Ajker Patrika

ত্রিপুরার হাওড়া নদীর পানি কমতে শুরু করেছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
Thumbnail image

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হাওড়া নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত হাওড়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নতুন করে আর কোনো গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়নি। 

তবে এখনো পর্যন্ত ওই এলাকায় পানিবন্দী অবস্থায় আছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। চুলা ডুবে যাওয়ায় রান্না করতে না পেরে শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটছে তাদের। অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্কুলের ভবনে। উঁচু সড়ক থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা রয়েছে বাড়িঘরে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর আহমেদ জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত হাওড়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।’

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় প্রশাসন থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলামান আছে। পাশাপাশি স্থানীয়রা, স্বেচ্ছাসেবী, শিক্ষার্থীরা ও প্রবাসীরাও ত্রাণ সহায়তা করে যাচ্ছে।’

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বুধবার সকালে স্থল বন্দরের পাশের খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। পানিতে তলিয়ে যায় আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকাসহ ১০টি গ্রাম। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। বন্ধ হয়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে আখাউড়া স্থল বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও যাত্রী পারাপার। 

বুধবার রাতে আবারও প্রবল বৃষ্টি হলে কর্নেল বাজার এলাকার আইড়ল-ইটনা সড়কের হাওড়া নদীর বাঁধের কয়েকটি অংশ ভেঙে যায়। এতে করে নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। 

উপজেলার বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর, খলাপাড়া, উমেদপুর, সেনারবাদী, কুসুমবাড়ি, আওরারচর, ছয়ঘরিয়া, বাউতলা, দরুইন, বচিয়ারা, নোয়াপাড়া, নিলাখাত, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়ণপুর, ভাটামাথা, চন্দ্রপুর, ধরখার গ্রাম, ভিনাউটি, ভবানীপুর, খারকুট, মিনারকুট, কুড়িবিল, পদ্মবিল, টনকি, ইটনা, কর্নেল বাজারসহ অন্তত ৩৫টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি, শাকসবজির জমিসহ মাছের ঘের।

এদিকে কসবায় তিনটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী ইউনিয়নে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ আটকে পড়লে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়। সকালে ওই এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। এছাড়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ও চর ইসলামপুরে তিতাস নদী পানি বৃদ্ধি হওয়ায় বেশ কয়েকটি নিম্না অঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত