সাইফুল ইসলাম সানি, সখীপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাট, লোডশেডিং ও কম ভোল্টেজের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রাহকেরা। বিশেষ করে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানখেতের সেচ নিয়ে কৃষকদের মাথায় চরম দুশ্চিন্তা চেপে বসেছে। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় দিন-রাত বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলা চলছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে।
তবে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে। খুব দ্রুতই এর সমাধান হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও গ্রাম পর্যায়ে সরবরাহব্যবস্থার নাজেহাল অবস্থা। অধিকাংশ সময়েই চলে লোডশেডিং। দিন-রাতে চলে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার লুকোচুরি খেলা।
এ বিষয়ে উপজেলার লাঙ্গুলিয়া গ্রামের প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্ৰামের বাড়িতে আসছি। কিন্তু বিদ্যুতের কম ভোল্টেজের কারণে পানির পাম্প চলছে না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।’
লাঙ্গুলিয়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুতের দ্রুত আসা-যাওয়ায় সেচ মেশিন চালু করতে পারি না। কিছু সময় বিদ্যুৎ এসে স্থির থাকলেও কম ভোল্টেজের কারণে সেচের মোটর ঘোরে না, পানিও ওঠে না। এ অবস্থা বেশি দিন থাকলে ধানখেত রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামের বিদ্যুতের গ্রাহক মো. আনিসুর রহমান বলেেন, ‘রমজান মাসের শুরু থেকেই আমরা বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কবলে পড়েছি। এমনকি ইফতার, তারাবিহ, সাহরি ও নামাজের সময়ও নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের এই সীমাহীন দুর্ভোগে উপজেলাবাসী চরমভাবে ক্ষুব্ধ।’
অন্যদিকে উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার পোলট্রি খামারি বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কবলে পড়েছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় অত্যধিক গরমে মুহূর্তের মধ্যেই শত শত পোলট্রি মুরগির মৃত্যু হচ্ছে।
এ বিষয়ে পোলট্রি খামারি হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘এই মৌসুমে বিদ্যুতের এমন সমস্যা হবে জানলে খামারে বাচ্চা তুলতাম না।’
পিডিবির পিবিএস ও নলুয়া ফিডারের লাইনম্যান মনির হোসেন জানান, বিদ্যুতের এই অবস্থা নিয়ে গ্রাহকেরা অতিষ্ঠ হয়ে আমাদের ফোন করেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লাইন বেশিক্ষণ টেকে না। অনেক সময় একদিকের লাইন বন্ধ রেখেও অন্যদিকের লাইন চালু রাখতে হয়।
উপজেলার যাদবপুর গ্রামের শিক্ষিকা শারমিন রিতা বলেন, ‘এলাকায় দিনে গড়ে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকতে হচ্ছে। বিদ্যুতের এই বেহাল অবস্থার কথা এলাকাবাসী একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।’
পিডিবির (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) সখীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান ভূঞা বলেন, ‘সখীপুর উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ২৮ মেগাওয়াট। কিন্তু এর তুলনায় আমরা কম সরবরাহ পাচ্ছি। এ ছাড়া গত চার দিন ধরে আমাদের ময়মনসিংহ আরপিসিএলের (রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড) উৎপাদন প্রায় বন্ধ রয়েছে। মূলত গ্যাসের সংকটে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এই সংকট কেটে যাবে। তিনি গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাট, লোডশেডিং ও কম ভোল্টেজের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রাহকেরা। বিশেষ করে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানখেতের সেচ নিয়ে কৃষকদের মাথায় চরম দুশ্চিন্তা চেপে বসেছে। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় দিন-রাত বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলা চলছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে।
তবে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে। খুব দ্রুতই এর সমাধান হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও গ্রাম পর্যায়ে সরবরাহব্যবস্থার নাজেহাল অবস্থা। অধিকাংশ সময়েই চলে লোডশেডিং। দিন-রাতে চলে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার লুকোচুরি খেলা।
এ বিষয়ে উপজেলার লাঙ্গুলিয়া গ্রামের প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্ৰামের বাড়িতে আসছি। কিন্তু বিদ্যুতের কম ভোল্টেজের কারণে পানির পাম্প চলছে না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।’
লাঙ্গুলিয়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুতের দ্রুত আসা-যাওয়ায় সেচ মেশিন চালু করতে পারি না। কিছু সময় বিদ্যুৎ এসে স্থির থাকলেও কম ভোল্টেজের কারণে সেচের মোটর ঘোরে না, পানিও ওঠে না। এ অবস্থা বেশি দিন থাকলে ধানখেত রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামের বিদ্যুতের গ্রাহক মো. আনিসুর রহমান বলেেন, ‘রমজান মাসের শুরু থেকেই আমরা বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কবলে পড়েছি। এমনকি ইফতার, তারাবিহ, সাহরি ও নামাজের সময়ও নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের এই সীমাহীন দুর্ভোগে উপজেলাবাসী চরমভাবে ক্ষুব্ধ।’
অন্যদিকে উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার পোলট্রি খামারি বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কবলে পড়েছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় অত্যধিক গরমে মুহূর্তের মধ্যেই শত শত পোলট্রি মুরগির মৃত্যু হচ্ছে।
এ বিষয়ে পোলট্রি খামারি হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘এই মৌসুমে বিদ্যুতের এমন সমস্যা হবে জানলে খামারে বাচ্চা তুলতাম না।’
পিডিবির পিবিএস ও নলুয়া ফিডারের লাইনম্যান মনির হোসেন জানান, বিদ্যুতের এই অবস্থা নিয়ে গ্রাহকেরা অতিষ্ঠ হয়ে আমাদের ফোন করেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লাইন বেশিক্ষণ টেকে না। অনেক সময় একদিকের লাইন বন্ধ রেখেও অন্যদিকের লাইন চালু রাখতে হয়।
উপজেলার যাদবপুর গ্রামের শিক্ষিকা শারমিন রিতা বলেন, ‘এলাকায় দিনে গড়ে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকতে হচ্ছে। বিদ্যুতের এই বেহাল অবস্থার কথা এলাকাবাসী একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।’
পিডিবির (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) সখীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান ভূঞা বলেন, ‘সখীপুর উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ২৮ মেগাওয়াট। কিন্তু এর তুলনায় আমরা কম সরবরাহ পাচ্ছি। এ ছাড়া গত চার দিন ধরে আমাদের ময়মনসিংহ আরপিসিএলের (রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড) উৎপাদন প্রায় বন্ধ রয়েছে। মূলত গ্যাসের সংকটে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এই সংকট কেটে যাবে। তিনি গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) উন্নয়নকাজে চরম ধীরগতি ও সেবায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদারেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিল পরিশোধে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কার্যত থমকে আছে। কোথাও কোথাও কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শহরে ট্রাফিক জ্যাম বেড়েছে। নাগরিক সেবায়ও ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৩০০ ফুট সড়কে বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি রোলস রয়েস স্পেকটার দুর্ঘটনার নেপথ্যে কুকুর। হঠাৎ দৌড়ে সড়কে চলে আসা একটি কুকুরকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উঠে পড়ে সড়ক বিভাজকে। এতে গাড়ির চার আরোহীই আহত হয়েছেন। গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআড়াই শ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়েছেন আট মাস আগে। যাতায়াতের কষ্টে গ্রামের চার হাজার মানুষকে পড়তে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। রাস্তায় বৃষ্টির পানি আর কাদায় একাকার হয়ে পড়ায় গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। দুর্ভোগ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ওই গ্রামে কোনো অনুষ্ঠানে
৪ ঘণ্টা আগেঅবৈধ দখলে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে গাজীপুরের ‘ফুসফুস’ খ্যাত বেলাই বিল। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ‘নর্থ সাউথ’ ও ‘তেপান্তর’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে শুরু হওয়া এই দখলের কাজ এখন দিনের আলোতেও চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
৪ ঘণ্টা আগে