পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
মা ইলিশ রক্ষায় আবারও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবার (১১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য নদী ও সাগরে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগর ও নদী থেকে ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। ইতিমধ্যে শত শত ট্রলার ভিড়ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি ঘাটে।
আশ্বিনের পূর্ণিমা ইলিশ প্রজননের প্রধান মৌসুম। এ সময় সমুদ্র থেকে ডিম ছাড়ার জন্য মিঠা পানির নদ-নদীতে চলে আসে মা ইলিশ। আর এই ডিম ছাড়া নির্বিঘ্ন করতে ২২ দিনের ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
জেলেরা জানান, আষাঢ় থেকে আশ্বিন চার মাস ইলিশ শিকারের প্রধান মৌসুম। কিন্তু এর মধ্যে ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইলিশ শিকার করতে না পারা এবং নদ-নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ না থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলে ও ট্রলার মালিকেরা।
জেলেরা আরও জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় বরগুনা উপকূলের প্রায় দেড় লাখ জেলে বেকার হয়ে পড়বেন। তাই পরিবার চালাতে সরকারের কাছে খাদ্য ও নগদ অর্থসহায়তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ইলিশ সম্পদ উন্নয়নসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, বেচাকেনা, মজুত ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে এবং একই সঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে।
নিষিদ্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্যসহায়তা দেবে বলেও ইলিশ সম্পদ উন্নয়নসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে আইন অমান্যকারী কমপক্ষে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম-বরিশাল বিভাগের ইলিশের বিভিন্ন অভয়াশ্রমে গবেষণা করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এই গবেষণায় নদী ও সমুদ্রে বিচরণরত ইলিশের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ইলিশ ডিম ছাড়ার উপযুক্ত হয়েছে বলে তথ্যে উঠে এসেছে।
চলতি বছরে বড় আকৃতির মা ইলিশের সংখ্যাই বেশি। তাই প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করা গেলে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের গবেষক বিপ্লব কুমার সরকার। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রতিটি ইলিশকে তার জীবনচক্রে একবার ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়ার তাগিদ এই গবেষকদের।
জেলেরা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে নদ-নদীতে তেমন মাছের দেখা মিলছে না। গবেষকেরা যতই গবেষণা করুন, যদি নদ-নদী থেকে ট্রলিং বোট, অবৈধ নিষিদ্ধ জাল, ঘোফ, বেহুন্দি, চরগড়া বন্ধসহ নেট জাল সাগরে ফেলা শতভাগ নিষিদ্ধ না করে, তাহলে ইলিশসহ যাবতীয় মাছের বংশ ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে আর্থিক সংকটে পড়বে দেশ।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় উপকূলের জেলেরা শতভাগ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত। তবে এই সময়ে যেন ভারতের ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে সরকারের কাছে দাবি জানাই।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দে বলেন, ‘সাগর ও নদীতে এই ২২ দিন কোনো জেলেকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম সফল করতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।’
সম্প্রতি ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া পাথরঘাটার জেলেদের সহায়তা প্রদানকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এরা নির্দেশনা অনুযায়ী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করবে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার সুফল সম্পর্কে জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
মা ইলিশ রক্ষায় আবারও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবার (১১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য নদী ও সাগরে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগর ও নদী থেকে ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। ইতিমধ্যে শত শত ট্রলার ভিড়ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি ঘাটে।
আশ্বিনের পূর্ণিমা ইলিশ প্রজননের প্রধান মৌসুম। এ সময় সমুদ্র থেকে ডিম ছাড়ার জন্য মিঠা পানির নদ-নদীতে চলে আসে মা ইলিশ। আর এই ডিম ছাড়া নির্বিঘ্ন করতে ২২ দিনের ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
জেলেরা জানান, আষাঢ় থেকে আশ্বিন চার মাস ইলিশ শিকারের প্রধান মৌসুম। কিন্তু এর মধ্যে ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইলিশ শিকার করতে না পারা এবং নদ-নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ না থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলে ও ট্রলার মালিকেরা।
জেলেরা আরও জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় বরগুনা উপকূলের প্রায় দেড় লাখ জেলে বেকার হয়ে পড়বেন। তাই পরিবার চালাতে সরকারের কাছে খাদ্য ও নগদ অর্থসহায়তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ইলিশ সম্পদ উন্নয়নসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, বেচাকেনা, মজুত ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে এবং একই সঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে।
নিষিদ্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্যসহায়তা দেবে বলেও ইলিশ সম্পদ উন্নয়নসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে আইন অমান্যকারী কমপক্ষে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম-বরিশাল বিভাগের ইলিশের বিভিন্ন অভয়াশ্রমে গবেষণা করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এই গবেষণায় নদী ও সমুদ্রে বিচরণরত ইলিশের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ইলিশ ডিম ছাড়ার উপযুক্ত হয়েছে বলে তথ্যে উঠে এসেছে।
চলতি বছরে বড় আকৃতির মা ইলিশের সংখ্যাই বেশি। তাই প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করা গেলে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের গবেষক বিপ্লব কুমার সরকার। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রতিটি ইলিশকে তার জীবনচক্রে একবার ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়ার তাগিদ এই গবেষকদের।
জেলেরা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে নদ-নদীতে তেমন মাছের দেখা মিলছে না। গবেষকেরা যতই গবেষণা করুন, যদি নদ-নদী থেকে ট্রলিং বোট, অবৈধ নিষিদ্ধ জাল, ঘোফ, বেহুন্দি, চরগড়া বন্ধসহ নেট জাল সাগরে ফেলা শতভাগ নিষিদ্ধ না করে, তাহলে ইলিশসহ যাবতীয় মাছের বংশ ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে আর্থিক সংকটে পড়বে দেশ।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় উপকূলের জেলেরা শতভাগ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত। তবে এই সময়ে যেন ভারতের ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে সরকারের কাছে দাবি জানাই।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দে বলেন, ‘সাগর ও নদীতে এই ২২ দিন কোনো জেলেকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম সফল করতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।’
সম্প্রতি ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া পাথরঘাটার জেলেদের সহায়তা প্রদানকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এরা নির্দেশনা অনুযায়ী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করবে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার সুফল সম্পর্কে জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
১৫ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
১৯ মিনিট আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
২৪ মিনিট আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
২৮ মিনিট আগে