন্যান্য গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে সড়কে।
রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে আগারগাঁও হয়ে বিজয় সরণি পর্যন্ত গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। একই অবস্থা তেজগাঁও ফ্লাইওভার ও মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে কাকরাইলে যাওয়ার পথেও। গণপরিবহন দুই-চারটা দেখা গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ির দেখে মিলেছে বেশি। এ সময় এই রুটের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
আবার কাকরাইল থেকে শান্তিনগর-মালিবাগ হয়ে রামপুরা পর্যন্তও প্রায় একই ধরনের চিত্রের দেখা মেলে। তবে এই রুটে সকাল সাড়ে আটটার আগে বেশ কিছু বিআরটিসির বাস চলতে দেখা গেছে। সরেজমিনে এই প্রতিবেদক খেয়াল করলে দেখা যায়, বিআরটিসির এসব বাস মূলত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের বহনের জন্য রাস্তায় নেমেছে।
শান্তিনগর থেকে রামপুরাগামী বেসরকারি চাকরিজীবী পুনম যাবেন গুলশান ২-এ। তিনি বলেন, ‘শাটডাউনের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বাসা থেকে বের হয়েছি। অফিসে উপস্থিত হতে হবে ৯টার মধ্যে। কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে দেখি গণপরিবহন খুব একটা নেই। কখন গাড়ি আসবে কে জানে। যা-ও দুই-চারটা গাড়ি আসছে, তাতে ওঠার জো নেই। মানুষে ভর্তি।’ অবশ্য কিছুক্ষণ পর তিনি একটি বাসে উঠে চলে যেতে সক্ষম হন।
কাজীপাড়া থেকে রামপুরায় আসা ফারুক জানান, তিনি সাধারণত মোটরসাইকেলযোগে প্রতিদিন অফিস আসেন। কিন্তু শাটডাউনে রাজধানীর পরিস্থিতি কেমন হয়, সেটা ভেবেই আজ বাইক নিয়ে বের হতে পারেননি। এসেছেন ভেঙে ভেঙে। বাসে করে কারওয়ান বাজার এসে সেখান থেকে সিএনজিযোগে এসেছেন রামপুরায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা ব্রিজের কাছের ইউলুপের দুই প্রান্তেই সাধারণ যাত্রীদের আধিক্য দেখা যায়। তাঁরা সবাই গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকেই জানালেন, অন্যান্য দিন যতটা সহজে গাড়ি-বাস পাওয়া যায়, আজ ততটা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গাড়ির জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা বাড়ছে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দেওয়া ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ আসছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েতউল্লাহ। বুধবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গাড়ি বন্ধ করিনি। গাড়ি চলার নির্দেশ আছে।’ তিনি বলেন, ‘যদি রাস্তার অবস্থা ভালো থাকে তবে গাড়ি চলবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তখন দেখা যাবে। তখন বন্ধ থাকতে পারে।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারা দেশে সংঘর্ষে ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক। এর প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জুলাই) নিহতদের উদ্দেশে গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন মিছিল কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্যাম্পাসগুলোতে কোথাও শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটে শুধু ঢাকাতেই অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গণপরিবহন দুই একটা থাকলেও রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত অন্যান্য গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে সড়কে।
রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে আগারগাঁও হয়ে বিজয় সরণি পর্যন্ত গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। একই অবস্থা তেজগাঁও ফ্লাইওভার ও মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে কাকরাইলে যাওয়ার পথেও। গণপরিবহন দুই-চারটা দেখা গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ির দেখে মিলেছে বেশি। এ সময় এই রুটের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
আবার কাকরাইল থেকে শান্তিনগর-মালিবাগ হয়ে রামপুরা পর্যন্তও প্রায় একই ধরনের চিত্রের দেখা মেলে। তবে এই রুটে সকাল সাড়ে আটটার আগে বেশ কিছু বিআরটিসির বাস চলতে দেখা গেছে। সরেজমিনে এই প্রতিবেদক খেয়াল করলে দেখা যায়, বিআরটিসির এসব বাস মূলত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের বহনের জন্য রাস্তায় নেমেছে।
শান্তিনগর থেকে রামপুরাগামী বেসরকারি চাকরিজীবী পুনম যাবেন গুলশান ২-এ। তিনি বলেন, ‘শাটডাউনের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বাসা থেকে বের হয়েছি। অফিসে উপস্থিত হতে হবে ৯টার মধ্যে। কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে দেখি গণপরিবহন খুব একটা নেই। কখন গাড়ি আসবে কে জানে। যা-ও দুই-চারটা গাড়ি আসছে, তাতে ওঠার জো নেই। মানুষে ভর্তি।’ অবশ্য কিছুক্ষণ পর তিনি একটি বাসে উঠে চলে যেতে সক্ষম হন।
কাজীপাড়া থেকে রামপুরায় আসা ফারুক জানান, তিনি সাধারণত মোটরসাইকেলযোগে প্রতিদিন অফিস আসেন। কিন্তু শাটডাউনে রাজধানীর পরিস্থিতি কেমন হয়, সেটা ভেবেই আজ বাইক নিয়ে বের হতে পারেননি। এসেছেন ভেঙে ভেঙে। বাসে করে কারওয়ান বাজার এসে সেখান থেকে সিএনজিযোগে এসেছেন রামপুরায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা ব্রিজের কাছের ইউলুপের দুই প্রান্তেই সাধারণ যাত্রীদের আধিক্য দেখা যায়। তাঁরা সবাই গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকেই জানালেন, অন্যান্য দিন যতটা সহজে গাড়ি-বাস পাওয়া যায়, আজ ততটা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গাড়ির জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা বাড়ছে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দেওয়া ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ আসছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েতউল্লাহ। বুধবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গাড়ি বন্ধ করিনি। গাড়ি চলার নির্দেশ আছে।’ তিনি বলেন, ‘যদি রাস্তার অবস্থা ভালো থাকে তবে গাড়ি চলবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তখন দেখা যাবে। তখন বন্ধ থাকতে পারে।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারা দেশে সংঘর্ষে ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক। এর প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জুলাই) নিহতদের উদ্দেশে গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন মিছিল কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্যাম্পাসগুলোতে কোথাও শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটে শুধু ঢাকাতেই অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গণপরিবহন দুই একটা থাকলেও রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত অন্যান্য গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে সড়কে।
রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে আগারগাঁও হয়ে বিজয় সরণি পর্যন্ত গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। একই অবস্থা তেজগাঁও ফ্লাইওভার ও মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে কাকরাইলে যাওয়ার পথেও। গণপরিবহন দুই-চারটা দেখা গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ির দেখে মিলেছে বেশি। এ সময় এই রুটের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
আবার কাকরাইল থেকে শান্তিনগর-মালিবাগ হয়ে রামপুরা পর্যন্তও প্রায় একই ধরনের চিত্রের দেখা মেলে। তবে এই রুটে সকাল সাড়ে আটটার আগে বেশ কিছু বিআরটিসির বাস চলতে দেখা গেছে। সরেজমিনে এই প্রতিবেদক খেয়াল করলে দেখা যায়, বিআরটিসির এসব বাস মূলত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের বহনের জন্য রাস্তায় নেমেছে।
শান্তিনগর থেকে রামপুরাগামী বেসরকারি চাকরিজীবী পুনম যাবেন গুলশান ২-এ। তিনি বলেন, ‘শাটডাউনের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বাসা থেকে বের হয়েছি। অফিসে উপস্থিত হতে হবে ৯টার মধ্যে। কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে দেখি গণপরিবহন খুব একটা নেই। কখন গাড়ি আসবে কে জানে। যা-ও দুই-চারটা গাড়ি আসছে, তাতে ওঠার জো নেই। মানুষে ভর্তি।’ অবশ্য কিছুক্ষণ পর তিনি একটি বাসে উঠে চলে যেতে সক্ষম হন।
কাজীপাড়া থেকে রামপুরায় আসা ফারুক জানান, তিনি সাধারণত মোটরসাইকেলযোগে প্রতিদিন অফিস আসেন। কিন্তু শাটডাউনে রাজধানীর পরিস্থিতি কেমন হয়, সেটা ভেবেই আজ বাইক নিয়ে বের হতে পারেননি। এসেছেন ভেঙে ভেঙে। বাসে করে কারওয়ান বাজার এসে সেখান থেকে সিএনজিযোগে এসেছেন রামপুরায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা ব্রিজের কাছের ইউলুপের দুই প্রান্তেই সাধারণ যাত্রীদের আধিক্য দেখা যায়। তাঁরা সবাই গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকেই জানালেন, অন্যান্য দিন যতটা সহজে গাড়ি-বাস পাওয়া যায়, আজ ততটা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গাড়ির জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা বাড়ছে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দেওয়া ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ আসছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েতউল্লাহ। বুধবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গাড়ি বন্ধ করিনি। গাড়ি চলার নির্দেশ আছে।’ তিনি বলেন, ‘যদি রাস্তার অবস্থা ভালো থাকে তবে গাড়ি চলবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তখন দেখা যাবে। তখন বন্ধ থাকতে পারে।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারা দেশে সংঘর্ষে ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক। এর প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জুলাই) নিহতদের উদ্দেশে গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন মিছিল কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্যাম্পাসগুলোতে কোথাও শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটে শুধু ঢাকাতেই অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না।

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৩৫ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৪২ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেগুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।
রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।
জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।
রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।
জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গণপরিবহন দুই একটা থাকলেও রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত অন্যান্য গাড়ির
১৮ জুলাই ২০২৪
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৪২ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেমুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গণপরিবহন দুই একটা থাকলেও রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত অন্যান্য গাড়ির
১৮ জুলাই ২০২৪
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৩৫ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বজিত রায়, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত শুক্রবার তাহিরপুরের শনির হাওর এবং জামালগঞ্জের হালি হাওর ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গা দিয়ে পানি নামছে নদীতে। অধিকাংশ বাঁধ এলাকায় কাজ শুরুর মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। শনির হাওরের সাহেবনগর, জালালপুর, নয়ানগর, মারালা, ইগ্রামপুর, নিশ্চিন্তপুর, মুরাদনগর, শ্রীপুর হয়ে তাহিরপুর পর্যন্ত যেসব জায়গায় প্রতিবছর বাঁধের কাজ হয়, সেসব জায়গায় বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো আলামত চোখে পড়েনি। শুধু তা-ই নয়, হালি হাওরের একাংশ ঘুরে একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে।
হাওর-সচেতন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের রাজধানীখ্যাত সুনামগঞ্জ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। ওই বোরো ফসল হাতছাড়া হলে দুঃখের সীমা থাকে না এখানকার মানুষের। টেকসই ঝুঁকিমুক্ত বাঁধই পারে এক ফসলি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখতে। এর মধ্যে বাঁধের কাজে ব্যত্যয় ঘটলে গোটা হাওরাঞ্চল ঝুঁকিতে পড়বে।
কথা হয় তাহিরপুরের শনির হাওর পারের নয়ানগর গ্রামের কৃষক বাপ্পি মিয়ার সঙ্গে। বাঁধের প্রাক্কলন-জরিপের কাজ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরার গেরামের আশপাশে প্রতিবছরই পিআইসিরা বাঁধের কাজ করে। এই বছর জরিপের কাজ এখনো হইছে না, কয়দিনের মধ্যে হয়তো করব। সময় তো চইল্যা যাইতাছে (চলে যাচ্ছে)। তাড়াতাড়ি (দ্রুত) কাজ না করলে তো পরে আমরার দৌড়াদৌড়ি করন (করা) লাগে।’
জানা যায়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ হাওর বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ওই বছর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। সেই দুর্নীতি ঠেকাতে নতুন কাবিটা নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার। এই নীতিমালার আলোকে বিলুপ্ত হয় আগের ঠিকাদারি প্রথা। হাওরপারের কৃষিজীবী মানুষের সমন্বয়ে পিআইসি গঠন করে বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার নতুন নির্দেশনা জারি করা হয় নীতিমালায়। কিন্তু পুরোনো প্রথাই বলবৎ আছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে।
নীতিমালায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন; ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার কথা বলা আছে। কিন্তু পিআইসি গঠন দূরের কথা, এখন পর্যন্ত প্রাক্কলন ও জরিপের কাজই শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষক ও হাওর-সচেতন মানুষের মাঝে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও মেরামতে এ বছর ৬৯০টি পিআইসি গঠন করা হতে পারে। এ কাজে প্রাথমিক বরাদ্দ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। জেলার ৯৫টি হাওরের মধ্যে বাঁধের কাজ হবে ৫৩টি হাওরে। চলতি বছরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ এলাকায় সংস্কার ও মেরামতের কাজ হবে। ধর্মপাশা ও শাল্লায় বাঁধের কাজ সবচেয়ে বেশি।
শাল্লা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি তরুণ কান্তি দাস বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রলয়ংকরী হাওর বিপর্যয়ের পর বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ আসেনি। যে কারণে বাঁধ হওয়া না হওয়া নিয়ে তেমন প্রভাব পড়েনি। যদি অকালবন্যা পেয়ে বসে, তাহলে কৃষকের সর্বনাশ হবে। এখনো প্রাক্কলন-জরিপের কাজই চলছে। কাজের এই মন্থরগতি বিপদে ফেলতে পারে হাওরবাসীকে।’
পিআইসি গঠনপ্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরে এখন পর্যন্ত ৮৬টি ক্লোজার (বাঁধের বড় ভাঙা) শনাক্ত করা হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলার ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বাঁধে জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। প্রাক্কলনের কাজও ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত শুক্রবার তাহিরপুরের শনির হাওর এবং জামালগঞ্জের হালি হাওর ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গা দিয়ে পানি নামছে নদীতে। অধিকাংশ বাঁধ এলাকায় কাজ শুরুর মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। শনির হাওরের সাহেবনগর, জালালপুর, নয়ানগর, মারালা, ইগ্রামপুর, নিশ্চিন্তপুর, মুরাদনগর, শ্রীপুর হয়ে তাহিরপুর পর্যন্ত যেসব জায়গায় প্রতিবছর বাঁধের কাজ হয়, সেসব জায়গায় বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো আলামত চোখে পড়েনি। শুধু তা-ই নয়, হালি হাওরের একাংশ ঘুরে একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে।
হাওর-সচেতন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের রাজধানীখ্যাত সুনামগঞ্জ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। ওই বোরো ফসল হাতছাড়া হলে দুঃখের সীমা থাকে না এখানকার মানুষের। টেকসই ঝুঁকিমুক্ত বাঁধই পারে এক ফসলি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখতে। এর মধ্যে বাঁধের কাজে ব্যত্যয় ঘটলে গোটা হাওরাঞ্চল ঝুঁকিতে পড়বে।
কথা হয় তাহিরপুরের শনির হাওর পারের নয়ানগর গ্রামের কৃষক বাপ্পি মিয়ার সঙ্গে। বাঁধের প্রাক্কলন-জরিপের কাজ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরার গেরামের আশপাশে প্রতিবছরই পিআইসিরা বাঁধের কাজ করে। এই বছর জরিপের কাজ এখনো হইছে না, কয়দিনের মধ্যে হয়তো করব। সময় তো চইল্যা যাইতাছে (চলে যাচ্ছে)। তাড়াতাড়ি (দ্রুত) কাজ না করলে তো পরে আমরার দৌড়াদৌড়ি করন (করা) লাগে।’
জানা যায়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ হাওর বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ওই বছর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। সেই দুর্নীতি ঠেকাতে নতুন কাবিটা নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার। এই নীতিমালার আলোকে বিলুপ্ত হয় আগের ঠিকাদারি প্রথা। হাওরপারের কৃষিজীবী মানুষের সমন্বয়ে পিআইসি গঠন করে বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার নতুন নির্দেশনা জারি করা হয় নীতিমালায়। কিন্তু পুরোনো প্রথাই বলবৎ আছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে।
নীতিমালায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন; ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার কথা বলা আছে। কিন্তু পিআইসি গঠন দূরের কথা, এখন পর্যন্ত প্রাক্কলন ও জরিপের কাজই শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষক ও হাওর-সচেতন মানুষের মাঝে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও মেরামতে এ বছর ৬৯০টি পিআইসি গঠন করা হতে পারে। এ কাজে প্রাথমিক বরাদ্দ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। জেলার ৯৫টি হাওরের মধ্যে বাঁধের কাজ হবে ৫৩টি হাওরে। চলতি বছরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ এলাকায় সংস্কার ও মেরামতের কাজ হবে। ধর্মপাশা ও শাল্লায় বাঁধের কাজ সবচেয়ে বেশি।
শাল্লা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি তরুণ কান্তি দাস বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রলয়ংকরী হাওর বিপর্যয়ের পর বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ আসেনি। যে কারণে বাঁধ হওয়া না হওয়া নিয়ে তেমন প্রভাব পড়েনি। যদি অকালবন্যা পেয়ে বসে, তাহলে কৃষকের সর্বনাশ হবে। এখনো প্রাক্কলন-জরিপের কাজই চলছে। কাজের এই মন্থরগতি বিপদে ফেলতে পারে হাওরবাসীকে।’
পিআইসি গঠনপ্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরে এখন পর্যন্ত ৮৬টি ক্লোজার (বাঁধের বড় ভাঙা) শনাক্ত করা হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলার ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বাঁধে জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। প্রাক্কলনের কাজও ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গণপরিবহন দুই একটা থাকলেও রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত অন্যান্য গাড়ির
১৮ জুলাই ২০২৪
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৩৫ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৪২ মিনিট আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেকলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তবে তিনি কোন রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচন করবেন, তা এখনো নিশ্চিত করেননি।
আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন কলাপাড়া উপজেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া জেড এম কাওসার, মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান ইউসুফসহ মুফতি হাবিবুর রহমানের অনুসারীরা।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণার মাধ্যমে পটুয়াখালী-১ ও ৪ আসনে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁর ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও আমির পটুয়াখালী-১ আসনে নির্বাচন করার জন্য নির্ধারণ করে দেন। এ কারণে তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ট্রোক করে তিনি বুঝতে পারেন, এই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ায় তাঁর হৃদয়ের রক্তনালি ছিঁড়ে গেছে। তাই তিনি ফিরে এসেছেন।
হাবিবুর রহমান আরও জানান, তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার মানুষের পাশে থাকবেন এবং আগামী দিনে তিনি এই অঞ্চলের চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়াবেন। বর্তমানে যেভাবে তিনি সাধারণ জীবন যাপন করছেন, এরচেয়ে বেশি বিলাসী জীবন যাপন করবেন না, গাড়ি হবে না, বাড়ি হবে না, তিনি যা আছেন, তা-ই থাকবেন।
এর আগে বিকেলে তিনি শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে কলাপাড়া পৌর শহরে শোডাউন দেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তবে তিনি কোন রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচন করবেন, তা এখনো নিশ্চিত করেননি।
আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন কলাপাড়া উপজেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া জেড এম কাওসার, মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান ইউসুফসহ মুফতি হাবিবুর রহমানের অনুসারীরা।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণার মাধ্যমে পটুয়াখালী-১ ও ৪ আসনে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁর ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও আমির পটুয়াখালী-১ আসনে নির্বাচন করার জন্য নির্ধারণ করে দেন। এ কারণে তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ট্রোক করে তিনি বুঝতে পারেন, এই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ায় তাঁর হৃদয়ের রক্তনালি ছিঁড়ে গেছে। তাই তিনি ফিরে এসেছেন।
হাবিবুর রহমান আরও জানান, তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার মানুষের পাশে থাকবেন এবং আগামী দিনে তিনি এই অঞ্চলের চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়াবেন। বর্তমানে যেভাবে তিনি সাধারণ জীবন যাপন করছেন, এরচেয়ে বেশি বিলাসী জীবন যাপন করবেন না, গাড়ি হবে না, বাড়ি হবে না, তিনি যা আছেন, তা-ই থাকবেন।
এর আগে বিকেলে তিনি শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে কলাপাড়া পৌর শহরে শোডাউন দেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণপরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গণপরিবহন দুই একটা থাকলেও রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত অন্যান্য গাড়ির
১৮ জুলাই ২০২৪
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৩৫ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৪২ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে