হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়ায় গাছ কাটা নিয়ে মা ও মেয়েকে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে সে ভিডিও দিয়ে টিকটক তৈরি করে ছেড়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আজ বুধবার এ ঘটনার বিচার চেয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানীয়া গ্রামে। ভুক্তভোগী মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া ভিন্ন ভিন্ন অপরাধ। আমি থানায় কথা বলেছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘বাড়ির একটি অংশ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে অপর বাসিন্দা নবীর উদ্দিনদের বিরোধ চলে আসছিল। গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একটি গাছ কাটা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নবীর পরিবারের লোকজন ভুক্তভোগী পরিবারের মা-মেয়েকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে।
খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থান করা পরিবারের প্রধান লোকজন নিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় পরিবারের প্রধান বাদী হয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থানায় নবীর উদ্দিনসহ সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়ে মা-মেয়েকে নির্যাতনের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন।
মো. জিল্লুর রহমান নামে একটি আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। এক মিনিট ১৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, মা ও মেয়েকে মোটা রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাঁরা বারবার ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানালেও কেউ সহযোগিতা করছে না। টিকটক করা এই ভিডির ওপরে লেখা হয় ‘এরা চোর তাই এদের বাঁধা হয়েছে, এদের চুরির অনেক রেকর্ড আছে, আপনারা বলেন এদের কি সাজা দেওয়া উচিত।’
ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এরা এলাকায় প্রভাবশালী। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। ঘটনার দিন মা মেয়েকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে শুনে অনেকের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু কেউ সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন নি। পরে ইউপি সদস্য ইরাক এসে তাদের উদ্ধার করেন।’ ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ায় সামাজিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বুড়িরচর ইউনিয়নের (ইউপি) সদস্য ইরাক বলেন, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান মোবাইলে তাকে ঘটনাটি জানান। পরে বাড়ি এসে মা ও মেয়েকে বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।’ এই ঘটনার ভিডিও টিকটক তৈরি করার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত একই বাড়ির বাসিন্দা নবীর উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন মা ও মেয়ে দা নিয়ে আমাদের আক্রমণ করায় মহিলারা দুজনকে বেঁধে রাখে। তবে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি।’
হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর মেয়ের বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
নোয়াখালীর হাতিয়ায় গাছ কাটা নিয়ে মা ও মেয়েকে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে সে ভিডিও দিয়ে টিকটক তৈরি করে ছেড়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আজ বুধবার এ ঘটনার বিচার চেয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানীয়া গ্রামে। ভুক্তভোগী মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া ভিন্ন ভিন্ন অপরাধ। আমি থানায় কথা বলেছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘বাড়ির একটি অংশ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে অপর বাসিন্দা নবীর উদ্দিনদের বিরোধ চলে আসছিল। গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একটি গাছ কাটা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নবীর পরিবারের লোকজন ভুক্তভোগী পরিবারের মা-মেয়েকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে।
খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থান করা পরিবারের প্রধান লোকজন নিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় পরিবারের প্রধান বাদী হয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থানায় নবীর উদ্দিনসহ সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়ে মা-মেয়েকে নির্যাতনের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন।
মো. জিল্লুর রহমান নামে একটি আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। এক মিনিট ১৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, মা ও মেয়েকে মোটা রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাঁরা বারবার ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানালেও কেউ সহযোগিতা করছে না। টিকটক করা এই ভিডির ওপরে লেখা হয় ‘এরা চোর তাই এদের বাঁধা হয়েছে, এদের চুরির অনেক রেকর্ড আছে, আপনারা বলেন এদের কি সাজা দেওয়া উচিত।’
ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এরা এলাকায় প্রভাবশালী। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। ঘটনার দিন মা মেয়েকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে শুনে অনেকের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু কেউ সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন নি। পরে ইউপি সদস্য ইরাক এসে তাদের উদ্ধার করেন।’ ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ায় সামাজিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বুড়িরচর ইউনিয়নের (ইউপি) সদস্য ইরাক বলেন, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান মোবাইলে তাকে ঘটনাটি জানান। পরে বাড়ি এসে মা ও মেয়েকে বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।’ এই ঘটনার ভিডিও টিকটক তৈরি করার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত একই বাড়ির বাসিন্দা নবীর উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন মা ও মেয়ে দা নিয়ে আমাদের আক্রমণ করায় মহিলারা দুজনকে বেঁধে রাখে। তবে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি।’
হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর মেয়ের বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিমা ইয়াছমিন রোববার সন্ধ্যার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানোর জন্য আমার কাছে সরকারি কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই আমি ছবি সরাতে যাইনি। মূলত বিদ্যালয় এলাকার একটি মহল সকালে বিদ্যালয়ে এসে দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে।’
১১ মিনিট আগেআলমগীর জানান, বাড়ির পাশের কুমড়োর খালের ধারে শূন্যরেখা বরাবর তাঁর একটি মাছের ঘের রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে ঘেরটি তলিয়ে যাওয়ায় সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনি ঘেরে নেট দিতে গেলে ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ছররা গুলি ছোড়ে। এতে তাঁর মাথা, মুখ, ডান চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে।
১৯ মিনিট আগেঅন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া দিশেহারা হয়ে গেলেন স্বামীর শেষ স্মৃতি গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় বাবা শাহাব উদ্দিন ওরফে আব্দুর রাজ্জাক এসে তাঁকে নিয়ে গেলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পুনাইল গ্রামে নিজ বাড়িতে। এমন কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাননি কোনো সান্ত্বনাও।
২৪ মিনিট আগেসাংস্কৃতিক সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতা কামাল পাশা চৌধুরীকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার।
১ ঘণ্টা আগে