নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল নগরীতে ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে রেস্তোরাঁ। বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় ভবন ভাড়া নিয়ে নির্মিত এসব রেস্তোরাঁর ৫০ শতাংশ বা অর্ধেকে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। আইন অমান্য করে এসব রেস্তোরাঁ ব্যবসার কারণে নগরীতে প্রায়ই ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নগরের অর্ধেক রেস্তোরাঁর ‘ফায়ার লাইসেন্স’ নেই। যেগুলোর আছে সেগুলো নিয়ম মানছে না। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, অগ্নিনির্বাপণের শর্ত না মানলে রাজধানীর বেইলি রোডের মতো ট্র্যাজেডি বরিশাল নগরীতেও যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বরিশাল নগরের রূপাতলী হাউসিং এলাকায় সুগার পেস্টি অ্যান্ড ডাইন রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই দিন অগ্নিনির্বাপণের দায়িত্বে থাকা একজন ফায়ারম্যান জানান, রেস্তোরাঁর ভেতর সিলিন্ডার ছিল ৫টি। কিন্তু ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ছিল না। তাঁরা রেস্তোরার মধ্যেই রান্না করেন। পাশে চলে এসি ও ফ্যান। এ কারণেই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ফায়ারম্যান আরও বলেন, তাঁরা আগুন নেভাতে গিয়ে রিজার্ভ পানি পান না। নগরের বাণিজ্যিক এলাকা কাঠপট্টি, চকবাজার, গির্জা মহল্লায় রাস্তার দুই পাশে যেভাবে দোকানগুলো বর্ধিত করেছে তাতে গাড়ি ঢুকানো যায় না।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর আব্বাস উদ্দিন বলেন, রেস্তোরাঁগুলোতে ফায়ার লাইসেন্সের শর্ত মানা হচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি নগরের রূপাতলীতে সুগার পেস্টি অ্যান্ড ডাইন রেস্তোরাঁর কথা বলেন। রেস্তোরাঁটিতে গত শনিবার অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে কি পরিমাণ রেস্তোরাঁয় ফায়ার লাইসেন্স আছে তা তিনি বলতে চাননি।
আজ শনিবার নগরীর গির্জা মহল্লা, চকবাজার, কাটপট্টি, পুলিশ লাইনস, নবগ্রাম রোড, চৌমাথা, সিঅ্যান্ডবি রোড, রূপাতলী, নথুল্লাবাদ দুই শতাধিক রেস্তোরাঁ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশেরই ফায়ার এক্সিট বা জরুরি বহির্গমন পথ নেই। কোনো কোনো রেস্তোরাঁ আবার আবাসিক ভবনে গড়ে উঠেছে।
এ সময় গির্জা মহল্লায় নতুন গড়ে ওঠা কাচ্চি ডাইন রেস্তোরাঁয় আসা পশ্চিম কাউনিয়ার এক গৃহবধূ বলেন, ‘এই রেস্তোরাঁয় উঠতে হয় সরু সিঁড়ি দিয়ে। নেমে যাওয়ার আর বিকল্প পথ নেই। এটা আতঙ্কের বিষয়।’
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, ভারী খাবার বিক্রির এই রেস্তোরাঁগুলোতে বড় বড় সিলিন্ডার থাকে। যেখানে বের হওয়ার পথ একটিই। আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক এলাকায় এগুলো হলে দুর্ঘটনা তো ঘটবেই। সম্প্রতি নগরের গির্জা মহল্লায় কাচ্চি ডাইন নির্মাণ করা হয়েছে বাণিজ্যিক এলাকায়। তাঁদের এক্সিট পয়েন্টও নেই।
রফিকুল আলম প্রশ্ন রেখে বলেন, অগ্নিনির্বাপণ আইন না মানলে ফায়ার সার্ভিস কেন সেসব দোকান বন্ধ করে দেয় না? রাজধানীর বেইলি রোডের মতো ট্র্যাজেডি ঠেকাতে হলে বরিশাল নগর প্রশাসনকে এখনই কঠোর হতে হবে। এটি এখন জীবন-মরণের প্রশ্ন।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এইচ এম রাশেদ বলেন, রেস্তোরাঁ করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দরকার হবে। কিন্তু নগরে যেসব নতুন রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে, সেগুলোর অধিকাংশেরই ছাড়পত্র নেই। যে কারণে পরিবেশসম্মতভাবে এগুলো গড়ে উঠছে কি না— তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (বরিশাল) সহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, বরিশাল নগরীতে যে অপরিকল্পিত অবকাঠামোয় রেস্তোরাঁ গড়ে উঠছে সেগুলোর অধিকাংশই অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। শর্তানুযায়ী ফায়ার লাইসেন্স নিলেও অধিকাংশই নিয়ম মানছে না। নগরের শতকরা ৫০ ভাগ রেস্তোরাঁর ফায়ার লাইসেন্স নেই। আড়ালে-আবডালে এসব রেস্তোরাঁ গড়ে ওঠার কারণ ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া। আমরা গত ডিসেম্বরে নগরীতে ফায়ার লাইসেন্স না থাকা দোকানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছিলাম। শিগগিরই আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বরিশাল নগরীতে ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে রেস্তোরাঁ। বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় ভবন ভাড়া নিয়ে নির্মিত এসব রেস্তোরাঁর ৫০ শতাংশ বা অর্ধেকে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। আইন অমান্য করে এসব রেস্তোরাঁ ব্যবসার কারণে নগরীতে প্রায়ই ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নগরের অর্ধেক রেস্তোরাঁর ‘ফায়ার লাইসেন্স’ নেই। যেগুলোর আছে সেগুলো নিয়ম মানছে না। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, অগ্নিনির্বাপণের শর্ত না মানলে রাজধানীর বেইলি রোডের মতো ট্র্যাজেডি বরিশাল নগরীতেও যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বরিশাল নগরের রূপাতলী হাউসিং এলাকায় সুগার পেস্টি অ্যান্ড ডাইন রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই দিন অগ্নিনির্বাপণের দায়িত্বে থাকা একজন ফায়ারম্যান জানান, রেস্তোরাঁর ভেতর সিলিন্ডার ছিল ৫টি। কিন্তু ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ছিল না। তাঁরা রেস্তোরার মধ্যেই রান্না করেন। পাশে চলে এসি ও ফ্যান। এ কারণেই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ফায়ারম্যান আরও বলেন, তাঁরা আগুন নেভাতে গিয়ে রিজার্ভ পানি পান না। নগরের বাণিজ্যিক এলাকা কাঠপট্টি, চকবাজার, গির্জা মহল্লায় রাস্তার দুই পাশে যেভাবে দোকানগুলো বর্ধিত করেছে তাতে গাড়ি ঢুকানো যায় না।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর আব্বাস উদ্দিন বলেন, রেস্তোরাঁগুলোতে ফায়ার লাইসেন্সের শর্ত মানা হচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি নগরের রূপাতলীতে সুগার পেস্টি অ্যান্ড ডাইন রেস্তোরাঁর কথা বলেন। রেস্তোরাঁটিতে গত শনিবার অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে কি পরিমাণ রেস্তোরাঁয় ফায়ার লাইসেন্স আছে তা তিনি বলতে চাননি।
আজ শনিবার নগরীর গির্জা মহল্লা, চকবাজার, কাটপট্টি, পুলিশ লাইনস, নবগ্রাম রোড, চৌমাথা, সিঅ্যান্ডবি রোড, রূপাতলী, নথুল্লাবাদ দুই শতাধিক রেস্তোরাঁ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশেরই ফায়ার এক্সিট বা জরুরি বহির্গমন পথ নেই। কোনো কোনো রেস্তোরাঁ আবার আবাসিক ভবনে গড়ে উঠেছে।
এ সময় গির্জা মহল্লায় নতুন গড়ে ওঠা কাচ্চি ডাইন রেস্তোরাঁয় আসা পশ্চিম কাউনিয়ার এক গৃহবধূ বলেন, ‘এই রেস্তোরাঁয় উঠতে হয় সরু সিঁড়ি দিয়ে। নেমে যাওয়ার আর বিকল্প পথ নেই। এটা আতঙ্কের বিষয়।’
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, ভারী খাবার বিক্রির এই রেস্তোরাঁগুলোতে বড় বড় সিলিন্ডার থাকে। যেখানে বের হওয়ার পথ একটিই। আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক এলাকায় এগুলো হলে দুর্ঘটনা তো ঘটবেই। সম্প্রতি নগরের গির্জা মহল্লায় কাচ্চি ডাইন নির্মাণ করা হয়েছে বাণিজ্যিক এলাকায়। তাঁদের এক্সিট পয়েন্টও নেই।
রফিকুল আলম প্রশ্ন রেখে বলেন, অগ্নিনির্বাপণ আইন না মানলে ফায়ার সার্ভিস কেন সেসব দোকান বন্ধ করে দেয় না? রাজধানীর বেইলি রোডের মতো ট্র্যাজেডি ঠেকাতে হলে বরিশাল নগর প্রশাসনকে এখনই কঠোর হতে হবে। এটি এখন জীবন-মরণের প্রশ্ন।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এইচ এম রাশেদ বলেন, রেস্তোরাঁ করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দরকার হবে। কিন্তু নগরে যেসব নতুন রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে, সেগুলোর অধিকাংশেরই ছাড়পত্র নেই। যে কারণে পরিবেশসম্মতভাবে এগুলো গড়ে উঠছে কি না— তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (বরিশাল) সহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, বরিশাল নগরীতে যে অপরিকল্পিত অবকাঠামোয় রেস্তোরাঁ গড়ে উঠছে সেগুলোর অধিকাংশই অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। শর্তানুযায়ী ফায়ার লাইসেন্স নিলেও অধিকাংশই নিয়ম মানছে না। নগরের শতকরা ৫০ ভাগ রেস্তোরাঁর ফায়ার লাইসেন্স নেই। আড়ালে-আবডালে এসব রেস্তোরাঁ গড়ে ওঠার কারণ ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া। আমরা গত ডিসেম্বরে নগরীতে ফায়ার লাইসেন্স না থাকা দোকানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছিলাম। শিগগিরই আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
২ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
১৩ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
৩৪ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপিকে যদি রাজপথে নামতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
আজ রোববার কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভার মধ্যাহ্ন বিরতিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আইনগতভাবে শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তাদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। আমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারদুষ্ট আচরণ কখনো প্রত্যাশা করি না।
‘তারা যদি তাদের জায়গা থেকে স্বাধীন-স্বকীয়তা প্রদর্শন না করতে পারে, তাহলে আগামীর নির্বাচনে তাদের ওপর আমাদের আস্থা রাখতে পারব না। আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি এবং জামায়াত এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গায় তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। এনসিপির প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। আমরা এটাও মনে করি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে এককভাবে বিএনপি এবং জামায়াত তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গা থেকে তরুণ প্রজন্মের এনসিপির অংশগ্রহণ আবশ্যক।’
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ বাস্তবতায় আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়ায় এনসিপিসহ তরুণদের অংশগ্রহণ অতীব জরুরি। সেই জন্য জুলাই সনদ নিয়ে আমরা আমাদের আপসহীন অবস্থান ব্যক্ত করেছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন জুলাই সনদের প্রশ্নে নিশ্চয়তার যেটি প্রয়োজন ছিল, সেই নিশ্চয়তার প্রসেসিং কীভাবে হবে, কবে হবে—সেটি ঠিক না করে শুধুমাত্র নির্বাচনমুখী আচরণ করে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল; তখন এনসিপি তাদের জায়গা থেকে মেরুদণ্ড সোজা করে নিশ্চয়তা চেয়েছে এবং জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, যেদিন সেই আদেশ জারি করা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এবং গণভোটে যদি জুলাইয়ের পক্ষে রায় আসে, তখন কোনো নোট অব ডিসেন্টকে বিবেচনা করা হবে না—এই নিশ্চয়তা যখন আসবে, তখন জনগণের পক্ষে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। এনসিপি কোনো নিশ্চয়তা ছাড়া একটি কাগজে স্বাক্ষর করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে না।’
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এ মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘এনসিপি শুধু আগামী নির্বাচনে কয়েকটি সিটের জন্য সংসদে যাওয়ার জন্য জোট করার জন্য কাজ করছে না। এনসিপি মনে করে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের জায়গা থেকে জুলাই সনদের প্রত্যেকটি সংস্কার বাস্তবায়নে কমিটেড থাকে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে ধারাবাহিকভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ করতে কমিটেড থাকে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কমিটেড থাকে, আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কমিটেড থাকে, তাহলে ওই নির্বাচনে তাদের সঙ্গে অ্যালায়েন্স হতে পারি।’
প্রশাসন সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা বলেন, ‘প্রশাসনে ঘুরেফিরে এখন পর্যন্ত যাঁরা আছেন, তাঁরা কেউ বিএনপিপন্থী আচরণ করেন, কেউ জামায়াতপন্থী আচরণ করেন, কেউ পূর্বের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল বলে ওই পন্থী আচরণ করেন। বিশেষ করে যাঁরা ইউএনও আছেন, ওসি আছেন, তাঁদের আচরণটা দলীয় আচরণ আসে। তাঁরা বিভিন্ন দলীয় ইউএনও, দলীয় ওসি হয়ে উঠতে চান। আমাদের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার যাঁরা আছেন, তাঁরাও দলীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হয়ে উঠতে চান।
‘মন্ত্রণালয়ে কিছু সচিব আছেন, তাঁরা দলীয় সচিব হয়ে উঠতে চান। আমরা তাঁদের স্পষ্ট করে বলি, এবার তাঁরা অনেকটাই পার পেয়ে গিয়েছে। কারণ, এই অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষের আগে ছিল না। কিন্তু আগামীতে যদি তাঁরা এই আচরণ বহাল রাখেন, আর আমাদের আবার এই রকম একটা বড় ঘটনার দিকে যেতে হয়, তখন কেউ আর বিন্দুমাত্র আশ্রয় পাবেন না, প্রশ্রয় পাবেন না। আমি অনুরোধ করব আপনাদের যে আপনারা দলীয় প্রশাসন না হয়ে ওঠেন। আপনারা বাংলাদেশের প্রশাসন হয়ে উঠুন। বাংলাদেশের মানুষের হয়ে উঠুন।’
সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাইয়ে যারা রাজপথের যোদ্ধা ছিল, শহীদ পরিবাররা ছিল, তাদের এখন হুমকি দেয়। হুমকি দেয় কারা—যারা ’২৪-এ আমাদের এই সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছিল, গুলি ছুড়েছিল। তারা এখন টাকার বিনিময়ে, তারা এখন বিভিন্ন নেগোসিয়েশনের বিনিময়ে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পেছন থেকে আঁতাত করে, ক্ষমতায় থাকা প্রশাসনের কিংবা বিচার বিভাগে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আঁতাত করে, তারা জামিন নিয়ে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁরা যদি এই বিষয়ে কঠোর না হন, তাহলে আগামীর বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আপনারা নিশ্চিত করতে পারবেন না, নির্বাচন একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাবে। এই কথাটা দিয়ে আপনারা এই দিকে টানবেন না যে নির্বাচনে অনিশ্চয়তার কথা বলেছে; তার মানে এনসিপি বলে নির্বাচন পেছাতে চায়। না। এটা হচ্ছে বর্তমান বাস্তবতা।
‘যদি আমার একজন আহত যোদ্ধা, আমার একজন শহীদ পরিবারের ওপরে এই ধরনের আক্রমণ হয় এবং অনিরাপত্তায় ভোগে, তাহলে আগামীতে পরিস্থিতি কিছুটা অস্থিতিশীল হবে।’
আহনাফ সাঈদ খানের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপি ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) খায়রুল কবির ও সাঈদ উজ্জ্বল এবং কেন্দ্রীয় সদস্য দিদার শাহ। এ সময় এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপিকে যদি রাজপথে নামতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
আজ রোববার কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভার মধ্যাহ্ন বিরতিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আইনগতভাবে শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তাদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। আমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারদুষ্ট আচরণ কখনো প্রত্যাশা করি না।
‘তারা যদি তাদের জায়গা থেকে স্বাধীন-স্বকীয়তা প্রদর্শন না করতে পারে, তাহলে আগামীর নির্বাচনে তাদের ওপর আমাদের আস্থা রাখতে পারব না। আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি এবং জামায়াত এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গায় তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। এনসিপির প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। আমরা এটাও মনে করি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে এককভাবে বিএনপি এবং জামায়াত তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গা থেকে তরুণ প্রজন্মের এনসিপির অংশগ্রহণ আবশ্যক।’
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ বাস্তবতায় আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়ায় এনসিপিসহ তরুণদের অংশগ্রহণ অতীব জরুরি। সেই জন্য জুলাই সনদ নিয়ে আমরা আমাদের আপসহীন অবস্থান ব্যক্ত করেছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন জুলাই সনদের প্রশ্নে নিশ্চয়তার যেটি প্রয়োজন ছিল, সেই নিশ্চয়তার প্রসেসিং কীভাবে হবে, কবে হবে—সেটি ঠিক না করে শুধুমাত্র নির্বাচনমুখী আচরণ করে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল; তখন এনসিপি তাদের জায়গা থেকে মেরুদণ্ড সোজা করে নিশ্চয়তা চেয়েছে এবং জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, যেদিন সেই আদেশ জারি করা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এবং গণভোটে যদি জুলাইয়ের পক্ষে রায় আসে, তখন কোনো নোট অব ডিসেন্টকে বিবেচনা করা হবে না—এই নিশ্চয়তা যখন আসবে, তখন জনগণের পক্ষে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। এনসিপি কোনো নিশ্চয়তা ছাড়া একটি কাগজে স্বাক্ষর করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে না।’
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এ মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘এনসিপি শুধু আগামী নির্বাচনে কয়েকটি সিটের জন্য সংসদে যাওয়ার জন্য জোট করার জন্য কাজ করছে না। এনসিপি মনে করে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের জায়গা থেকে জুলাই সনদের প্রত্যেকটি সংস্কার বাস্তবায়নে কমিটেড থাকে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে ধারাবাহিকভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ করতে কমিটেড থাকে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কমিটেড থাকে, আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কমিটেড থাকে, তাহলে ওই নির্বাচনে তাদের সঙ্গে অ্যালায়েন্স হতে পারি।’
প্রশাসন সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা বলেন, ‘প্রশাসনে ঘুরেফিরে এখন পর্যন্ত যাঁরা আছেন, তাঁরা কেউ বিএনপিপন্থী আচরণ করেন, কেউ জামায়াতপন্থী আচরণ করেন, কেউ পূর্বের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল বলে ওই পন্থী আচরণ করেন। বিশেষ করে যাঁরা ইউএনও আছেন, ওসি আছেন, তাঁদের আচরণটা দলীয় আচরণ আসে। তাঁরা বিভিন্ন দলীয় ইউএনও, দলীয় ওসি হয়ে উঠতে চান। আমাদের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার যাঁরা আছেন, তাঁরাও দলীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হয়ে উঠতে চান।
‘মন্ত্রণালয়ে কিছু সচিব আছেন, তাঁরা দলীয় সচিব হয়ে উঠতে চান। আমরা তাঁদের স্পষ্ট করে বলি, এবার তাঁরা অনেকটাই পার পেয়ে গিয়েছে। কারণ, এই অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষের আগে ছিল না। কিন্তু আগামীতে যদি তাঁরা এই আচরণ বহাল রাখেন, আর আমাদের আবার এই রকম একটা বড় ঘটনার দিকে যেতে হয়, তখন কেউ আর বিন্দুমাত্র আশ্রয় পাবেন না, প্রশ্রয় পাবেন না। আমি অনুরোধ করব আপনাদের যে আপনারা দলীয় প্রশাসন না হয়ে ওঠেন। আপনারা বাংলাদেশের প্রশাসন হয়ে উঠুন। বাংলাদেশের মানুষের হয়ে উঠুন।’
সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাইয়ে যারা রাজপথের যোদ্ধা ছিল, শহীদ পরিবাররা ছিল, তাদের এখন হুমকি দেয়। হুমকি দেয় কারা—যারা ’২৪-এ আমাদের এই সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছিল, গুলি ছুড়েছিল। তারা এখন টাকার বিনিময়ে, তারা এখন বিভিন্ন নেগোসিয়েশনের বিনিময়ে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পেছন থেকে আঁতাত করে, ক্ষমতায় থাকা প্রশাসনের কিংবা বিচার বিভাগে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আঁতাত করে, তারা জামিন নিয়ে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁরা যদি এই বিষয়ে কঠোর না হন, তাহলে আগামীর বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আপনারা নিশ্চিত করতে পারবেন না, নির্বাচন একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাবে। এই কথাটা দিয়ে আপনারা এই দিকে টানবেন না যে নির্বাচনে অনিশ্চয়তার কথা বলেছে; তার মানে এনসিপি বলে নির্বাচন পেছাতে চায়। না। এটা হচ্ছে বর্তমান বাস্তবতা।
‘যদি আমার একজন আহত যোদ্ধা, আমার একজন শহীদ পরিবারের ওপরে এই ধরনের আক্রমণ হয় এবং অনিরাপত্তায় ভোগে, তাহলে আগামীতে পরিস্থিতি কিছুটা অস্থিতিশীল হবে।’
আহনাফ সাঈদ খানের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপি ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) খায়রুল কবির ও সাঈদ উজ্জ্বল এবং কেন্দ্রীয় সদস্য দিদার শাহ। এ সময় এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বরিশাল নগরীতে ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে রেস্তোরাঁ। বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় ভবন ভাড়া নিয়ে নির্মিত এসব রেস্তোরাঁর ৫০ শতাংশ বা অর্ধেকে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। আইন অমান্য করে এসব রেস্তোরাঁ ব্যবসার কারণে নগরীতে প্রায়ই ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৪
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
১৩ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
৩৪ মিনিট আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই তরুণের মৃত্যুর পৌঁছালে গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম (৩৬)। চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায়। গ্রামে থাকা ভাইদের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
রোববার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে তার উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আবুল কালামের ভাবী আসমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিলো। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আস। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসবে। কিছু ঘণ্টাখানেক পর শুনি-মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে!’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ওই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকেই কালাম পরিশ্রমী ছিল বলে জানান নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেয়া কঠিন।’
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। ”

শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই তরুণের মৃত্যুর পৌঁছালে গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম (৩৬)। চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায়। গ্রামে থাকা ভাইদের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
রোববার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে তার উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আবুল কালামের ভাবী আসমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিলো। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আস। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসবে। কিছু ঘণ্টাখানেক পর শুনি-মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে!’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ওই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকেই কালাম পরিশ্রমী ছিল বলে জানান নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেয়া কঠিন।’
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। ”

বরিশাল নগরীতে ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে রেস্তোরাঁ। বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় ভবন ভাড়া নিয়ে নির্মিত এসব রেস্তোরাঁর ৫০ শতাংশ বা অর্ধেকে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। আইন অমান্য করে এসব রেস্তোরাঁ ব্যবসার কারণে নগরীতে প্রায়ই ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৪
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
২ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
৩৪ মিনিট আগেভোলা প্রতিনিধি

জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর মাঝি লালমোহন উপজেলার চর কালাই দাস গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজগর মাঝির ছেলে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮-এর ভোলা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জাহাঙ্গীর মাঝি ও মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীর নামের দুজনসহ কয়েকজন প্রতারক জিনের বাদশাহ সেজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিলেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার মো. দিদারুল আলম (৪০) নামের এক ব্যক্তি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে তাঁদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকেরা বিভিন্ন কৌশলে তাঁর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী দিদারুল আলম চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করি। আমরা এর আগে ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করি। অন্য প্রতারকদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর মাঝি লালমোহন উপজেলার চর কালাই দাস গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজগর মাঝির ছেলে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮-এর ভোলা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জাহাঙ্গীর মাঝি ও মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীর নামের দুজনসহ কয়েকজন প্রতারক জিনের বাদশাহ সেজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিলেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার মো. দিদারুল আলম (৪০) নামের এক ব্যক্তি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে তাঁদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকেরা বিভিন্ন কৌশলে তাঁর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী দিদারুল আলম চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করি। আমরা এর আগে ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করি। অন্য প্রতারকদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

বরিশাল নগরীতে ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে রেস্তোরাঁ। বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় ভবন ভাড়া নিয়ে নির্মিত এসব রেস্তোরাঁর ৫০ শতাংশ বা অর্ধেকে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। আইন অমান্য করে এসব রেস্তোরাঁ ব্যবসার কারণে নগরীতে প্রায়ই ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৪
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
২ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
১৩ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
৩৪ মিনিট আগেফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চালু হওয়া ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক ৮০০ থেকে ৯০০ টন কয়লার প্রয়োজন হবে।
এর আগে ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তারও আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়। এর ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটি ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং তৃতীয় ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। ওই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ৪ বছর ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম ইউনিটের মেরামতের কাজ শেষে দুপুর ১২টায় বয়লারে ফায়ারিং করা হয়। বেলা ২টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির চালু হলে সন্ধ্যায় আবারও আংশিক ত্রুটি দেখা দেয়, কিছু পরে পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং কিছুটা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। চায়না থেকে মেশিন এনে সেটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে প্রায় ৯০ দিন সময় লাগবে।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চালু হওয়া ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক ৮০০ থেকে ৯০০ টন কয়লার প্রয়োজন হবে।
এর আগে ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তারও আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়। এর ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটি ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং তৃতীয় ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। ওই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ৪ বছর ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম ইউনিটের মেরামতের কাজ শেষে দুপুর ১২টায় বয়লারে ফায়ারিং করা হয়। বেলা ২টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির চালু হলে সন্ধ্যায় আবারও আংশিক ত্রুটি দেখা দেয়, কিছু পরে পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং কিছুটা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। চায়না থেকে মেশিন এনে সেটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে প্রায় ৯০ দিন সময় লাগবে।

বরিশাল নগরীতে ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে রেস্তোরাঁ। বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় ভবন ভাড়া নিয়ে নির্মিত এসব রেস্তোরাঁর ৫০ শতাংশ বা অর্ধেকে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। আইন অমান্য করে এসব রেস্তোরাঁ ব্যবসার কারণে নগরীতে প্রায়ই ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৪
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
২ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
১৩ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ মিনিট আগে