Ajker Patrika

কুবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা শিক্ষক সমিতির, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ৫৮
কুবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা শিক্ষক সমিতির, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে সব প্রকার প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। আজ সোমবার শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।

এদিকে গতকাল রোববার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলার ঘটনায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় শিক্ষক সমিতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার পাল্টাপাল্টি দুটি অভিযোগ দিয়েছেন।

শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষকদের ওপর হামলার অভিযোগে গতকাল মধ্যরাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ ছাত্রলীগ নেতাদের দায়ী করে থানায় অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। 

অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা শাখা) মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ থানায় আজ সন্ধ্যায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ অন্যদের আসামি করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ভিসিসহ অন্যদের কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বাধা দিয়ে নাজেহাল, সম্মানহানি, মারধর ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ হুমকি-ধমকির অভিযোগ আনা হয়। 

এদিকে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন শিক্ষকদের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা থেকে ফেরত এসে আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক সমিতির এ ধরনের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকা উচিত। 

উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট কমানো আমাদের যে প্রচেষ্টা শুরু করেছি, তা ব্যাহত হবে। তারা আলোচনার টেবিলে না এসে যদি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করে, তা কতটুকু মানবিক ও যৌক্তিক। বিষয়টি তারা পুনরায় বিবেচনা করে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা কার্যক্রমে ফিরে আসবে বলে আশা করি। এখানো আমাদের আলোচনার দ্বার খোলা। তাদের দাবি আমরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছি। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে তারা সরকারের সঙ্গে বসুক। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা যাবে না।’ 

 এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় দুপক্ষের দুটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত