Ajker Patrika

মন্ত্রীর বাসার লিফটে আমলাকে মারধর: অভিযুক্ত আজিজুল সাময়িক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

রাজধানীর পরিবাগে গত বৃহস্পতিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের বাসার লিফটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে মারধর করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (লিড, ডেপুটেশন অ্যান্ড ট্রেনিং রিজার্ভ) মো. আজিজুল ইসলাম। ঘটনায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ১২ (১) মোতাবেক ১৯ জুন চাকরি থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি প্রচলিত বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। 

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর পরিবাগ এলাকার দিগন্ত টাওয়ারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের বাসার লিফটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে আজিজুল ইসলাম মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠার পর হামলাকারী কর্মকর্তার নতুন পদায়ন বাতিল করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কর্মকর্তা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মলয় কুমার শূর শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা তথ্য অনুসারে, প্রশাসনিক বিষয়ে দিকনির্দেশনার জন্য প্রাণিসম্পদমন্ত্রী তাঁর বাসভবন দিগন্ত টাওয়ারে মলয় কুমারকে আসতে বলেছিলেন। ১৩ জুন রাত সোয়া ৮টার সময় মন্ত্রীর বাসায় যান তিনি। কাজ শেষে সোয়া ৯টার দিকে টাওয়ারের লিফটে নিচতলায় নামেন। 

এজাহারে বলা হয়, আজিজুল লিফটের সামনে আগে থেকেই ভারী কোনো বস্তু নিয়ে অবস্থান করছিলেন। লিফটের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে মলয় শূরকে ধাক্কা দিয়ে লিফটের ভেতর ফেলে দেন তিনি। হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ও নাকে আঘাত করে জখম করেন। মলয় চিৎকার করলে নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তখন ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান আজিজুল। এরপর মলয়কে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর মুখমণ্ডল ফেটে যাওয়ায় সেলাই দিতে হয়েছে এবং স্থায়ী ক্ষত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়া বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলামকে আজকের পত্রিকা থেকে একাধিকবার কল ও মেসেজ দেওয়া হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত