Ajker Patrika

রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আরসা-আরএসওর গোলাগুলিতে তরুণ নিহত, আহত ৫

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ২২: ৩১
রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আরসা-আরএসওর গোলাগুলিতে তরুণ নিহত, আহত ৫

কক্সবাজারে উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর এবং জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
 
নিহত তরুণের নাম আব্দুর রহমান (১৯)। তিনি হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন—১৪ নম্বর ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের সিদ্দিক আহমেদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩২), সুলতান আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (৩৭), রশিদ উল্লাহর ছেলে মো. শাফায়েত (২৫) ও দিল মোহাম্মদের ছেলে নুর আলম (২২) এবং জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের লাল মিয়ার স্ত্রী নেসারা (৫৫)।

রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর গোলাগুলি ও একজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে আমির জাফর বলেন, মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা এবং আরএসও সন্ত্রাসীরা অতর্কিত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষ ২০-২৫টি গুলি ছোড়েন। এতে ছয়জন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামতলীর এমএসএফ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের কুতুপালং এলাকায় এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমির জাফর আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শ্বশুরকে জামাতার ফোন: ‘আপনার মেয়েকে মাইরা ফেলছি, লাশ নিয়ে যান’

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ দুদক: আইনজীবী

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে গেলেন ইমামতি করতে

ঢাবির সিন্ডিকেটে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের চূড়ান্ত অনুমোদন

ঐতিহাসিক শিমলা চুক্তি বাতিল করল পাকিস্তান, এর প্রভাব কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত