Ajker Patrika

কক্সবাজারে বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ দেখে হতবাক দুই উপদেষ্টা

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ০২
কক্সবাজারে বাঁকখালী নদী পরিদর্শনে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: পিআইডি
কক্সবাজারে বাঁকখালী নদী পরিদর্শনে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: পিআইডি

কক্সবাজার শহরে বাঁকখালী নদীতীরের পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণ করে হতবাক হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

দুজন আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কস্তুরাঘাট খুরুশকূল সেতুসংলগ্ন এলাকায় নৌবন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থানে যান। সেখান থেকে তাঁরা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা, চরের প্যারাবন ধ্বংস, অপরিকল্পিত খনন ও পৌরসভার ভাগাড় ঘুরে দেখেন। সেই সঙ্গে নদীর সীমানার মানচিত্র দেখেন। পরে তাঁরা যান শহরের পেশকারপাড়ায়। সেখানে জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল এবং ট্রলার ভেড়ানোর স্থান দখলের দৃশ্য দেখতে পান।

এ সময় নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত জানান, শিগগিরই বাঁকখালী নদীর তীর দখলমুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমি বন্দর করব, বাকিরা দখল করবে—তা হয় না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। নদীর নির্ধারিত সীমানা রয়েছে, যা গেজেট আকারে আছে।’

অবৈধ দখল সাত-আট দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা নদীর জমি দখল করে আছে, তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। তা না হলে পাকা বাড়িঘরও ভাঙতে হবে।’

অনেক বছর ধরে দখল প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে সাখাওয়াত বলেন, ‘নদীবন্দর করতে হলে তো নদী দরকার। নদীই তো অর্ধেক দখল হয়ে আছে। শিগগিরই নদী দখলমুক্ত করে নৌবন্দরের কাজ শুরু করা হবে।’

দুই উপদেষ্টা পরে বাঁকখালী নদী মোহনার নুনিয়ারছড়ায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জেটি ঘাটে যান। সেখানে তাঁরা কক্সবাজার-মহেশখালী পথে সি ট্রাক চলাচল উদ্বোধন করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে উপদেষ্টা সাখাওয়াত ২৫০ যাত্রী ধারণের ক্ষমতাসম্পন্ন সি ট্রাকে করে মহেশখালীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। সেখানে তিনি সুধী সমাবেশে যোগ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত