Ajker Patrika

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক সাভার ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৪, ২১: ৪৩
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। 

দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় সাংবাদিকসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাবি মেডিকেল সেন্টারে প্রায় ১০ শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। জাবি মেডিকেল সেন্টার থেকে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পুলিশি পাহারায় জাবি ভিসিসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে সরে যান। পরে ক্যাম্পাস ত্যাগ করা শুরু করে পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সব পুলিশ সদস্য ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যায়। পুলিশ বের হওয়ার পর র‍্যাবের ৭টি দল টহল দিতে দেখা যায়। 

শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে বিকেল চারটায় শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা থাকলেও বেশির ভাগ শিক্ষার্থী হলেই আছেন বলে জানা যায়। রাত আটটার দিকেও তাদের হলে দেখা যায়। তবে এর আগে কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে ব্যাগ নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হতে দেখা গেছে। 

উপস্থিত সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার দিকে মুরাদ চত্বরে পুলিশের মারধরের শিকার হয়েছেন প্রথম আলোর জাবি প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি ৩৫ জনকে চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখেছেন। তবে এই সংখ্যা আরও বেশি। তিনি ছাড়াও আরও একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকাক্যাম্পাস ত্যাগের সময় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘসময় অবরুদ্ধ থাকার পর আমরা ভিসি স্যারকে রেসকিউ করেছি। কোটা আন্দোলনকারীদের আমরা বারবার অনুরোধ করেছি তবুও তারা সরে যায়নি। পরে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। কেউ আহত হয়েছেন কিনা আমাদের কাছে ম্যাসেজ নেই।’ 

মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে আমাদের ধারণা শিক্ষার্থীরা তা করতে পারে না। বহিরাগতরা এসব থাকতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত