মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সোনালুগাছে গাছে ঝুলছে ফুল। সবুজ পাতা ছাপিয়ে সোনালি রঙের ফুলে সেজেছে গাছ। প্রতিটি গাছের শরীর থেকে যেন হলুদ ঝরনা নেমে এসেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ির আঙিনায়, পুকুরের পাড়ে ও রাস্তার ধারে সোনালুগাছগুলো ফুলে ফুলে শোভিত হয়ে আছে। এ ফুল আকৃষ্টে হচ্ছেন পথচারীরা। সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন আরোহীরাও মুগ্ধ চোখে দেখছেন সোনালু ফুলের গাছগুলো।
সোনালুগাছ পাতা ঝরা মাঝারি আকৃতির বৃক্ষ। আট থেকে নয় মিটার উঁচু হয়। হলুদ এ ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি আছে বাহারি সব নাম। পরিচিত নামগুলোর মধ্যে আছে সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বান্দরলাঠি ইত্যাদি। সোনালুর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যাসিয়া ফিস্টুলা, ইংরেজি নাম গোল্ডেন শাওয়ার ট্রি। বানরের প্রিয় খাবার সোনালুর ফুল, ফল ও পাতা। সোনালু কাঠের রং ইটের মতো লাল।
ব্রাহ্মণপাড়ায় সবচেয়ে বেশি সোনালুগাছ চোখে পড়েছে মাধবপুর ইউনিয়নের মকিমপুর এলাকায়। এই ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ উপজেলার মকিমপুর গ্রামের সজল আহমেদ বলেন, ‘আমরার গেরামতে বাইরনের সময় সড়কের ধারে দুইডা হুনাইল গাছ আছে। এইডিতে অহন ফুল ধরছে। অনেক সুন্দর লাগে। আমরার এগুল এই ফুলেরে হুনাইল ফুল আর না হয় বান্দরের লাডি ফুল কয়। এলাকার ছুডু ছুডু পুলা, পুরিপাইন এই ফুল পাইরা নিয়া খেলায়।’
একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী শাহদাত হোসেন বলেন, ‘এই সময়ে আমি যতবার মোটরসাইকেল নিয়ে মকিমপুর গ্রামের সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি, কিছুটা সময় হলেও মোটরসাইকেল থামিয়ে এই ফুলের শোভা উপভোগ করি। তবে যখন দেখি স্থানীয় শিশু-কিশোররা এসব ফুল ও ডালা ভেঙে নিয়ে যায় তখন মন খারাপ হয়।’
স্কুলশিক্ষক এরশাদ মিয়া বলেন, ‘আমি মকিমপুর এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে মকিমপুর সড়কের সোনালু ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করি। শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয় থেকে আসা-যাওয়ার পথে এসব ফুল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে তার সৌন্দর্য উপভোগ করে। অনেক শিক্ষার্থী আবার গাছ থেকে সোনালু ফুল পেড়ে বাড়িতে নিয়ে যায় খেলা করার জন্য।’
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, এটি খুবই ওষধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। ইউনানি চিকিৎসায় এখনো এই গাছের ব্যবহার রয়েছে। সোনালুগাছের বাকল এবং পাতায় ওষধি গুণাগুণ রয়েছে। ব্লাডপ্রেসারে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে সোনালুর ফলমজ্জা আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে তা ছেঁকে চিনি বা মধু দিয়ে পান করলে এ সমস্যার সমাধান হয়। অন্ত্রের সমস্যায় চার-পাঁচ গ্রাম ফলমজ্জা চার কাপ পানিতে সেদ্ধ করে ছেঁকে সকালে ও বিকেলে পান করলে সুবিধা পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন, সোনালুগাছ একটি বনজ শোভাবর্ধনকারী গাছ। এটি ভারত উপমহাদেশের একটি গাছ। এই শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ, পাখিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। গাছের উজ্জ্বল হলুদ ফুল মৌমাছি ও প্রজাপতিদের আকর্ষণ করে পরাগায়নের সহযোগিতা করে। এই গাছ মূলত সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়ে থাকে। সোনালুগাছের সঙ্গে কৃষ্ণচূড়া, পলাশ প্রভৃতি গাছ লাগালে আরও বেশি সৌন্দর্যবর্ধন করে। ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন সড়কের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এসব গাছের চারা রোপণ করা হবে বলে জানান এ বন কর্মকর্তা।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সোনালুগাছে গাছে ঝুলছে ফুল। সবুজ পাতা ছাপিয়ে সোনালি রঙের ফুলে সেজেছে গাছ। প্রতিটি গাছের শরীর থেকে যেন হলুদ ঝরনা নেমে এসেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ির আঙিনায়, পুকুরের পাড়ে ও রাস্তার ধারে সোনালুগাছগুলো ফুলে ফুলে শোভিত হয়ে আছে। এ ফুল আকৃষ্টে হচ্ছেন পথচারীরা। সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন আরোহীরাও মুগ্ধ চোখে দেখছেন সোনালু ফুলের গাছগুলো।
সোনালুগাছ পাতা ঝরা মাঝারি আকৃতির বৃক্ষ। আট থেকে নয় মিটার উঁচু হয়। হলুদ এ ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি আছে বাহারি সব নাম। পরিচিত নামগুলোর মধ্যে আছে সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বান্দরলাঠি ইত্যাদি। সোনালুর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যাসিয়া ফিস্টুলা, ইংরেজি নাম গোল্ডেন শাওয়ার ট্রি। বানরের প্রিয় খাবার সোনালুর ফুল, ফল ও পাতা। সোনালু কাঠের রং ইটের মতো লাল।
ব্রাহ্মণপাড়ায় সবচেয়ে বেশি সোনালুগাছ চোখে পড়েছে মাধবপুর ইউনিয়নের মকিমপুর এলাকায়। এই ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ উপজেলার মকিমপুর গ্রামের সজল আহমেদ বলেন, ‘আমরার গেরামতে বাইরনের সময় সড়কের ধারে দুইডা হুনাইল গাছ আছে। এইডিতে অহন ফুল ধরছে। অনেক সুন্দর লাগে। আমরার এগুল এই ফুলেরে হুনাইল ফুল আর না হয় বান্দরের লাডি ফুল কয়। এলাকার ছুডু ছুডু পুলা, পুরিপাইন এই ফুল পাইরা নিয়া খেলায়।’
একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী শাহদাত হোসেন বলেন, ‘এই সময়ে আমি যতবার মোটরসাইকেল নিয়ে মকিমপুর গ্রামের সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি, কিছুটা সময় হলেও মোটরসাইকেল থামিয়ে এই ফুলের শোভা উপভোগ করি। তবে যখন দেখি স্থানীয় শিশু-কিশোররা এসব ফুল ও ডালা ভেঙে নিয়ে যায় তখন মন খারাপ হয়।’
স্কুলশিক্ষক এরশাদ মিয়া বলেন, ‘আমি মকিমপুর এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে মকিমপুর সড়কের সোনালু ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করি। শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয় থেকে আসা-যাওয়ার পথে এসব ফুল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে তার সৌন্দর্য উপভোগ করে। অনেক শিক্ষার্থী আবার গাছ থেকে সোনালু ফুল পেড়ে বাড়িতে নিয়ে যায় খেলা করার জন্য।’
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, এটি খুবই ওষধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। ইউনানি চিকিৎসায় এখনো এই গাছের ব্যবহার রয়েছে। সোনালুগাছের বাকল এবং পাতায় ওষধি গুণাগুণ রয়েছে। ব্লাডপ্রেসারে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে সোনালুর ফলমজ্জা আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে তা ছেঁকে চিনি বা মধু দিয়ে পান করলে এ সমস্যার সমাধান হয়। অন্ত্রের সমস্যায় চার-পাঁচ গ্রাম ফলমজ্জা চার কাপ পানিতে সেদ্ধ করে ছেঁকে সকালে ও বিকেলে পান করলে সুবিধা পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন, সোনালুগাছ একটি বনজ শোভাবর্ধনকারী গাছ। এটি ভারত উপমহাদেশের একটি গাছ। এই শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ, পাখিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। গাছের উজ্জ্বল হলুদ ফুল মৌমাছি ও প্রজাপতিদের আকর্ষণ করে পরাগায়নের সহযোগিতা করে। এই গাছ মূলত সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়ে থাকে। সোনালুগাছের সঙ্গে কৃষ্ণচূড়া, পলাশ প্রভৃতি গাছ লাগালে আরও বেশি সৌন্দর্যবর্ধন করে। ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন সড়কের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এসব গাছের চারা রোপণ করা হবে বলে জানান এ বন কর্মকর্তা।
রাজশাহীর পবা উপজেলায় অতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ের কালভার্টটি নির্মাণে ৩ সুতা বা ১০ মিলিমিটার পুরুত্বের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় ব্যস্ত সড়কের এই কালভার্ট কত দিন টিকবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। তাঁরা বলছেন, বিষয়টি জানানোর পরও কোন
৬ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সরকারি গভীর নলকূপ বসানোর কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের নকল পাইপ। তবে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে পরীক্ষিত সঠিক পাইপ ব্যবহার করা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেপাবনার ঈশ্বরদীসহ আশপাশের উপজেলায় ডায়রিয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবের কারণ জানতে তিন দিন ধরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ৬ সদস্যের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থান করছে।
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে গরুর খামার থেকে অস্ত্রের মুখে গরু ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গরু ছিনিয়ে নেওয়া সময় খামারমালিককে মারধরের পর আশপাশে লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে