Ajker Patrika

ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন স্থগিত: ইসি আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ০৪
ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন স্থগিত: ইসি আলমগীর

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি মো. আলমগীর।

আলমগীর বলেন, ‘পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেউ যদি নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনী দায়িত্বপালনে যদি প্রশাসনের কারও অবহেলা পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোট দিতে বাধা দিলে নির্বাচন স্থগিত করা হবে। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে যদি অন্য প্রার্থীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হবে।’

আজ বেলা ১১টায় সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালীর হাতিয়ার দুই ইউনিয়নের একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদপ্রার্থীরা ইসি ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য (নোয়াখালী-৬) আয়েশা ফেরদাউসের স্বামী মোহাম্মদ আলীর লোকদের অত্যাচারে তাঁরা ভোটের প্রচার চালাতে পারছেন না। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও তাঁরা কোনো প্রতিকার পাননি। এ কারণে কাফনের কাপড় পরে, বিষ হাতে নিয়ে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ দাবি করে ইসি সামনে অবস্থান নেন তাঁরা। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ।

বিষয়টি জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘এটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে প্রথম শুনলাম। আর আমরা কর্মকর্তা পাঠিয়েছিলাম, তাঁরাও আমাদের জানিয়েছেন।

ভোটে যদি কেউ বাধা দেয় তাহলে ইসির ভূমিকা কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাধা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। যে কোনো উৎস থেকে যদি তথ্য পাই যে প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হয়েছে কিংবা ভোটারকে বাধা দেওয়া হয়েছে অথবা নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে দেওয়া হয়নি, তাহলে প্রথমে আমরা যেটা করি, শিডিউলটাকে আমরা স্থগিত করে দিই, যাতে অন্য কোনো প্রার্থী যদি থাকে তাহলে তিনি যেন পুনরায় আবার নমিনেশন দিতে পারেন। যদি এমন হয় সেখানে প্রার্থী নিরাপদ নয়, তাহলে পার্শ্ববর্তী জেলা বা উপজেলায় তাদের নমিনেশন সাবমিট করার সুযোগ দিই।’ 

নির্বাচন কমিশনার আলমগীর আরও বলেন, ‘প্রার্থী, ভোটারদের নিরাপত্তা, প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া—এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। দায়িত্বপালনে কারও অবহেলা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’ 

হাতিয়ার দুই প্রার্থীর অভিযোগ ছিল, সেখানকার প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ওই এলাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সার্কেল এসপিকে প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় হরণী ও চানন্দী নামে এই দুটি ইউনিয়ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে আবার জেগে ওঠে। ২০০৩ সালে দুটি ইউনিয়নকে আবার ঘোষণা দিলে ২০০৫ সালে তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। সেই থেকে এই ইউনিয়ন দুটি প্রশাসক নিয়োগ করে পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী ১৫ জুন হরণী ও চানন্দী ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত