Ajker Patrika

সোনাইমুড়ীতে আ. লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ, সম্মেলন পণ্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২২, ২০: ০৭
Thumbnail image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু-পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে চেয়ারসহ সম্মেলনস্থলের জিনিসপত্র। এমন পরিস্থিতিতে পণ্ড হয়ে যায় সম্মেলন।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়াগ মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক  হাফিজ তানভির, যুগ্ম আহ্বায়ক  আব্দুর রহিম, ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন বাবু, জয়াগ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাব্বিসহ অন্তত ছয়জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার আওয়ামী লীগে একজন সদস্যকে সমন্বয় করে সোনাইমুড়ীর জয়াগে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা না আসলেও অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কার্যক্রম শুরু করে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। পরে অনুষ্ঠানস্থলে সংসদ সদস্য এ এইচ এম ইব্রাহিম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সম্মেলনের সমন্বয়ক ফুয়াদ হোসেন আসেন।

প্রধান অতিথি আসার আগে প্রোগ্রাম শুরু করায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়

অনুষ্ঠান আগে শুরু নিয়ে অতিথিদের সঙ্গে আসা নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে উপস্থিত আওয়ামী লীগের দু-পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। পরে জয়াগ মহা বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

একাধিক সূত্র জানায়, প্রধান অতিথি এমপি এ এইচ এম ইব্রাহিম অনুষ্ঠানস্থলে আসতে দেরি হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের ও সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল বাবু মোবাইলে তাঁর অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। কিন্তু তাতে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা আপত্তি জানালে ঝামেলার সূত্রপাত হয়।

উপজেলা আ. লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অনুষ্ঠান শুরু নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। পরে সম্মেলন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে বড় ধরনের কিছু হয়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত