Ajker Patrika

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি, আরসা কমান্ডার নিহত

উখিয়া ও কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ১৯: ১৯
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি, আরসা কমান্ডার নিহত

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও উগ্রপন্থী রোহিঙ্গা সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়া (৩৪) নামে এক আরসা কমান্ডার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য।

লালাইয়া তানজিমার খোলা ১৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-ই/ ৩-এর বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল মজিদ হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারসহ একাধিক মামলার আসামি। তিনি আরসার কমান্ডার ছিলেন।

সন্ত্রাসীদের অবস্থানের ব্যাপারে তথ্য পেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালায় পুলিশআজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৯নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক এ-৮-এ এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের ২০-২৫ জনের একটি দল ৮ এপিবিএনের আওতাধীন ঘোনারপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল ১৯ নং ক্যাম্পের এ-৮ ব্লকের আমিন মাঝির ঘরের পাশে কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে আরসার অস্ত্রধারী ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে।’

অভিযানে তিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ।ফারুক জানান, ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লালাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের পাশে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। আব্দুল মজিদ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত চারটি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

এরপর আশপাশের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তিন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়০। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৭, এ-১৭ ও এ-৮ ব্লকের বাসিন্দা যথাক্রমে কাশেম আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের (৪৫), মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন (২০) ও সলিমউল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী (২৫)।

আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদগ্রেপ্তারকৃতদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর ও নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো  হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী।

এপিবিএন কর্মকর্তা ফারুক বলেন, ‘এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে, পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

৮ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত